মিলেছে দু’শতাধিক রকেট লঞ্চার, দু’শতাধিক মর্টারশেল ট্যাঙ্কবিধ্বংসী বিস্ফোরক ॥ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
অকুস্থল হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি পাহাড়ের গভীর অরণ্যাঞ্চল
রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, সাতছড়ি (হবিগঞ্জ) থেকে ফিরে ॥ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরবর্তী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলাধীন সাতছড়ি পাহাড়ের গভীর অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ২ শতাধিক অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী বিস্ফোরক, ২ শতাধিক মর্টার শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জার ও অয়েলসহ বিপুল সংখ্যক সমরাস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব-৯। এ সংখ্যা বাড়তে পারে। র্যাবের পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পরিচালিত র্যাব-৯ এ অভিযানে এসব সমরাস্ত্র উদ্ধার হয়। তবে ওই এলাকার আশপাশ স্থানগুলোতে আরও দুই দিন এ অভিযান চলবে বলে র্যাব সূত্র জানায়।
অভিযানকালে র্যাব ওই পাহাড়ের দুটি টিলার একটিতে দুটি এবং অন্যটিতে পাঁচটি বাংকারের সন্ধান পায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটি বাংকার থেকে ২ শতাধিক রকেট লঞ্চার, শতাধিক মর্টার, রকেট লঞ্চারের চার্জার ও অয়েলসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, র্যাবের নেটওয়ার্ক সিগন্যালে ওই বাংকারগুলোতে আরও অস্ত্র থাকার সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে ইতোমধ্যে এক তৃতীয়াংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী ২ দিন ওই এলাকায় একটানা উদ্ধার অভিযান চলবে। কারা এসব বাংকারে অস্ত্রের মজুদ করেছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে চাননি। তার মতে, তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে আগত র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান ও র্যাব-৯-এর কমান্ডিং অফিসার মুফতি মাহমুদ, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার সামিউন রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০০৩ সালের ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে এক ট্রাক অস্ত্র পাওয়া যায়। যার সঙ্গে সাতছড়ি ত্রিপড়া পল্লীর তৎকালীন হেডম্যান যোগেশ বর্মার ভাতিজা আশীষ বর্মার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও আগের মতো এবারের অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকে আশীষ বর্মা পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া হবিগঞ্জের বাসিন্দা বর্তমান জেএমবির প্রধান সাঈদুর রহমানের সঙ্গে থাকা অন্য জঙ্গীও এসব সমরাস্ত্র পাহাড়ি এলাকা সাতছড়িতে মজুদ রাখতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এ অসমরাস্ত্র উদ্ধার অভিযান প্রাথমিক পর্যায়ে সমাপ্তকালে মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে অবস্থানরত বর্তমান জেএমবি প্রধান সাঈদুর রহমান ও ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ শামীমের সঙ্গে দেখা করেছেন আদ্যক্ষরের ‘স’ নামধারী জামায়াত কর্মী, তার ছোটভাই। প্রশ্ন উঠেছে, এ অস্ত্র অভিযান চলাকালে হবিগঞ্জ কারাগারে তার সাক্ষাত করার পেছনে কি হেতু থাকতে পারে।
তাহলে কি সমরাস্ত্র উদ্ধারের খবরা খবর আদান প্রদানের লক্ষ্যে এ সাক্ষাতকারের কোন যোগসাজশ থাকতে পারে। ভারতে নতুন সরকারের আগমন ও সেখানকার রাজনৈতিক পরিবেশের বাস্তব অবস্থায় সীমান্তবর্তী ভারতীয় উগ্রবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় জঙ্গী বা প্রভাবশালী লোকজনের সহযোগিতায় এসব সমরাস্ত্র হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় মজুদ রেখে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত থাকারও আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। যে স্থানটিতে এত বিপুল সমরাস্ত্র মিলেছে, সেটি এক সময়ে অলইন্ডিয়া ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) আস্তানা ছিল। ত্রিপুরার এ বিদ্রোহী গ্রুপটি এখন অবশ্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। গত রবিবার রাতের হবিগঞ্জ মৌলভীবাজরের সীমান্তবর্তী শেরপুর এলাকায় বিপুলসংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ফলে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জকে ওসব গোষ্ঠী জঙ্গী তৎপরতা বা রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার কোন হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে ওই অভিযান নিয়ে র্যাব-৯ এর ভূয়সী প্রশংসা করে এটি তাদের জন্য একটি বড় ধরনের সফলতাই শুধু নয় এমন মন্তব্য করে সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ এও বলছেন হয়ত একটি বড় ধরনের নাশকতার কবল থেকে হবিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের জেলাগুলো রক্ষা পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাকের ডগায় এসব সমরাস্ত্র নির্বিঘেœ মজুদ হলো কী করে?
অভিযানকালে র্যাব ওই পাহাড়ের দুটি টিলার একটিতে দুটি এবং অন্যটিতে পাঁচটি বাংকারের সন্ধান পায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটি বাংকার থেকে ২ শতাধিক রকেট লঞ্চার, শতাধিক মর্টার, রকেট লঞ্চারের চার্জার ও অয়েলসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, র্যাবের নেটওয়ার্ক সিগন্যালে ওই বাংকারগুলোতে আরও অস্ত্র থাকার সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে ইতোমধ্যে এক তৃতীয়াংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী ২ দিন ওই এলাকায় একটানা উদ্ধার অভিযান চলবে। কারা এসব বাংকারে অস্ত্রের মজুদ করেছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে চাননি। তার মতে, তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে আগত র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান ও র্যাব-৯-এর কমান্ডিং অফিসার মুফতি মাহমুদ, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার সামিউন রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০০৩ সালের ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে এক ট্রাক অস্ত্র পাওয়া যায়। যার সঙ্গে সাতছড়ি ত্রিপড়া পল্লীর তৎকালীন হেডম্যান যোগেশ বর্মার ভাতিজা আশীষ বর্মার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও আগের মতো এবারের অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকে আশীষ বর্মা পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া হবিগঞ্জের বাসিন্দা বর্তমান জেএমবির প্রধান সাঈদুর রহমানের সঙ্গে থাকা অন্য জঙ্গীও এসব সমরাস্ত্র পাহাড়ি এলাকা সাতছড়িতে মজুদ রাখতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এ অসমরাস্ত্র উদ্ধার অভিযান প্রাথমিক পর্যায়ে সমাপ্তকালে মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে অবস্থানরত বর্তমান জেএমবি প্রধান সাঈদুর রহমান ও ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ শামীমের সঙ্গে দেখা করেছেন আদ্যক্ষরের ‘স’ নামধারী জামায়াত কর্মী, তার ছোটভাই। প্রশ্ন উঠেছে, এ অস্ত্র অভিযান চলাকালে হবিগঞ্জ কারাগারে তার সাক্ষাত করার পেছনে কি হেতু থাকতে পারে।
তাহলে কি সমরাস্ত্র উদ্ধারের খবরা খবর আদান প্রদানের লক্ষ্যে এ সাক্ষাতকারের কোন যোগসাজশ থাকতে পারে। ভারতে নতুন সরকারের আগমন ও সেখানকার রাজনৈতিক পরিবেশের বাস্তব অবস্থায় সীমান্তবর্তী ভারতীয় উগ্রবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় জঙ্গী বা প্রভাবশালী লোকজনের সহযোগিতায় এসব সমরাস্ত্র হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় মজুদ রেখে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত থাকারও আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। যে স্থানটিতে এত বিপুল সমরাস্ত্র মিলেছে, সেটি এক সময়ে অলইন্ডিয়া ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) আস্তানা ছিল। ত্রিপুরার এ বিদ্রোহী গ্রুপটি এখন অবশ্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। গত রবিবার রাতের হবিগঞ্জ মৌলভীবাজরের সীমান্তবর্তী শেরপুর এলাকায় বিপুলসংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ফলে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জকে ওসব গোষ্ঠী জঙ্গী তৎপরতা বা রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার কোন হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে ওই অভিযান নিয়ে র্যাব-৯ এর ভূয়সী প্রশংসা করে এটি তাদের জন্য একটি বড় ধরনের সফলতাই শুধু নয় এমন মন্তব্য করে সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ এও বলছেন হয়ত একটি বড় ধরনের নাশকতার কবল থেকে হবিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের জেলাগুলো রক্ষা পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নাকের ডগায় এসব সমরাস্ত্র নির্বিঘেœ মজুদ হলো কী করে?
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-06-04&ni=174937
No comments:
Post a Comment