Thursday, June 5, 2014

উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর নেই গরিবের সংখ্যা বাড়বে

উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর নেই গরিবের সংখ্যা বাড়বে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৬ জুন, ২০১৪
প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য আশানুরূপ তেমন কিছু নেই। শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করারও পদক্ষেপ নেই। স্থানীয় শিল্প সংরক্ষণে এতদিন যে প্রটেকশন ছিল তার বদলে আমদানিকৃত বহু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ শত শত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্প বিনিয়োগ মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। এছাড়া স্থানীয় শিল্পে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ, গ্যাস পাওয়ারও কোনো নিশ্চয়তা বা প্রতিশ্র“তি নেই। পরিবেশ রক্ষার নামে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইকো-ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে। যা শিল্প উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে।
শুধু তাই নয়, বাজেটে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কর অবকাশের সুবিধা রাখা হয়নি। তবে ত্বরান্বিত অপচয় ভাতার পুনঃপ্রবর্তনের সুযোগের কথা বলা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের মতে এটি একটি অকার্যকর ব্যবস্থা। কেননা এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নীতিমালাই তৈরি হয়নি। এছাড়া ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হার নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই উচ্চ হারের সুদ নিয়ে কোনো শিল্প রক্ষা তো দূরের কথা পুঁজিও রক্ষা হবে না। ফলে ঋণগ্রহীতারা খেলাপিতে পরিণত হবে। তাদের আর্থিক দায় অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
উদ্যোক্তাদের মতে, প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প উদ্যোক্তাদের আরও গরিব বানাবে। তাদের জন্যে কোনো সুখবর নেই। আর গরিব মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তথা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও যথাযথ পদক্ষেপ নেই। ব্যবসায়ীদের জন্য দেয়া হয়নি কোনো সুনির্দিষ্ট সুবিধা প্যাকেজ। ফলে ধনীর সঙ্গে সঙ্গে গরিবরা আরও গরিব হবে। এতে গরিবের সংখ্যা বাড়বে।
সবমিলিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট শিল্প উদ্যোক্তা তথা শিল্প মালিকদের জন্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা প্রস্তাবনা অনুসারে জ্বালানি তেলের ট্যারিফ মূল্য বাড়ছে। এতে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। কিন্তু সে অনুসারে পণ্য মূল্য পাবে না। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য আয়বর্ধক কোনো পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, বিনিয়োগে সরকার ৮ বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিশেষ করে ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, আইন ও বিধি সহজ করা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস কার্যকর করা, বিনিয়োগবান্ধব রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগকারীদের যুক্তিসঙ্গত রাজস্ব ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এছাড়া খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশলী, ওষুধ, প্লাস্টিক, খেলনা,গৃহস্থালী সহায়ক সামগ্রী, আইটি, চামড়া ও রাসায়নিক শিল্পের মতো সম্ভাবনাময় শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য শুল্ককর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান। একই সঙ্গে, দেশের সিটি কর্পোরেশনের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বিশেষ কর সুবিধা প্রদান করা হবে।
বাজেটে প্লাস্টিক শিল্প বিকাশে বিশেষ সুুবিধা দেয়া হয়েছে। প্লাস্টিক নির্ভর শিল্পের ব্যাপক বিকাশের সম্ভাবনাকে বিবেচনা করে প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির জন্য একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। এজন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প : শ্রমঘন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প বিকাশের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও পুনঃঋণের সুবিধা অব্যাহত থাকবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সহায়তার সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। পাশাপশি শিল্পের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিকাশে সহায়তা দেয়া হবে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণ : প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বরাবরই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ভারতে তামাক ও মাদকজাতীয় ২৫টি পণ্য ব্যতীত দেশের সব পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিয়েছে। সম্প্রতি ওআইসিভুক্ত দেশের সমন্বয়ে ৪৭৬টি পণ্যের অফার লিস্ট পাঠানো হয়েছে। এ চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে রফতানি বাড়ানো সম্ভব হবে।
কর অবকাশ, রেয়াত ও হার পরিবর্তন : দেশে বিনিয়োগ বাড়ানো ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো কর অবকাশ, কর রেয়াত ও কর হার পরিবর্তন শীর্ষক তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। এ পদক্ষেপের ফলে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে জাতিকে উৎসাহ ও উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
কর অবকাশ : নারী শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার অনুমোদিত গার্লস স্কুল বা কলেজ এবং ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রদত্ত অনুদান সম্পূর্ণ কর মুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে গবেষণা কাজের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে অনুদান করমুক্ত করার প্রস্তাব, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে অনুকূল পরিবেশ সৃৃষ্টিসহ দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সুযোগ আরও বিস্তৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান কর অবকাশ সুবিধার সময়সীমা ২০১৫ সাল থেকে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য কর সুবিধার বিকল্প হিসেবে ত্বরান্বিত অবচয় ভাতা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন বাজেট টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক পদ্ধতির আধুনিক ব্রিকফিল্ডকে কর অবকাশ ও কৃষি খাতে কর মুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অগ্রসর এলাকায় কর রেয়াত : অনগ্রসর এলাকায় স্থাপিত কর অবকাশযোগ্য নয় এমন বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ শতাংশ হারে রেয়াতের সুবিধা ৫ বছর বাড়ানো, কর অবকাশযোগ্য শিল্প নয় এমন প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিল্প বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর ২০ শতাংশ কর রেয়াত, ২০১৯ সালের মধ্যে অনগ্রসর এলাকায় স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর ১০ বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে কর রেয়াতের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনগ্রসর এলাকায় বিদ্যমান কর অবকাশপ্রাপ্ত শিল্পের জন্য কর অবকাশ সুবিধা ও অনগ্রসর এলাকায় ২০১৯ সালের মধ্যে কর অবকাশযোগ্য শিল্প স্থাপন হলে বিদ্যমান ৭ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর কর অবকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে দেশজ উৎপাদনকে সহায়তা দিতে কর রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রফতানি খাতকে উৎসাহিত করতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপর উৎসে কর কর্তন ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা। এখানে উল্লেখ, তৈরি পোশাক খাতের অগ্রিম কর শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ, সব রফতানির ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর ০.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। যা ২০১৫ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাজেটে মূলধনী মুনাফার পরিমাণের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজউক ও সিডিএ ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় কর কর্তনের হার দলিল মূল্যের ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪ শতাংশ আরোপ করা হবে।
ভোগ্য পণ্য আমদানি : বাজেটে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে লোকাল এলসি ও অনুমিত কমিশনের ওপর উৎসে কর হার বিদ্যমান ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ লাখ টাকার ওপরে অধিক এলসির ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া নিত্যপণ্য যেমন, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, আদা, হলুদ, মরিচ, চাল, গম, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্য তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের ওপর লোকাল এলসি উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া অনুমিত কর কর্তনের হার ৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যান্য প্রস্তাব : অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আরও বলেছেন, মানুষের খাওয়ার উপযোগী মাছের টুকরা বা গুঁড়া (আড়াই কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত), শুকনা, লবণাক্ত বা লবণের দ্রবণে সংরক্ষিত কিন্তু ধূমায়িত নয় এমন কাঁটা ছাড়ানো মাছ (আড়াই কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত ব্যতীত), অন্যান্য শুকনা মাছ (লবণাক্ত হোক বা না হোক), ধূমায়িত নয় (আড়াই কেজি পর্যন্ত মোড়ক বা টিনজাত ব্যতীত), হিমায়িত চিংড়ি, মাখন এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত চর্বি ও তেল, ডেইরি স্প্রেডস, তাজা বা ঠাণ্ডা টমেটো, সবজি, তাজা বা শুকনা সুপারি জাতীয় পণ্যে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। আগামী অর্থবছরে গ্লুকোজ ও গ্লুকোজ সিরাপ, কোকোযুক্ত নয় এমন চিনিযুক্ত কনফেকশনারি পণ্য, কোকোযুক্ত চকলেট ও অন্যান্য খাদ্যবস্তু, পাস্তা, ওয়াফেল, ওয়েফার, পটেটো চিপস, ফলের রস, সস, আইসক্রিমসহ আরও অনেক কাঁচামালের শুল্ক হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প খাতে ৪০টি মৌলিক কাঁচামালের ওপর বিদ্যমান ১০ ও ২৫ শতাংশ শুল্ককে কমিয়ে ৫ শতাংশ রেয়াতি হারে ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু খাতের উপকরণ ও কাঁচামাল সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব করছি। জাহাজ প্রস্তুত শিল্পে প্রয়োজনীয় নেভিগেশন লাইট, ব্রডকাস্টিং যন্ত্রপাতি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের আমদানি শুল্ক হার ৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিংয়ের কাঁচামাল কতিপয় শর্তসাপেক্ষে শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগ দানের প্রস্তাব করা হল। বস্ত্র খাতের কতিপয় কাঁচামালের শুল্ক হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, ফ্লাক্স ফাইবারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে এবং কৃত্রিম স্টাপল ফাইবারের আমদানি শুল্ক হার ৫ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি।
বাজেট বক্তৃতা বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, স্থানীয় শিল্প রক্ষায় নেয়া হয়েছে আরও কিছু জরুরি পদক্ষেপ। যেগুলোর মধ্যে ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, আইন ও বিধি সহজ করা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস কার্যকর করা, বিনিয়োগবান্ধব রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি, রফতানিপণ্য বহুমুখী করা, বিনিয়োগকারীদের যুক্তিসঙ্গত রাজস্ব ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নেয়া হয়েছে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ, প্লাস্টিক, খেলনা, গৃহস্থালীসহায়ক সামগ্রী, আইটি, চামড়া ও রাসায়নিক শিল্পের মতো সম্ভাবনাময় শিল্প উদ্যোক্তাদের শুল্ক-কর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান, সিটি কর্পোরেশনের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সবিশেষ কর সুবিধা প্রদান এবং প্লাস্টিক নির্ভর শিল্পের ব্যাপক বিকাশের সম্ভাবনা বিবেচনা করে প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজির জন্য একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠায় ১০ কোটি টাকার অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2014/06/06/108067#sthash.VOn9Y1SV.dpuf

No comments:

Post a Comment