স্নেহাশিস নিয়োগী
কথা, কথার পিঠে কথাই সার৷ শিল্প-অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া বাংলা সামনের দিকে এগোনোর ব্যাপারে যে এখনও গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক অভিনব প্রস্তাব-প্রকল্পে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনীহায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল৷
দেশে আর্থিক-বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দক্ষ শিল্পকর্মী তৈরির জন্য কমিউনিটি কলেজের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে স্নাতক স্তরে ভোকেশনাল কোর্স খোলা এবং চালু দু'টি কোর্সে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছিল ইউজিসি৷ অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজে চালু পেশাদার কোর্সের দু'টি করে বিষয়ে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা৷ ইউজিসি-র যুগ্ম সচিব কে পি সিং চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশিকায় জানান, আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারে৷ সেই সঙ্গে ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়াকের্র (এনএসকিউএফ) আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজে নতুন পেশাদার কোর্স খোলারও প্রস্তাব দেয় ইউজিসি৷ এ ক্ষেত্রে আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল৷ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এ রাজ্য থেকে সে ভাবে সাড়া না পাওয়ায় পাওয়ায় ইউজিসি-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেদপ্রকাশ স্বয়ং কলকাতা ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়ে প্রস্তাব-পরিকল্পনা স্মরণও করিয়ে দেন৷ তিনি জানান, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ইউজিসি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তাও করবে৷
তার পরেও কমিউনিটি কলেজ ও ভোকেশনাল কোর্স খুলতে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে সে ভাবে সাড়া মেলেনি৷ ফলে উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া স্নাতকস্তরের পঠন-পাঠন শেষে শিল্পসংস্থায় চাকরির সুযোগ হারালেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তার কথায়, 'কোর্স শেষে পড়ুয়াদের চাকরি সুনিশ্চিত করতেই ইউজিসি চেয়েছিল, দু'টি প্রকল্পেই পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি তৈরি, প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেলবন্ধন ঘটুক৷ কিন্ত্ত সে সুযোগ হাত ছাড়া হল৷' ব্যতিক্রম দু'চারটি৷ যেমন, আশুতোষ কলেজ৷ এই কলেজই শুধুমাত্র কমিউনিটি কলেজ ও ভোকেশনাল কোর্স চালু ও প্রসারের অনুমতি পেয়েছে৷ অথচ, রাজ্যের মধ্যে শুধু কলকাতা ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই রয়েছে, যথাক্রমে, ১৩৮ ও ২১৪টি কলেজ!
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্য অবশ্য দায় ঠেলেছেন ইউজিসি-র উপরেই৷ তাঁর দাবি, 'ইউজিসি-র এই প্রকল্পের কোর্সগুলি নিয়ে পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে৷ এ রকম কোর্স নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দেশজুড়ে কর্মশালা করা উচিত ছিল ইউজিসি-র৷' উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজের অধ্যক্ষ তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিলন পালের আবার যুক্তি, 'ইউজিসি-র চিঠিগুলি ঠিক সময়ে কলেজের হাতে পেঁৗছয়নি৷ মূলত, যোগাযোগের অভাবেই সদর্থক সাড়া মেলেনি৷' রঞ্জনবাবু, মিলনবাবুরা এ কথা বললেও অসম, মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের গুচ্ছ গুচ্ছ কলেজ কিন্ত্ত ইউজিসি-র দু'টি প্রকল্পে প্রভূতই সাড়া দিয়েছে৷
যেমন সাড়া দিয়েছেন এ রাজ্যের গুটিকয় কলেজের মধ্যে আশুতোষের কর্তৃপক্ষ৷ অধ্যক্ষ দীপক কর বলেন, 'এই প্রকল্পের সবচেয়ে সুবিধা হল, পড়ুয়ারা চাকরি পেলে যে কোনও সময় কোর্স থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে৷ অর্থাত্, মাল্টি এন্ট্রি ও মাল্টি এক্সিটের সুবিধা আছে৷ শিক্ষার সঙ্গে শিল্পসংস্থা সরাসরি যুক্ত থাকায় পড়ুয়াদের চাকরি পেতে সাধারণ কোর্সের তুলনায় সুবিধাই হবে৷' সেমেস্টার কোর্স৷ সেল্ফ ফিনান্সিং কলেজে এই কোর্সগুলি পড়তে সেমেস্টার পিছু খরচ ৩০ হাজার টাকা৷ কিন্ত্ত ইউজিসি আর্থিক সাহায্য দেওয়ায় বছরে লাগবে আসলে ১২ হাজার টাকা৷ তিন বছরের ভোকেশনাল কোর্সের জন্য ইউজিসি কলেজ-পিছু ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ও দু'বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল৷
সুযোগ হাত ছাড়া করে আবারও উদ্যোগহীনতা এবং মানসিক জাড্যেরই নজির গড়ল রাজ্য৷
রাজ্যে কমিউনিটি কলেজ আশুতোষ কলেজ: অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা ইন (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট ও (খ) মোবাইল কমিউনিকেশন ভট্টর কলেজ (পশ্চিম মেদিনীপুর): ডিপ্লোমা ইন (ক) ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট ও (খ) হসপিটালিটি ম্যানজেমেন্ট
স্নাতকে ভোকেশনাল কোর্স আশুতোষ কলেজ: (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট (খ) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ বেলদা কলেজ (পশ্চিম মেদিনীপুর): (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট ও (খ) থিয়েটার ও স্টেজ ক্র্যাফট ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ (উত্তর ২৪ পরগনা) : (ক) মিডিয়া ইন ব্রডকাস্ট জার্নালিজম ও (খ) প্রিন্টিং ইন বুক পাবলিশিং মহিষাদল গার্লস কলেজ (পূর্ব মেদিনীপুর) : (ক) থিয়েটার আর্টস ও (খ) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট
কথা, কথার পিঠে কথাই সার৷ শিল্প-অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া বাংলা সামনের দিকে এগোনোর ব্যাপারে যে এখনও গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক অভিনব প্রস্তাব-প্রকল্পে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনীহায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল৷
দেশে আর্থিক-বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দক্ষ শিল্পকর্মী তৈরির জন্য কমিউনিটি কলেজের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে স্নাতক স্তরে ভোকেশনাল কোর্স খোলা এবং চালু দু'টি কোর্সে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছিল ইউজিসি৷ অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজে চালু পেশাদার কোর্সের দু'টি করে বিষয়ে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা৷ ইউজিসি-র যুগ্ম সচিব কে পি সিং চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশিকায় জানান, আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারে৷ সেই সঙ্গে ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়াকের্র (এনএসকিউএফ) আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজে নতুন পেশাদার কোর্স খোলারও প্রস্তাব দেয় ইউজিসি৷ এ ক্ষেত্রে আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল৷ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এ রাজ্য থেকে সে ভাবে সাড়া না পাওয়ায় পাওয়ায় ইউজিসি-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেদপ্রকাশ স্বয়ং কলকাতা ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়ে প্রস্তাব-পরিকল্পনা স্মরণও করিয়ে দেন৷ তিনি জানান, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ইউজিসি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তাও করবে৷
তার পরেও কমিউনিটি কলেজ ও ভোকেশনাল কোর্স খুলতে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে সে ভাবে সাড়া মেলেনি৷ ফলে উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজ্যের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া স্নাতকস্তরের পঠন-পাঠন শেষে শিল্পসংস্থায় চাকরির সুযোগ হারালেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তার কথায়, 'কোর্স শেষে পড়ুয়াদের চাকরি সুনিশ্চিত করতেই ইউজিসি চেয়েছিল, দু'টি প্রকল্পেই পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি তৈরি, প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেলবন্ধন ঘটুক৷ কিন্ত্ত সে সুযোগ হাত ছাড়া হল৷' ব্যতিক্রম দু'চারটি৷ যেমন, আশুতোষ কলেজ৷ এই কলেজই শুধুমাত্র কমিউনিটি কলেজ ও ভোকেশনাল কোর্স চালু ও প্রসারের অনুমতি পেয়েছে৷ অথচ, রাজ্যের মধ্যে শুধু কলকাতা ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই রয়েছে, যথাক্রমে, ১৩৮ ও ২১৪টি কলেজ!
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্য অবশ্য দায় ঠেলেছেন ইউজিসি-র উপরেই৷ তাঁর দাবি, 'ইউজিসি-র এই প্রকল্পের কোর্সগুলি নিয়ে পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে৷ এ রকম কোর্স নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দেশজুড়ে কর্মশালা করা উচিত ছিল ইউজিসি-র৷' উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজের অধ্যক্ষ তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিলন পালের আবার যুক্তি, 'ইউজিসি-র চিঠিগুলি ঠিক সময়ে কলেজের হাতে পেঁৗছয়নি৷ মূলত, যোগাযোগের অভাবেই সদর্থক সাড়া মেলেনি৷' রঞ্জনবাবু, মিলনবাবুরা এ কথা বললেও অসম, মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের গুচ্ছ গুচ্ছ কলেজ কিন্ত্ত ইউজিসি-র দু'টি প্রকল্পে প্রভূতই সাড়া দিয়েছে৷
যেমন সাড়া দিয়েছেন এ রাজ্যের গুটিকয় কলেজের মধ্যে আশুতোষের কর্তৃপক্ষ৷ অধ্যক্ষ দীপক কর বলেন, 'এই প্রকল্পের সবচেয়ে সুবিধা হল, পড়ুয়ারা চাকরি পেলে যে কোনও সময় কোর্স থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে৷ অর্থাত্, মাল্টি এন্ট্রি ও মাল্টি এক্সিটের সুবিধা আছে৷ শিক্ষার সঙ্গে শিল্পসংস্থা সরাসরি যুক্ত থাকায় পড়ুয়াদের চাকরি পেতে সাধারণ কোর্সের তুলনায় সুবিধাই হবে৷' সেমেস্টার কোর্স৷ সেল্ফ ফিনান্সিং কলেজে এই কোর্সগুলি পড়তে সেমেস্টার পিছু খরচ ৩০ হাজার টাকা৷ কিন্ত্ত ইউজিসি আর্থিক সাহায্য দেওয়ায় বছরে লাগবে আসলে ১২ হাজার টাকা৷ তিন বছরের ভোকেশনাল কোর্সের জন্য ইউজিসি কলেজ-পিছু ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ও দু'বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল৷
সুযোগ হাত ছাড়া করে আবারও উদ্যোগহীনতা এবং মানসিক জাড্যেরই নজির গড়ল রাজ্য৷
রাজ্যে কমিউনিটি কলেজ আশুতোষ কলেজ: অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা ইন (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট ও (খ) মোবাইল কমিউনিকেশন ভট্টর কলেজ (পশ্চিম মেদিনীপুর): ডিপ্লোমা ইন (ক) ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট ও (খ) হসপিটালিটি ম্যানজেমেন্ট
স্নাতকে ভোকেশনাল কোর্স আশুতোষ কলেজ: (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট (খ) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড ফিশারিজ বেলদা কলেজ (পশ্চিম মেদিনীপুর): (ক) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট ও (খ) থিয়েটার ও স্টেজ ক্র্যাফট ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজ (উত্তর ২৪ পরগনা) : (ক) মিডিয়া ইন ব্রডকাস্ট জার্নালিজম ও (খ) প্রিন্টিং ইন বুক পাবলিশিং মহিষাদল গার্লস কলেজ (পূর্ব মেদিনীপুর) : (ক) থিয়েটার আর্টস ও (খ) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট
http://eisamay.indiatimes.com/state/west-bengal-govt-careless-about-participating-in-ugcs-unique-scheme/articleshow/35962281.cms?
No comments:
Post a Comment