Monday, June 2, 2014

৬ বছর পর খুলছে রহস্য-সিন্দুকের তালা

৬ বছর পর খুলছে রহস্য-সিন্দুকের তালা

chest
এই সময়: যবনিকা পড়ছে সিন্দুক রহস্যে!

২০০৮ সালে উদ্ধার হওয়া তালাবন্ধ তিনটি সিন্দুকে কী আছে? গুপ্তধন, তাল তাল সোনা, নাকি সিন্দুকের পাল্লা খুললেই বেরিয়ে আসবে রাশি রাশি মণিমাণিক্য? কে-ই বা পাবে এই সম্পত্তি৷ আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা৷ ১৬ জুন, সোমবার মিলে যাবে এই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর৷

কোথা থেকে এল এই রহস্যময় সিন্দুকগুলি?

গড়িয়াহাট থানা এলাকায় রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে একটি বাড়ি ও জমির মালিকানা ছিল মহামায়া পালের নামে৷ ২০০৮-এ ওই জমি-বাড়ি তিনি বিক্রি করে দেন একটি জুতো প্রস্ত্ততকারী সংস্থাকে৷ ঠিক হয়, পুরোনো নির্মাণ ভেঙে ফেলে বহুতল গড়বে ওই সংস্থাটি৷ যথারীতি সে কাজ শুরুও হয়েছিল৷ মাটি খুঁড়তে গিয়ে বের হয় পেল্লায় ভারী তিনটি লোহার সিন্দুক৷ দীর্ঘদিন মাটির নীচে পড়ে থেকে সেগুলির অনেক জায়গায় জং ধরে গিয়েছে৷ তিনটি সিন্দুকেই ছিল তালা৷ নির্মাণ সংস্থার ঠিকাকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে৷ ক্রেনের সাহায্যে তুলে সিন্দুক তিনটি আনা হয় থানায়৷ তার পর থেকেই সেগুলির ঠাঁই হয়েছে গড়িয়াহাট থানার মালখানায়৷ থানার এক অফিসার বলেন, 'ওই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে সিন্দুকগুলি৷ কারণ এগুলির মালিকানা কার, তার তো নিষ্পত্তি হয়নি৷' মহামায়াদেবী এবং ওই সংস্থা, দু'পক্ষই সিটি সিভিল কোর্টে মামলা করেছে৷ মামলা চলছে দীর্ঘ ছ'বছর ধরে৷ এরমধ্যেই জল্পনা চরমে, কী আছে সিন্দুকগুলিতে?

এর সঙ্গে যে প্রশ্নটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, তা হল সিন্দুকগুলির মালিকানা কার? যিনি জমি বিক্রি করেছেন, নাকি যিনি ওই জমি কিনেছেন তাঁর৷ এ নিয়েই মামলা৷ মামলার জট না খুললে তো সিন্দুকের তালাও খুলবে না! তাই মালিকানা চূড়ান্ত করার জন্য শেষমেশ আদালতের নির্দেশে ওই সিন্দুকগুলির তালা খুলতে চলেছে ১৬ জুন৷ সেগুলি খোলার জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গড়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সেইমতো গড়া হয়েছে টিম৷ অন্য সব প্রস্ত্ততিও শেষ৷ এত পুরোনো আমলের সিন্দুক তো আর শুধু ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা যাবে না, চাই গ্যাস কাটার৷ এটি চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গেও৷

তবে সামান্য তালা খুলতে এতদিন লেগে যাওয়ায় বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ তবে এ সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে কৌতূহল৷

কাউন্টডাউন শুরু৷ সিন্দুক খুলতে বাকি আর মাত্র দু'সপ্তাহ!

No comments:

Post a Comment