রোজগারও অনিশ্চিত নির্যাতিতার পরিবারের
অথচ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলছেন, 'এ রকম নির্দেশের কথা আমি জানি না৷' বিডিও সুমন বিশ্বাস অবশ্য জানিয়েছেন, 'বুধবার চাল, জামাকাপড় পৌঁছে দেওয়া হবে গ্রামে৷ মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য সাইকেলও দেওয়া হবে৷' মহম্মদবাজার থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার নিগৃহীতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে সিউড়ি আদালতে৷
হেমাভ সেনগুপ্ত
মহম্মদবাজার: ঘটনার পরে পাঁচদিন হয়ে গিয়েছে৷ নির্যাতিতা মেয়ে আগলে থানা-পুলিশ-আদালত-গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা৷ ঘরে একলাটি পড়ে মানসিক প্রতিবন্ধী সেজ মেয়ে৷ গ্রামের কেউ তাকে এক গেলাস জলও সাধেনি৷ খিদেয় চিত্কার করে কেঁদেছে, কেউ ফিরে চায়নি৷ গ্রামের সবাই মুখ ঘুরিয়েছে! ক্ষুব্ধ স্বরে প্রশ্ন তুলেছে, ওরা কেন থানা-পুলিশ করল? কেন সালিশি মানল না? পাঁচদিন কাজে যাননি মহম্মদবাজার থানা এলাকায় নিগৃহীতার দিনমজুর বাপ-মা৷ ফলে সংসারে এখন হাঁড়ির হাল৷
পুলিশি নিরাপত্তায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) সঙ্গে সোমবার ঘরে ফিরেছেন বটে, কিন্ত্ত মেয়ে দু'টোকে রেখে তাঁরা কাজে বেরোবেন কী করে? পুলিশের টহলদারি ভ্যান অবশ্য দু'বেলা নিয়ম করে ঘুরে যায়৷ কিন্ত্ত বাকি সময়টা? প্রাণ উড়ে যায় বাবা-মায়ের৷ বাবা বলেন, 'এ বছর গাঁয়ে চাষ হয়নি৷ তাই কাজ নেই৷ কখনও দূরে পাথর খাদানে কাজ করতে যাই৷ কখনও অন্য গাঁয়ে মুনিশ খাটতে যাই৷ কিন্ত্ত ওদের রেখে যাব কী করে?' মা বলেন, 'কিন্ত্ত ঘরে কিচ্ছু্টি নেই! কোনও রকমে আজ খাওয়া জুটেছে৷ কাল থেকে কি উপোস করাব মেয়ে দু'টোকে? বলল প্রশাসন সাহায্য করবে৷ কেউ তো এল না৷ পঞ্চায়েত সদস্যেরও দেখা পেলাম না৷' গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে গ্রামে একঘরে হওয়ার ভয়৷
সে ভয়ের যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, মানছেন বীরভূম সিডব্লিউসি-র সদস্যেরাও৷ তাঁদেরই একজন বললেন, 'মেয়েটিকে পৌঁছে দিতে যখন ওদের বাড়ি গেলাম, দেখলাম ওর প্রতিবন্ধী দিদি খাটিয়ায় শুয়ে কাঁদছে৷ গ্রামের কেউ ফিরেও দেখছেন না৷ দুপুর গড়িয়ে বিকেল তখন৷ কেউ একদানা খাবার দেয়নি ওকে৷ অথচ আশপাশের সব বাড়িতে লোক রয়েছে৷' কমিটির অন্যতম সদস্য সংযুক্তা ভট্টাচার্য বলেন, 'ওরা যে গ্রামে একঘরে হয়ে রয়েছে, আতঙ্কে রয়েছে, সেটা ওদের কথা থেকে স্পষ্ট৷ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে বলা হয়েছে৷'
সংযুক্তাদেবীই জানান, মঙ্গলবার নির্যাতিতার কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে৷ ওর বয়ানের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে৷ মেয়েটি জানিয়েছে, হোমে নয়, গ্রামে বাবা-মায়ের কাছে থেকেই পড়াশোনা করতে চায় সে৷ তাকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে বুধবার থেকে ফের চলবে কাউন্সেলিং৷ কিন্ত্ত প্রশাসনিক সাহায্যের কী হবে? পঞ্চায়েত সদস্যকে তো গ্রামে দেখাই যাচ্ছে না৷ তিনি জানালেন, 'পুলিশ আমাকে গ্রামে যেতে বারণ করেছে৷ তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে পারছি না৷'
মহম্মদবাজার: ঘটনার পরে পাঁচদিন হয়ে গিয়েছে৷ নির্যাতিতা মেয়ে আগলে থানা-পুলিশ-আদালত-গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা৷ ঘরে একলাটি পড়ে মানসিক প্রতিবন্ধী সেজ মেয়ে৷ গ্রামের কেউ তাকে এক গেলাস জলও সাধেনি৷ খিদেয় চিত্কার করে কেঁদেছে, কেউ ফিরে চায়নি৷ গ্রামের সবাই মুখ ঘুরিয়েছে! ক্ষুব্ধ স্বরে প্রশ্ন তুলেছে, ওরা কেন থানা-পুলিশ করল? কেন সালিশি মানল না? পাঁচদিন কাজে যাননি মহম্মদবাজার থানা এলাকায় নিগৃহীতার দিনমজুর বাপ-মা৷ ফলে সংসারে এখন হাঁড়ির হাল৷
পুলিশি নিরাপত্তায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) সঙ্গে সোমবার ঘরে ফিরেছেন বটে, কিন্ত্ত মেয়ে দু'টোকে রেখে তাঁরা কাজে বেরোবেন কী করে? পুলিশের টহলদারি ভ্যান অবশ্য দু'বেলা নিয়ম করে ঘুরে যায়৷ কিন্ত্ত বাকি সময়টা? প্রাণ উড়ে যায় বাবা-মায়ের৷ বাবা বলেন, 'এ বছর গাঁয়ে চাষ হয়নি৷ তাই কাজ নেই৷ কখনও দূরে পাথর খাদানে কাজ করতে যাই৷ কখনও অন্য গাঁয়ে মুনিশ খাটতে যাই৷ কিন্ত্ত ওদের রেখে যাব কী করে?' মা বলেন, 'কিন্ত্ত ঘরে কিচ্ছু্টি নেই! কোনও রকমে আজ খাওয়া জুটেছে৷ কাল থেকে কি উপোস করাব মেয়ে দু'টোকে? বলল প্রশাসন সাহায্য করবে৷ কেউ তো এল না৷ পঞ্চায়েত সদস্যেরও দেখা পেলাম না৷' গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে গ্রামে একঘরে হওয়ার ভয়৷
সে ভয়ের যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, মানছেন বীরভূম সিডব্লিউসি-র সদস্যেরাও৷ তাঁদেরই একজন বললেন, 'মেয়েটিকে পৌঁছে দিতে যখন ওদের বাড়ি গেলাম, দেখলাম ওর প্রতিবন্ধী দিদি খাটিয়ায় শুয়ে কাঁদছে৷ গ্রামের কেউ ফিরেও দেখছেন না৷ দুপুর গড়িয়ে বিকেল তখন৷ কেউ একদানা খাবার দেয়নি ওকে৷ অথচ আশপাশের সব বাড়িতে লোক রয়েছে৷' কমিটির অন্যতম সদস্য সংযুক্তা ভট্টাচার্য বলেন, 'ওরা যে গ্রামে একঘরে হয়ে রয়েছে, আতঙ্কে রয়েছে, সেটা ওদের কথা থেকে স্পষ্ট৷ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে বলা হয়েছে৷'
সংযুক্তাদেবীই জানান, মঙ্গলবার নির্যাতিতার কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে৷ ওর বয়ানের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে৷ মেয়েটি জানিয়েছে, হোমে নয়, গ্রামে বাবা-মায়ের কাছে থেকেই পড়াশোনা করতে চায় সে৷ তাকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে বুধবার থেকে ফের চলবে কাউন্সেলিং৷ কিন্ত্ত প্রশাসনিক সাহায্যের কী হবে? পঞ্চায়েত সদস্যকে তো গ্রামে দেখাই যাচ্ছে না৷ তিনি জানালেন, 'পুলিশ আমাকে গ্রামে যেতে বারণ করেছে৷ তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে পারছি না৷'
অথচ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলছেন, 'এ রকম নির্দেশের কথা আমি জানি না৷' বিডিও সুমন বিশ্বাস অবশ্য জানিয়েছেন, 'বুধবার চাল, জামাকাপড় পৌঁছে দেওয়া হবে গ্রামে৷ মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য সাইকেলও দেওয়া হবে৷' মহম্মদবাজার থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার নিগৃহীতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে সিউড়ি আদালতে৷
http://eisamay.indiatimes.com/state/Rape-victims-family-on-the-verge-of-starvation-at-Mohammadbazar/articleshow/36011981.cms
No comments:
Post a Comment