বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি
মোরসালিন মিজান
যথেষ্ট সাহসী এখন বাংলাদেশ। দারুণ আত্মবিশ্বাসী। স্বপ্ন দেখতে জানে। প্রমাণ- বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পেশ হওয়া বাজেট। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এদিন ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে পেশ করা বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বাজেটটি ছিল ৭শ’ ৮৬ কোটি টাকার। আর বৃহস্পতিবার পেশ করা বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারী বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নতির চ্যালেঞ্জটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান মুহিত। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ধরে এই বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে ঘাটতি থাকছে ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
প্রতিবারের মতোই পুরো বাজেট বক্তৃতা সংসদ ভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল। এফএম রেডিওগুলোতেও ছিল অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা। পুরো বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন ঢাকার ব্যবসায়ী শিল্পপতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। টেলিভিশনের শোরুমগুলোতে অন করা টিভিতে অন্য সময় চলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। কিংবা খেলা। গতকাল ছিল বাজেট বক্তৃতা। বাইরে দাঁড়িয়ে সে বক্তৃতা শুনতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ কেউ আসা-যাওয়ার পথে জানতে চাইছিলেন, কোন্ জিনিসের দাম বাড়ছে আর কমছে কোন্গুলোর।
একই দিন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংরক্ষণ পরিবেশগত মান উন্নয়নে সার্বিক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশের মতো রাজধানীতে পালিত হয়েছে বিশেষ এ দিবস। এদিন সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ দিনব্যাপী পরিবেশ মেলা এবং ৩ মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবেশ রক্ষায় তাঁর সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি। কিন্তু কার কথা কে শোনে? ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই বিচ্ছিরি শহরে পরিণত হচ্ছে ঢাকা। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এখানে সবুজ কমছে। নদী ভরাট হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাসহ মহানগরীর আশপাশের নদীগুলো মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। দখল হচ্ছে খেলার মাঠ। আর সেসব জায়গায় গড়ে উঠছে উঁচু বিল্ডিং। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি অপসারণ করা যায়নি। উল্টো প্রতিদিনই নতুন নতুন পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান চেয়েছেন পরিবেশবিদ ও এ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
আর মাত্র ক’দিন পর ১২ জুন শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ফুটবলের সবচেয়ে বড় এ আসর এবার বসছে ব্রাজিলে। তবে তারও আগে বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকায় শুরু হয়ে গেছে উৎসব। সর্বত্র এখন বিশ্বকাপ ফুটবলের আগমনী বার্তা। শহরের উঁচু ভবনের ছাদে পতপত করে উড়ছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা। রাস্তার ধারে ফেরি করে চলছে পতাকা বিক্রি। প্রিয় দলের জার্সি উঠেছে শপিংমলগুলোতে। বিক্রি হচ্ছে দেদার। নতুন করে টেলিভিশন কেনা হচ্ছে অনেক বাসায়। কে, কোথায় প্রিয় দলের খেলা দেখবেন- চলছে সে প্রস্তুতি। এভাবে আর কিছুদিন যাবে। তার পর শুরু ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪। আপাতত অপেক্ষা।
প্রতিবারের মতোই পুরো বাজেট বক্তৃতা সংসদ ভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল। এফএম রেডিওগুলোতেও ছিল অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা। পুরো বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন ঢাকার ব্যবসায়ী শিল্পপতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। টেলিভিশনের শোরুমগুলোতে অন করা টিভিতে অন্য সময় চলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। কিংবা খেলা। গতকাল ছিল বাজেট বক্তৃতা। বাইরে দাঁড়িয়ে সে বক্তৃতা শুনতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ কেউ আসা-যাওয়ার পথে জানতে চাইছিলেন, কোন্ জিনিসের দাম বাড়ছে আর কমছে কোন্গুলোর।
একই দিন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংরক্ষণ পরিবেশগত মান উন্নয়নে সার্বিক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশের মতো রাজধানীতে পালিত হয়েছে বিশেষ এ দিবস। এদিন সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ দিনব্যাপী পরিবেশ মেলা এবং ৩ মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবেশ রক্ষায় তাঁর সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি। কিন্তু কার কথা কে শোনে? ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই বিচ্ছিরি শহরে পরিণত হচ্ছে ঢাকা। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এখানে সবুজ কমছে। নদী ভরাট হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাসহ মহানগরীর আশপাশের নদীগুলো মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। দখল হচ্ছে খেলার মাঠ। আর সেসব জায়গায় গড়ে উঠছে উঁচু বিল্ডিং। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি অপসারণ করা যায়নি। উল্টো প্রতিদিনই নতুন নতুন পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান চেয়েছেন পরিবেশবিদ ও এ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
আর মাত্র ক’দিন পর ১২ জুন শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ফুটবলের সবচেয়ে বড় এ আসর এবার বসছে ব্রাজিলে। তবে তারও আগে বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকায় শুরু হয়ে গেছে উৎসব। সর্বত্র এখন বিশ্বকাপ ফুটবলের আগমনী বার্তা। শহরের উঁচু ভবনের ছাদে পতপত করে উড়ছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা। রাস্তার ধারে ফেরি করে চলছে পতাকা বিক্রি। প্রিয় দলের জার্সি উঠেছে শপিংমলগুলোতে। বিক্রি হচ্ছে দেদার। নতুন করে টেলিভিশন কেনা হচ্ছে অনেক বাসায়। কে, কোথায় প্রিয় দলের খেলা দেখবেন- চলছে সে প্রস্তুতি। এভাবে আর কিছুদিন যাবে। তার পর শুরু ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪। আপাতত অপেক্ষা।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-06-06&ni=175167
No comments:
Post a Comment