Thursday, June 5, 2014

দারিদ্র্য বিলোপের বাজেট ০ পেশ হলো ২০১৪-১৫ বাজেট ০ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ৫শ’ ৬ কোটি টাকা ০ রাজস্ব খাত পরিসর বৃদ্ধির চেষ্টা ০ মানব সম্পদ উন্নয়নে ২৪.৩ শতাংশ

দারিদ্র্য বিলোপের বাজেট
০ পেশ হলো ২০১৪-১৫ বাজেট
০ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ৫শ’ ৬ কোটি টাকা
০ রাজস্ব খাত পরিসর বৃদ্ধির চেষ্টা
০ মানব সম্পদ উন্নয়নে ২৪.৩ শতাংশ
---------------------ৈ---------------------------
* মোট ব্যয় : ২,৫০,৫০৬ কোটি
* রাজস্ব প্রাপ্তি ও বৈদেশিক অনুদান মোট : ১,৮৯,১৬০ কোটি
* অর্থ সংস্থান : ৬১,৩৪৬ কোটি
---------------------------------------------------
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে। তবে উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে বেশি ব্যয়ের বাজেট দিতে গিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত করের বোঝা চাপবে সাধারণ মানুষের ওপর।
অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী অর্থবছরে যে বাজেটটি তিনি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তা যেমন হবে প্রবৃদ্ধি সহায়ক, তেমনি তা মূল্যস্ফীতিকে সংযত রাখবে। জনগণ এতে তাদের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন দেখবে। সে সঙ্গে গত ৩ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের ধংসাত্মক কার্যকলাপ তুলে ধরে সবার প্রতি আহ্বান জানান, ‘আসুন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন সব কর্মকা-কে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করি।’
প্রস্তাবিত বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- চলমান রাজস্ব ও মুদ্রানীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সে সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে জোরদার করা হবে রাজস্ব আহরণ। পাশাপাশি অব্যাহত থাকবে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাজস্ব খাতের পরিসর বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী এমন একটি দেশ উত্তর প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চান, সেখানে থাকবে না দারিদ্র্য আর বৈষম্য, অনৈক্যের অপছায়া আর অপশাসনের নিষ্পেষণ।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিকল্পনা বড় হওয়ায় নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণও বেড়েছে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। যা দেশের মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ। তবে বিদেশী অনুদান ঠিকমতো পাওয়া গেলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৪.৫ শতাংশ। বিশাল এ ঘাটতি বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়া হবে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। যা শেষ পর্যন্ত বেসরকারী বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
-------------------------------------------------
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম পৃষ্ঠা-১৩
-------------------------------------------------
বরাবরের মতো এবারও বাজেটে আয়ের খাতের তুলনায় ব্যয়ের খাত অনেক বড়। মোট দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৫৪ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এ অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে রাজস্ব ব্যয় (সরকারী চাকরিজীবীদের বেতনভাতা) বাবদ এক লাখ ২৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার হচ্ছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এ কর্মসূচীতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সার্বিক কৃষিখাতে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪.৩ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মানব সম্পদ খাতে।
এ ব্যয়ের বিপরীতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা আয়ের আশা করা হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডবহির্ভূত কর ব্যবস্থা থেকে পাঁচ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে করসমূহ থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। আর নতুন অর্থবছরে করসমূহ থেকে পাওয়া যাবে এক লাখ ৫৫ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। ফলে আগামী অর্থবছরে অতিরিক্ত কর আদায় হবে ২৫ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। যা দেশবাসীর ওপর বোঝা হিসেবে চাপবে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কর ব্যতীত (বিভিন্ন টোল ও সেবা ফি ইত্যাদি খাত) অন্য খাত থেকে ২৭ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। দেশের ভেতর থেকে আয়ের এসব উৎস ছাড়াও বিদেশ থেকে অনুদান বাবদ ছয় হাজার ২০৬ কোটি টাকা পাওয়ার হিসাব করেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত তাঁর নতুন বাজেটে। বৈদেশিক অনুদান যেহেতু পরিশোধ করতে হয় না, তাই বাজেটে এটিকে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নের বড় অংশই সংস্থান করা হবে দেশীয় উৎস থেকে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া হবে ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়া হবে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে আসবে ১২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
ঘাটতি অর্থায়ন মেটাতে দেশী ঋণের পাশাপাশি বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিতে হয় সরকারকে। নতুন অর্থবছরের ঘাটতি মেটাতে ২৬ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা বিদেশী ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেখান থেকে আবার আট হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে আগে থেকে নেয়া বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধ করতে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরের ঘাটতি অর্থায়ন করতে মোট ১৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা বিদেশী ঋণ আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বিদেশী উৎস থেকে ২৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু কাক্সিক্ষত মাত্রায় বিদেশী ঋণ না পাওয়ায় তা কমিয়ে ২১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
বর্তমানে সরকারের জন্য বৃহস্পতিবারের বাজেট ঘোষণা ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই প্রথম বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সরকারের মেয়াদ পূরণের পর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট জাতীয় সংসদে ঘোষণা করল। সরকারের এ ধারাবাহিকতা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে উচ্চতর এক সোপানে পৌঁছে দেবে বলে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ ১৬৩ পৃষ্ঠার দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় মহাজোট সরকারের গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্ষেপে তুলে ধরেন। সে সঙ্গে বিদায়ী অর্থবছরের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের একটি চিত্র দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করেন।
নতুন অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ প্রাক্কলন ছিল ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ১১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী এবার কিছুটা কঠোর হয়েছেন। সে সঙ্গে কর্মসংস্থানের খাতিরে কিছুটা ছাড়ও দিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর কর্পোরেট করের হার কমানো হলো। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছে অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক টার্নওভারের ওপড় ন্যূনতম কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাড়ির মালিকদের কর ফাঁকি ঠেকাতে বাড়িভাড়া ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেয়ার বিধান চালু হতে যাচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ধনীদের কর বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখলেও ধনীদের ওপর কর বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যাঁদের বার্ষিক আয় ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি, তাদের করহার ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ ধনীদের কর হার আগে ২৫ শতাংশ ছিল, আগামী ২৯ জুন অর্থমন্ত্রীর নতুন প্রস্তাবসহ এ বাজেট পাস হলে এ অঙ্ক ৩০ শতাংশ হবে। ধনীদের করের হার বাড়ানোর পক্ষে অর্থমন্ত্রী সম্পদের ‘সুষম বণ্টন’ নিশ্চিত এবং ধনী-গরিবের ‘বৈষম্য হ্রাস’ করার উদ্দেশ্যকে যুক্তি দেখিয়েছেন। বলেছেন, ‘করের ন্যায্যতা ও প্রগতিশীলতার নীতি অনুসরণ করে উচ্চ আয় অর্জনকারী করদাতার ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকার অধিক আয়ের ওপর প্রযোজ্য করের হার ২৫ শতাংশের স্থলে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
ধূমপাণকে নিরুৎসাহিত করতে যথারীতি বিড়ি ও সিগারেটের ওপর শুল্ক হার বাড়ানো হয়েছে। তবে কম দামী সিগারেটের চেয়ে বিড়ির দাম বেশি বেড়েছে। এ শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সবমিলিয়ে বিড়ির করভার বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং কমদামী সিগারেটের করভার বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সংশোধিত বাজেট ॥ চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে সর্বমোট সরকারী ব্যয়ের প্রাক্কলন ছিল দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা ছয় হাজার ২৬৯ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৮.৩ শতাংশ। মূলত প্রকল্প সাহায্য হ্রাস পাওয়ায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বরাদ্দ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় বাজেটের আকার হ্রাস পেয়েছে।
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা কমিয়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
ফলে চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি বেড়ে গেছে। মূল বাজেটে প্রাক্কলিত ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৪.৬ শতাংশ। কিন্তু অনুন্নয়ন ব্যয় না কমায় এ ব্যয় বেড়ে জিডিপির পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। টাকার অঙ্কে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে, তা অক্ষুণœ থকার ওপর সংশোধিত বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্ভর করবে।
নতুন বাজেট উপস্থাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন শুরু হয় বিকেল সাড়ে তিনটায়। এ সময় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশন কক্ষে আসেন। তার সঙ্গে সঙ্গেই অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সংসদে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩টা ৩৫ মিনিটে আসেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। অবশ্য রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ পাশাপাশি আসনে বসেন। তবে দীর্ঘদিন বাজেট উপস্থাপনের দিন সংসদে বিরোধী দল উপস্থিত ছিল। ফলে বাজেট পেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ছিল বেশি পরিপূর্ণ ও জমজমাট। সংসদে দর্শক গ্যালারিগুলোও ছিল পূর্ণ।
অর্থমন্ত্রীর মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে সংসদে বাজেট পেশ শুরু করেন। গত কয়েক বছরের মতো এবারও পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। যা সংসদ সদস্যদের বুঝতে সুবিধা হয়।
জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে দুপুরে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেট অনুমোদন করা হয়। বাজেট অনুমোদনের পর তা সংসদ ভবনেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেয়া হয় তা বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনের জন্য। কারণ জাতীয় সংসদে কোন অর্থবিল উপস্থাপন করতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর বাজেটের ওপর আলোচনার শেষে আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে পাস হবে নতুন বাজেট।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-06-06&ni=175150

No comments:

Post a Comment