Thursday, June 5, 2014

মায়া এঞ্জেলার চির বিদায়

মায়া এঞ্জেলার চির বিদায়
শামস আরেফিন
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে ২৮ মে চলে গেলেন মায়া এঞ্জেলা। কিন্তু রয়ে গেলে তার অবিস্মরণীয় সাহিত্যকর্ম। রয়ে গেছে ‘আই নো হুয়াই দ্যা কেইজড বার্ড সিঙস’ ও হৃদয়ছোঁয়া শক্তি। রয়ে গেছে তাঁর সাত খ-ের আত্মজীবনী, তিনটি গদ্যের, কয়েকটি কবিতার বই। অসংখ্য নাটক, চলচিত্র ও টেলিভিশন শোতে মাতিয়ে গেছেন পৃথিবীকে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডজনখানেকেরও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। ত্রিশটিরও বেশি সম্মানসূচক ডিগ্রী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন। ১৯৬৯ সালে ‘আই নো হুয়াই দ্যা কেইজড বার্ড সিঙস’ আত্মজীবনীতে বাল্যকাল থেকে কৈশোরে পদার্পণের জীবনকাহিনী তুলে ধরে মূলত পাঠক ও সমালোচকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন। কিভাবে তিনি এত স্বীকৃতি পেলেন তা উঠে এসেছে তার সাক্ষাতকারে। যখন তিনি বলেন, ‘খুব ছোট থাকতেই আমি জেনে গেছি জীবন ভালবাসে তাকে, যার হৃদয়ে বেঁচে থাকার সাহস আছে।’ মাত্র ত্রিশ বছর বয়সেই তিনি এ সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আর এই সত্য বুঝতে পেরেছিলেন বলেই জীবনযুদ্ধে কখনও চিকেন ফ্রা তৈরির বাবুর্চি, নাইটক্লাবের নর্তকি, পতিতা, গায়ক, প্রচার সম্পাদক, সাউদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স’ এর পরিচালক, ঘানায় ও মিসরে সাংবাদিকতা করে ঔপনিবেশিক বিরোধী তীব্র আন্দোলনের মাঝেও লেখক হতে পেরেছেন। কারণ তিনি বলেন, ‘আমি সাহিত্যচর্চাকে আমার জীবনের অংশ করতে পেরেছি। যেমন খাওয়া ও গান শোনাকে আমি আমার জীবনের অনিবার্য অংশ করেছি।’
তাঁর জন্মের তিন বছরের মাথায় পিতামাতার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। তার বড় ভাইয়ের বয়স তখন মাত্র চার বছর। এই অল্প বয়সে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাবা তাদের একাকী সেন্ট লুসিয়া মিসেসৌরি থেকে ট্রেনে তুলে দেন স্ট্যাম্পস সিটিতে দাদি এ্যানি হেন্ডারসনের কাছে। সেই অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে ভালই কাটছিল তাদের দাদিমার দিন। তিনি একটি জেনারেল স্টোরের মালিক ছিলেন। অথচ তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সর্বত্র মন্দা। আর আফ্রিকান দাসদের তুলা সংগ্রহ করে বেকার কাটতে হতো শেতাঙ্গ মালিকদের কৃষি জমিতে। চার বছর পর বাবা তাদের আবার মায়ের কাছে সেন্ট লুসিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আট বছর বয়সে মায়ের বয়ফ্রেন্ড তার শ্লীলতাহানি করে। সেই অনাকাক্সিক্ষত বাস্তবতা তাঁর কাকা জানার সাথে সাথে লোকটিকে রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করে। লোকটির এই করুণ মৃত্যুতে তিনি দারুণভাবে আহত হন। প্রায় পাঁচ বছর কোন শব্দ আর উচ্চারণ করেননি। এই ঘটনার পর আবার দাদির কাছে ফিরে আসতে হয়। দাদিমাই তাঁর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। দাদি বাল্যকালে তাঁকে খুব আদর করতেন। দাদির সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দাদি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। চুল আঁচড়ে বেণী করে দিতেন। দাদি বলতেন, “আপু তুই কখনো লোকের মন্দ কথায় কান দিবি না। আমি জানি তোর কত বুদ্ধি। শীঘ্রই তুই একজন বড় শিক্ষিকা হবি আর পুরো পৃথিবীটাকে শেখাবি।” হয়ত ভবিষ্যত দেখার বিশেষ কোন ক্ষমতা ছিল তার’।
কিন্তু এতেও তার উৎসাহ জাগেনি। নিজেকে জানার অপার আগ্রহ তাঁকে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যায়। ১৪ বছর বয়সে তিনি আবার মায়ের সাথে থাকতে শুরু করলেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া লেবার স্কুলে ভর্তি হন। উচ্চশিক্ষা অর্জনের পূর্বে তিনি কখনো ট্রামের কন্ডাক্টর হিসেবে চাকরি করেন। ১৭ বছর বয়সে স্কুলের অধ্যায় শেষ করার পর তিনি এক সন্তানের জননীও হন। সেই অভিজ্ঞতার বাস্তব চিত্রায়ন তুলে ধরেন ‘আই নো হুয়াই দ্য কেইজড বার্ড সিঙস’ বইটিতে। এ সময় তিনি ৩০ দিনের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকেন। বইটিতে তিনি আরও বলেন ১৯৪০ এর দশকে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে হয়েছে। করতে হয়েছে নাইট ক্লাবের নর্তকির চাকরি, কখনও বা বাবুর্চি, কখনও গাড়ির রং করা আবার কখনও স্যান দিয়াগো পতিতালয়ে সর্দারনী ও পতিতা হয়েও থাকতে হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই সময়গুলো হয়ত তার জীবনের পরিসমাপ্তি টানতে পারত। কিন্তু জীবনযুদ্ধে তিনি এত সহজে হার মানার মানুষ নয়। তাই তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই জানতাম আমার প্রাপ্তির চেয়ে সম্মান ও ক্ষমতা বেশি। তাই চেষ্টায় কখনো ত্রুটি ছিল না। সর্বাত্মক শ্রম ও চেষ্টার আগ পর্যন্ত কখনই কোন কিছু ছেড়ে চলে আসিনি।’
১৯৫১ সালে তিনি এক জাহাজ ফেরত ক্যাপ্টেন ও ইলেকট্রিশিয়ানকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও নৃত্য শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন। কিন্তু সানফ্রান্সিসকোতে তেমন উন্নতি করতে না পারায় নিউইয়র্ক সিটিতে স্বামী সন্তানসহ উচ্চতর নৃত্যে অধ্যয়ন করার জন্য যান। সেখানে আফ্রিকান নৃত্য শিখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার পিছু ছাড়েনি। ১৯৫৪ সালেই স্বামীর সাথে সর্ম্পক ছেদ করতে বাধ্য হয় সে। ১৯৫৭ সারে এঞ্জেলার প্রথম গানের এলবাম ‘মিস ক্যালিপসো’ প্রকাশিত হয়। এলবামটি প্রকাশিত হওয়ার পর পর নাইটক্লাবে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ১৯৫৯ সালে এঞ্জেলা ঔপন্যাসিক জেমস ও কিলেন সাথে বন্ধুত্ব হয়। তার অনুরোধে তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে যান এবং লেখালেখির প্রতি মনোনিবেশ করেন। তিনি লেখক সংগঠন ‘হারলেম রাইটার গিল্ড’-এর সাথে এ সময় যুক্ত হন আর এভাবে অসংখ্য কৃষ্ণাঙ্গ লেখকের সাথে মেশার সুযোগ পান। এ সময় তিনি মানবতাবাদী কর্মী মার্টিন লুথার কিংয়েরও সান্নিধ্য লাভ করেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে ‘সাউদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স’-এর আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৬১ সালে ‘এঞ্জেলা জ্যাঁ জেন’- এর নাটক দ্য ব্লাকে অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেতা আবে লিঙ্কন, রোসকো লি ব্রাউন, জেমস আর্ল জোনসসহ আরও অনেকের সাথে। এ বছরই তিনি ‘মেইক’ এর সাথে কায়রোতে যান আর ‘দ্য আরব অবজারভার’ সাপ্তাহিক ইংরেজী পত্রিকার সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে ‘মেইক’ এর সাথে তার সর্ম্পক ছিন্ন হয়। আর সেই সময় একমাত্র আদুরে সন্তানও সড়কদুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়। ১৯৬৫ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ঘানার প্রশাসক পদে চাকরি নেন। তবে এ সময় তার কলমও চলতে থাকে সমান তালে। তাই কখনও তিনি দ্যা আফ্রিকান রিভিউ এর ফিচার এডিটর ছিলেন, কখনও ‘ঘানাইয়ান টাইমস’ এ লিখেছেন। আবার কখনও অনুষ্ঠানও নির্মাণ করেছেন ঘানা রেডিওর জন্য। এ বছরই তিনি আমেরিকায় ফিরে এসে গায়িকা জীবনের ইতি টানেন। হাওয়াই সিটিতে গিয়ে তিনি ভাইয়ের সাথে বসবাস শুরু করেন। খুব কাছ থেকে তখন তিনি কৃষ্ণাজ্ঞ ও শেতাঙ্গ দাঙ্গা দেখেন। এই দাঙ্গা তাঁর জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
১৯৬৯ সালে তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে ফিরে আসেন শুধু লেখক হওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে। নিউইয়র্কের বন্ধু জেমস ব্লাদউইন ও রোজা গাই’- এর উৎসাহে লেখক জীবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু সবচেয়ে কাছের বন্ধু জেরি পার্সেলই লেখক জীবনের প্রথমদিককার ব্যয়বার বহন করত। লেখালেখির কারণে অন্য কোন কাজে মনযোগী হতে পারেননি। ১৯৬৮ সালের দাঙ্গা ও মার্টিন লুথার কিংয়ের মৃত্যু জীবনে গভীর রেখাপাত করে। আমেরিকার সেই বেদনাময় মুহূর্তগুলো না দেখলে এই পৃথিবী হয়ত অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখা মায়া এঞ্জেলাকে আবিষ্কার করতে পারত না। এ কারণেই বিখ্যাত লেখক গিলেস্পি বলেন, ‘১৯৬৮ সাল আমেরিকার জন্য ভয়ঙ্কর দুঃখ, দুর্দশার বছর। আবার এই বছরই আমেরিকা প্রথম প্রত্যক্ষ করল মায়া এঞ্জেলার লেখার শক্তি ও সৃষ্টিশীলতা’। পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি আমেরিকার আধুনিক সঙ্গীতে কৃষ্ণাঙ্গদের অবদান নিয়ে দশ খ-ের একটি ডকুমেন্টারি রচনা করেন ‘ন্যাশনাল এডুকেশনাল টেলিভিশন’- এর জন্য। তারপর এক ডিনার পার্টির আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তিনি র‌্যানডম হাউজ প্রকাশনার সম্পাদকের প্রস্তাবে এক নিশ্বাসে লিখে ফেলেন, ‘আই নো হুয়াই দ্য কেইজড বার্ড সিঙস’। এই আত্মজীবনীই তাকে রাতারাতি পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃতি এনে দেয়।
এত বৈচিত্র্যময় কাজ করার পরেও তার মনে হয়নি- তার নতুন কিছু করার নেই আর। বরং বড় হওয়ার প্রচ- তাড়নায় জীবনের এক সিঁড়ি থেকে অন্য সিঁড়িতে যাওয়ার প্রেরণা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও শুধু লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জনের প্রত্যয় কিভাবে ধরে রেখেছেন তা জানাতে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘বড়ো লেখক হয়ে ওঠার ইচ্ছা আমার। এখনও সেই রাস্তা দিয়েই চলছি। আমি মনে করি শব্দ নিয়ে কাজ করাটাই লেখকের গুরুদায়িত্ব। পৃথিবীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শব্দ।...শব্দ নিয়ে নিজের মন মতো খেলে একজন লেখক। এই শব্দকে লেখক বলের মতো ছুড়ে মারেন কল্পনার দেয়ালে। আর বলের মতো বাউন্স করে তা আবার ফিরে আসে লেখকেরই কাছে। ১৯৮০ সালে পৃথিবীজুড়ে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের অভিষেক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কবিতা ‘অন দ্যা প্যালেস অব মর্নিং’। জিতেছেন আমেরিকার সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল মডেল অব ফ্রিডম’। তিনি এই সব কৃতিত্বের জন্য ১৭ বছর বয়সে জন্ম নেয়া তার পুত্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ জানান। তিনি মনে করেন এত অল্প সময়ে সন্তানের জননী না হলে তাঁকে এভাবে জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হতো না। তাই তিনি বলেন, ‘আমার পুত্রটি আমার কাছে আজও এক বিস্ময়। ও আমার আশীর্বাদ ও প্রেরণাস্বরূপ।’
এক সাক্ষাতকারে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- এতসব কাজের মাঝে কোনটিকে নিজের জন্য সর্বাধিক উপযুক্ত মনে করেন। তিনি বলেন ‘এর উত্তর আমি দিতে পারব না। কারণ আজকের পছন্দ কালই হয়ত বদলে যেতে পারে। এটি অনেকটা কোন মাকে প্রশ্ন করা- আপনার কোন সন্তানটি সবচেয়ে আদরের? তবে আমার মনে হয় আমি প্রকৃতি একজন কবি। যা লিখি, তার সবই হয়ত কবিতা হয়ে ওঠে না। কিছু হয়ত গদ্য হয়ে ওঠে বা কিছু হয়ত একেবারেই অর্থহীন। কিন্তু আমি প্রথমত নিজেকে জানি একজন কবি হিসেবে। আগে একজন ড্যান্সার ছিলাম। হয়ত সবসময়ের জন্য আমি ড্যান্সারই থেকে যাব। কারণ মানুষের চলাফেরা ও প্রকৃতিরি গতি এসবের মাঝে এক ধরনের নৃত্যের ছন্দ খুঁজে পাই।’
প্রকাশিত আত্মজীবনী তার খ্যাতির মূল কারণ বলে মনে করেন অনেক সমালোচকরা। কারণ তার কবিতার বই তেমন বিক্রি হয়নি। অথচ তার প্রকাশিত প্রত্যেকটি আত্মজীবনী সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায় অবস্থান করত। তারপর অধিকাংশ সমালোচক ‘ আই নো হুয়াই দ্য কেইজড বার্ডস সিঙস’ অন্য পাঁচটি আত্মজীবনীর তুলনায় শ্রেষ্ঠ বলেছেন। তাঁর দ্বিতীয় আত্মজীবনী ‘গেদার টুগেদার ইন মাই নেম’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। আত্মজীবনীর তৃতীয় অংশ ‘সিনঙ্গিন অ্যান্ড সুইঙ্গিন অ্যান্ড গেটিন; ম্যারি লাইক ক্রিসমাসে’ প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে । আর ১৯৮১ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীর চতুর্থ খ- ‘পর্গি অ্যান্ড বেস; দ্য হার্ট অব উইমেন’। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘অল গডস চিলড্রেন নিড ট্রাভেলিং শো’ আত্মজীবনী পঞ্চম পর্ব। অবশেষে ১৫ বছর সময় নিয়ে আত্মজীবনী ‘অ্যা সঙ ফ্লাঙ আপ টু হেভেন’ ২০০২ সালে রচনা করেন। তাঁর আত্মজীবনীর তুলনায় কবিতার বইয়ের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি পাঠ্যসূচীর অংশ হতে পারেনি। যেমন তার অনেক গদ্য ও আত্মজীবনী বিভিন্ন স্কুলে পাঠসূচীতে অন্তর্ভুক্ত। তবু তার কবিতা খুবই আবেদনময় হয়ে ওঠে, যখন তা আবৃত্তি করা হয়। অনেক সমালোচক তার কবিতার পাঠকপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দেন। কারণ তারা মনে করেন- এঞ্জেলার কবিতা সমাজের প্রতিধিত্বশীল ভূমিকা তৈরিতে সহায়ক। তার কবিতা ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয় আবার কানফেশনালও নয়। তার মৃত্যুতে বিশ্বসাহিত্য তার উজ্জ্বলতম নক্ষত্রকে হারিয়েছে। আর আমেরিকা হারিয়েছে তার সাহিত্যের মাধ্যমে বিবেক জাগ্রতকারী একনিষ্ঠ লেখককে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=37&dd=2014-06-06&ni=175148

No comments:

Post a Comment