মন দিয়ে পড়ছেন ব্রাজিলের দেহ ব্যবসায়ীরা
সাও পাওলো: একনিষ্ঠ৷ এক কথায় এমনই বিশেষ দিতে হয় ব্রাজিজের দেহ ব্যবসায়ীদের৷ প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের রজনীতি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই তাঁদের৷ অর্থনৈতিক ভাবে তেমন সবল না হয়েও বিশ্বকাপের আয়োজন করার প্রয়োজ আদৌ আছে কি না, সে নিয়েও ভাবার সময় নেই তঁদের৷ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরীক্ষা আগের রাতের মতো তত্পরতায় পড়াশোনা করতেই ব্যস্ত তাঁরা৷ ইংরেজি আর মনস্তত্ব --- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুই বিষয় শিখে নেওয়ার সরিয়া প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্রাজিলের কয়েক লক্ষ দেহ ব্যবসায়ী৷
দেশের পূর্ব উপকূলের কাছে থাকা বড় শহরগুলি সারা বছরই অল্পবিস্তর পর্যটকের আসা যাওয়া দেখে৷ এর মধ্যে রিও ডি জেনেইরোর মতো কয়েকটি শহরে তো প্রতি বছরই কার্নিভাল উপলক্ষে অজস্র পর্যটক আসেন৷ কিন্ত্ত বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনাই হয় না৷ কোন শহরে কতগুলি ম্যাচ পড়েছে তার তালিকা আগেই জোগাড় করে নিয়েছিলেন ব্রাজিলের দেহোপজীবিনীরা৷ এ বার চলছে সেই অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়ার পালা৷ স্বাভাবিক ভাবেই সাও পাওলো, রিও বা ব্রাসিলিয়ার মতো যে শহরগুলিতে বেশি সংখ্যক খেলা পড়েছে সেখানে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি৷ তুলনায় ছোট শহরে বা শহরতলিগুলিতে অনেক বেশি 'সুবিধা' আশা করছেন তাঁরা৷ তাই সারা বিশ্ব থেকে আসা ছোট বড় সব টিমের সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে ইংরেজি শিখতে মন দিয়েছিলেন এঁরা৷
সেটা অবশ্য বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণার পরই শুরু হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সম্প্রতি সারা বিশ্বের মানুষের মন জয় করার জন্য চট জলদি কিছুটা মনস্তত্বও শিখে নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন এই মহিলার দল৷ ম্যাচের আগের দিন উত্সাহে ভরপুর কোনও ফ্যান বা গো-হারা হেরে মন খারাপ করা কোনও ফ্যান যাতে তাঁর দুয়ারে কড়া নেড়ে হতাশ না হন তার জন্যই মনস্তত্ত্বের ক্র্যাশ কোর্সের ঢালাও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ একদিকে যেমন বিশ্বকাপ বিরোধী আন্দোলনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রশাসন, অন্য দিকে তেমনি পোয়া বারো ইংরেজি আর মনস্তত্ত্বের শিক্ষকদের৷
শুধুই শিক্ষকরা নন, স্বল্প মেয়াদের জন্য যাঁরা বাড়ি ভাড়া দেন বিশ্বকাপের দৌলতে চটজলদি কিছু পয়সা কামিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরাও৷ দিনপ্রতি ৩৫ পাউন্ডের কমে ঘর ভাড়ার চুক্তি করতে রাজি হচ্ছেন না কোনও বাড়িওয়ালাই৷ ব্যবসা জমাতে ঝাড়া পোঁছা শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রাজিলের নাইটক্লাবগুলিতেও৷ করতেই হবে৷ একে তো বিপুল সংখ্যক বারের অস্তিত্বের জন্য ব্রাজিলকে 'বার ক্যাপিটাল' বলে জানে সারা বিশ্ব৷ তার ওপর বিশ্বকাপের জন্য এই বার ও নাইটক্লাব থেকেও দেহ ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ খদ্দের জোগাড় করবেন বলে অনুমান৷ তাই ভোল পাল্টানো শুরু হয়েছে এখানেও৷
গত বছর রিওর একটি নাইটক্লাবে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েক জনের৷ বিশ্বকাপ চলার সময় যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্যও যথেষ্ট সতর্ক কর্তৃপক্ষ৷ বিদেশি অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য বিশে . খেতাবেরও আয়োজন করা হয়েছে৷ প্রায় প্রতি ছোট শহরেই 'সেরা দেহ ব্যবসায়ী' প্রতিযোগিতাও হয়েছে৷ কাজেই যিনি মনোরঞ্জন করছেন তাঁকে 'সাধারণ' মনে করার কোনও সুযোগই পাবেন না বিদেশ থেকে আসা দর্শকরা৷
দেশের পূর্ব উপকূলের কাছে থাকা বড় শহরগুলি সারা বছরই অল্পবিস্তর পর্যটকের আসা যাওয়া দেখে৷ এর মধ্যে রিও ডি জেনেইরোর মতো কয়েকটি শহরে তো প্রতি বছরই কার্নিভাল উপলক্ষে অজস্র পর্যটক আসেন৷ কিন্ত্ত বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনাই হয় না৷ কোন শহরে কতগুলি ম্যাচ পড়েছে তার তালিকা আগেই জোগাড় করে নিয়েছিলেন ব্রাজিলের দেহোপজীবিনীরা৷ এ বার চলছে সেই অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়ার পালা৷ স্বাভাবিক ভাবেই সাও পাওলো, রিও বা ব্রাসিলিয়ার মতো যে শহরগুলিতে বেশি সংখ্যক খেলা পড়েছে সেখানে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি৷ তুলনায় ছোট শহরে বা শহরতলিগুলিতে অনেক বেশি 'সুবিধা' আশা করছেন তাঁরা৷ তাই সারা বিশ্ব থেকে আসা ছোট বড় সব টিমের সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে ইংরেজি শিখতে মন দিয়েছিলেন এঁরা৷
সেটা অবশ্য বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণার পরই শুরু হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সম্প্রতি সারা বিশ্বের মানুষের মন জয় করার জন্য চট জলদি কিছুটা মনস্তত্বও শিখে নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন এই মহিলার দল৷ ম্যাচের আগের দিন উত্সাহে ভরপুর কোনও ফ্যান বা গো-হারা হেরে মন খারাপ করা কোনও ফ্যান যাতে তাঁর দুয়ারে কড়া নেড়ে হতাশ না হন তার জন্যই মনস্তত্ত্বের ক্র্যাশ কোর্সের ঢালাও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ একদিকে যেমন বিশ্বকাপ বিরোধী আন্দোলনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রশাসন, অন্য দিকে তেমনি পোয়া বারো ইংরেজি আর মনস্তত্ত্বের শিক্ষকদের৷
শুধুই শিক্ষকরা নন, স্বল্প মেয়াদের জন্য যাঁরা বাড়ি ভাড়া দেন বিশ্বকাপের দৌলতে চটজলদি কিছু পয়সা কামিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরাও৷ দিনপ্রতি ৩৫ পাউন্ডের কমে ঘর ভাড়ার চুক্তি করতে রাজি হচ্ছেন না কোনও বাড়িওয়ালাই৷ ব্যবসা জমাতে ঝাড়া পোঁছা শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রাজিলের নাইটক্লাবগুলিতেও৷ করতেই হবে৷ একে তো বিপুল সংখ্যক বারের অস্তিত্বের জন্য ব্রাজিলকে 'বার ক্যাপিটাল' বলে জানে সারা বিশ্ব৷ তার ওপর বিশ্বকাপের জন্য এই বার ও নাইটক্লাব থেকেও দেহ ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ খদ্দের জোগাড় করবেন বলে অনুমান৷ তাই ভোল পাল্টানো শুরু হয়েছে এখানেও৷
গত বছর রিওর একটি নাইটক্লাবে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েক জনের৷ বিশ্বকাপ চলার সময় যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্যও যথেষ্ট সতর্ক কর্তৃপক্ষ৷ বিদেশি অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য বিশে . খেতাবেরও আয়োজন করা হয়েছে৷ প্রায় প্রতি ছোট শহরেই 'সেরা দেহ ব্যবসায়ী' প্রতিযোগিতাও হয়েছে৷ কাজেই যিনি মনোরঞ্জন করছেন তাঁকে 'সাধারণ' মনে করার কোনও সুযোগই পাবেন না বিদেশ থেকে আসা দর্শকরা৷
No comments:
Post a Comment