Monday, June 16, 2014

নূর হোসেনকে ফেরত আনা দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্তের বিষয় কলকাতা পুলিশের মন্তব্য

নূর হোসেনকে ফেরত আনা দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্তের বিষয়
কলকাতা পুলিশের মন্তব্য
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালতের দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম এডউইন লেপচা। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে কলকাতা গ্রেফতার হওয়া বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তার পাঁচ সহযোগীকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। বাগুইহাটি থানার ৩৩৯নং মামলায় বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী সেলিম ও খান সমুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের পক্ষে আদালতে দাঁড়াননি কোন আইনজীবী। আগামী ২৩ জুন আবারও আদালতে হাজির করা হবে তাদের। আদালতে তোলার আগে তাদের আদালত হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ নূর হোসেনের কাছ থেকে উদ্ধার করা ১০ মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখছে তার সঙ্গে কথা বলেছেন কারা? বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় অনুপ্রবেশ করেছে তারা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ব্রাঞ্চ পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ খবর জানা গেছে।
কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাদের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়। আদালতে নূর হোসেনসহ তার পাঁচ সহযোগীকে আনা নেয়ার সময়ে তাদের খুবই বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। নূর হোসেন ছাড়াও আদালতে হাজির করার সময়ে ছিল গ্রেফতারকৃত অপর আসামি আনোয়ার হোসেন, সেলিম, আশিক, সুমন, শামীম। দুপুর সোয়া ২টার দিকে কাঠগড়ায় তোলা হয় তাদের। এরপর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালতের দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম এডউইন লেপচার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হাজির করার পর তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালত তাদের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তাদের বিরুদ্ধে কাগজপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশ এবং অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নূর হোসেনকে খুঁজে বের করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ব্রাঞ্চ।
কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ জারিয়েছেন, নূর হোসেন তাদের বলেছেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় অনুপ্রবেশ করেছে। গ্রেফতার করার সময়ে প্রথমে তার নাম যে নূর হোসেন স্বীকার করেনি। পরে তার ছবি ও জেরার মুখে তার নাম নূর হোসেন বলে স্বীকার করে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি বলে স্বীকার করেছে নূর হোসেন। সে কবে কিভাবে কলকাতায় প্রবেশ করেছে এবং কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা। দমদম পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলকাতার দমদম নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস বিমানবন্দরের পাশে বাগুইহাটির কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী শাখা। কলকাতা পুলিশের এ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের (এটিএস) এসিপি অনিমেষ সরকারের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। কলকাতা দমদম স্টেশনের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে নূর হোসেনকে গ্রেফতারের সময় তার সঙ্গে সাত খুন মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন আশিক, সুমন, শামীমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। নূর হোসেনের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি রিভলবার, বাংলাদেশ ও ভারতের ১০টি মোবাইল সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, সিডি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের বারাসাত আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়েছে রবিবার দুপুর প্রায় পৌনে দুইটায়। এর আগে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে কোর্ট হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ সময় রবিবার দুপুর প্রায় পৌনে দুইটার দিকে তাদের আদালতে নেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল কলকাতায়। শুধু নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তার পাঁচ সহযোগীকে রবিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য আদালত বসানোর ব্যবস্থা করা হয় বারাসাতে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনাকারী দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের স্থানীয় লোকজন বলেছেন, নূর হোসেন কিছু দিন ধরে ওই এলাকার একটি বহুতল ভবনের পাঁচতলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কলকাতার এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয়রা জানতেন তিনি অসুস্থ এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছেন। গত এক মাসের বেশি সময় নূর হোসেন ওই ভবনে ছিলেন বলে ভবনের অন্য বাসিন্দা ও নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের জন্য যেই নূর হোসেনকে খোঁজা হচ্ছিল, কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি তিনি কিনা প্রথমে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। কলকাতার পুলিশের কাছে নূর হোসেনের যে ছবি আছে তার সঙ্গে এই ব্যক্তির চেহারার মিল থাকার পরই গ্রেফতার হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা।



স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যা বলেছেন

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার প্রধান আসামি কলকাতায় গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার। খুব শীঘ্রই তাকে ভারত থেকে ফেরত আনা হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় এ চুক্তির আওতায় খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে তাকে ও তার সহযোগীদের। রবিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
গণমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। শনিবার রাতে কলকাতার কাছাকাছি এলাকা থেকে ৫ সহযোগীসহ নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কবে নাগাদ ফিরিয়ে আনা যাবে, কোন জটিলতা তৈরি হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন জটিলতা হবে না। চুক্তি অনুযায়ী সুনিশ্চিতভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে সময় লাগে। প্রক্রিয়াগত কারণে এক্ষেত্রেও কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে আমরা কোন ‘জজ মিয়া’ নাটক তৈরি করব না। জবাবদিহিতায় নিয়ে আসব। কমিটমেন্ট অনুযায়ী এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছেন বলেও মনে করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বন্দিবিনিময় চুক্তি অথবা ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া গ্রেফতারের বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানায়নি। রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি নূর হোসেন গ্রেফতার হয়েছে। তবে অফিসিয়ালভাবে এখনও কোন তথ্য পাইনি। কলকাতার বাংলাদেশ হাই কমিশনকেও এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ থেকে কোন কিছু জানানো হয়নি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের নিকট আবেদন করলে নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন্দিবিনিময় চুক্তি অথবা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।



কললিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে
নূর হোসেনের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি রিভলবার, বাংলাদেশ ও ভারতের ১০টি মোবাইল সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, সিডি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা মোবাইল ফোন দুইটি থেকে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ কথা জানিয়েছন কলকাতার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জের পলাতক এই কাউন্সিলর সম্পর্কে সব তথ্য ইন্টারপোল থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। নূর হোসেনের কাছে পাওয়া দুটি মোবাইল ফোনেরই সিম পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কতদিন ধরে কলকাতায় আছেন। একই সঙ্গে এখানে এবং বাংলাদেশে তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাও জানা যাবে। এখানে বাংলাদেশী অপরাধীদের কারা আশ্রয় দেয় তাদের সম্পর্কেই জানা যাবে। বাংলাদেশে খুনের অভিযোগে তাকে যে খোঁজা হচ্ছিল সেটা নিশ্চিত হতেও আমাদের জন্য সহায়ক হবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সীমান্ত এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেটওয়ার্কগুলোকে চিহ্নিত করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি। কলকাতার গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, কারা নূর হোসেনকে নিরাপদে অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছে, সেটা জানতে পারাটা হবে একটা দারুণ ব্যাপার।



কলকাতার মামলাগুলোরকী হবে?
নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়াও তার কাছে অবৈধ অস্ত্র, মোবাইল ফোনের সিম পাওয়া গেছে। এই ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে রবিবার তাকে বারাসাত আদালতে হাজির করে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনার পর যে মামলা হয়েছে সেই মামলার বিচার হবে কিভাবে কোথায়? কলকাতায় তার বিচার হলে তো সহসা তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নাও হতে পারে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সাজা শেষ হলে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রশ্ন উঠবে। এই ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচারের জন্য নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। নূর হোসেনের ব্যাপারে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে রেড নোটিস থাকলেও শীঘ্রই তাকে ফেরত পাঠানোর কোন সম্ভাবনা দেখছি না বলে মন্তব্য করেন কলকাতার এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।


কোষাধ্যক্ষ হাসমত আলী কোথায়?
এর আগে নূর হোসেনের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পরিচিত হাসমত আলী হাসুকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তার গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রশ্ন উঠেছে, হাসমত আলী হাসু কি আদৌ বেঁচে আছেন? বেঁচে থাকলে তিনি এখন কোথায়? শুধু ধারণার ওপর ভরসা করে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে নূর হোসেনের সঙ্গে যোগ দিতেই হাসু পালানোর চেষ্টা করছিল। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসার সময় নূর হোসেনও একই রুট ব্যবহার করে থাকতে পারে।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment