Sunday, June 1, 2014

সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন
দুটি ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর তীরে বসবাসরত হিজলাকোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলামসহ শত শত পরিবারের চোখে মুখে অজানা আতঙ্ক। বাঁধভাঙ্গা পানিতে যেকোন সময় তলিয়ে যেতে পারে তাদের বসতবাড়িসহ ফসলী ক্ষেত, পুকুর আর চিংড়ি ঘের। এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দুটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর ৩টি স্থানে ভেড়িবাঁধে ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কোথাও বাঁধের সামান্য অংশ অবশিষ্ট। আবার কোথাও নদী আর বাঁধ একই সমান। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল স্রোত ও সে সঙ্গে জোয়ারের আছড়ে পড়া পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ভাঙ্গনকবলিত খোলপেটুয়া নদীর হিজলাকোলা, সুভদ্রকাটি ও চাকলা এলাকার বেড়িবাঁধ। এলাকাবাসীর আশঙ্কা ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাঁধের ওই ৩টি স্থান জরুরীভাবে সংষ্কার না করলে যেকোন মুহূর্তে প্রতাপনগর ও পার্শ্ববর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ গ্রাম প্লাাবিত হতে পারে।
সরেজমিন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর ৩টি স্থানে দেখা যায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ভয়াবহ চিত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক মাস আগে খোলপেটুয়া নদীর হিজলাকোলা, সুভদ্রকাটি ও চাকলা বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রাথমিকভাবে যখন বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন শুরু হয়, সে সময় দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বাঁধ এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতো না- এমন অনুযোগ এলাকাবাসীর। গত এক সপ্তাহ বর্ষায় নদীতে জোয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবল স্রোত ও সে সঙ্গে বাতাসে ঢেউ বইছে। ফলে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করছে। ৩টি স্থানে কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে জানান ওই স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে যখন খোলপেটুয়া নদীর ওই ৩টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয় সেই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ না আসার অজুহাত দেখিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু বর্তমানে ভাঙ্গন এতই তীব্র আকার ধারণ করেছে, জরুরী ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় প্রতাপনগর ও পার্শ¦বর্তী শ্রীউলা ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম রবিবার বিকালে জনকণ্ঠকে বলেন, বাঁধ মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ বা অনুমতি পেলে বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=14&dd=2014-06-02&ni=174791

No comments:

Post a Comment