সন্দ্বীপের উড়িরচরের ৬ খুনের কিছুই জানে না পুলিশ
সন্দ্বীপ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন, ২০১৪
সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল আতংকের জনপদ উড়িরচর ইউনিয়নে প্রকাশ্যে ছয়টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ বলছে তারা কিছুই জানে না। স্থানীয় সাধারণ মানুষ অজানা আতংকে ও ভয়ে মুখ খুলছে না। খুন হওয়া জিফুল, কালা, রাসেল, জামাল, আবদুল হাই ও জহির এ ছয়জনের মধ্যে রাসেলের বাবা আজম মাঝি, জিফুলের স্ত্রী সেলিনা বেগম, জহিরের বাবা সোলেমান ও কালার স্ত্রী সাইমুনা বেগম এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন, তাদের সন্তান ও স্বামীদের নব্য জলদস্যু সম্রাট জাহাঙ্গীর-কামালের নেতৃত্বে জলদস্যু সোহরাব, ছোটন, পারভেজ, মোশারেফ, আয়ুব আলী, তাজন মাঝি, আকতার গং প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন, কালা ও জিফুলের লাশ জনতাবাজারের পশ্চিমে বড় খালে দেখতে পেয়েছেন এবং অন্য একটি লাশ দক্ষিণ উড়িরচরের ভেণ্ডরের খালে দেখেছেন বলেও জানান। তবে সন্দ্বীপ ওসি (তদন্ত) বিজন কুমার বড়ুয়া ও উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কাশেম জানান, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। কেউ অভিযোগও করতে আসেনি। এদিকে নিহতদের স্বজনরা প্রাণভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জলদস্যুদের উপর্যুপরি হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারছেন না। তবে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত উপজেলা নির্বাচনের পর পরই উড়িরচরে জলদস্যু সম্রাট শাহাদাত হোসেন জাসুকে র্যাব স্থানীয় সোর্সদের মাধ্যমে আটক করে এবং পরে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এর পর পরই জাহাঙ্গীর-কামালের নেতৃত্বে অন্য একটি নব্য জলদস্যু গ্র“প উড়িরচরের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে নিহত জাসুর বেঁচে থাকা অবশিষ্ট সহযোগীদের নিশ্চিন্ন করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত হামলা পরিচালনা করে। ফলে ২৫ জুন এ ছয় খুনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিমত। উড়িরচরের খাসজমি, গরু, মহিষ, ভেড়া পালন, খাল, গুদিঘাট, বনাঞ্চল একক নিয়ন্ত্রণে নিতে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে দুটি জলদস্যু গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে আসছে। এ পর্যন্ত ৩০-৪০ জনের মতো উভয় গ্র“পের সদস্য নিহত হয়। অথচ স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনী বরাবরই দাবি করে আসছে উড়িরচর সব সময় তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
- See more at: http://www.jugantor.com/bangla-face/2014/06/28/116277#sthash.V93yxSLF.dpufপ্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন, কালা ও জিফুলের লাশ জনতাবাজারের পশ্চিমে বড় খালে দেখতে পেয়েছেন এবং অন্য একটি লাশ দক্ষিণ উড়িরচরের ভেণ্ডরের খালে দেখেছেন বলেও জানান। তবে সন্দ্বীপ ওসি (তদন্ত) বিজন কুমার বড়ুয়া ও উড়িরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কাশেম জানান, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। কেউ অভিযোগও করতে আসেনি। এদিকে নিহতদের স্বজনরা প্রাণভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জলদস্যুদের উপর্যুপরি হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারছেন না। তবে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত উপজেলা নির্বাচনের পর পরই উড়িরচরে জলদস্যু সম্রাট শাহাদাত হোসেন জাসুকে র্যাব স্থানীয় সোর্সদের মাধ্যমে আটক করে এবং পরে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এর পর পরই জাহাঙ্গীর-কামালের নেতৃত্বে অন্য একটি নব্য জলদস্যু গ্র“প উড়িরচরের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে নিহত জাসুর বেঁচে থাকা অবশিষ্ট সহযোগীদের নিশ্চিন্ন করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত হামলা পরিচালনা করে। ফলে ২৫ জুন এ ছয় খুনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিমত। উড়িরচরের খাসজমি, গরু, মহিষ, ভেড়া পালন, খাল, গুদিঘাট, বনাঞ্চল একক নিয়ন্ত্রণে নিতে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে দুটি জলদস্যু গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে আসছে। এ পর্যন্ত ৩০-৪০ জনের মতো উভয় গ্র“পের সদস্য নিহত হয়। অথচ স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনী বরাবরই দাবি করে আসছে উড়িরচর সব সময় তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment