পাকা লিচুতে নেই মারণ রাসায়নিক, মিলল রিপোর্ট
এই সময়, মালদহ: লিচু পরীক্ষা করে মিলল না কোনও মারণ রাসায়নিকের অস্তিত্ব৷ কাজেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে 'অজানা রোগে' মৃত শিশুদের রোগের কারণ এখনও পর্যন্ত থেকে গেল 'অজানা'ই৷
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জ্বর-মাথা যন্ত্রণা, বমি, খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে একের পর এক শিশু ভর্তি হচ্ছিল মালদহ মেডিক্যালে৷ তাদের মধ্যে বেশকিছু শিশুর মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ চিকিত্সকদের মুখে মুখে রোগের নাম হয় 'লিচি সিনড্রোম'৷ স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দল ছুটে আসেন মালদহে৷ তাঁরা জানান, লিচু থেকেই রোগের উত্পত্তি কিনা তা জানতে লিচু পরীক্ষার প্রয়োজন৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের চিহ্নিত করে দেওয়া এলাকার কিছু বাগান থেকে গত ৯ জুন লিচুর নমুনা সংগ্রহ করে জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের প্রতিনিধি দল৷ সেগুলির রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়৷ সোমবার সেই রিপোর্টই এসে পৌঁছেছে মালদহে৷ উদ্যান পালন দপ্তরের সহ-অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী জানান, লিচুতে ১৪০ রকমের রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার সম্ভাবনা থাকে৷ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাতে ১৩৯ রকমের কীটনাশকের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি৷ আলফা সাইপারমেথ্রিন নামে একটি রাসায়নিক মিলেছে৷ কিন্ত্ত যে মাত্রায় সেটি রয়েছে, তা ক্ষতিকর নয়৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকার উল্লেখ করে রাহুলবাবু বলেন, 'হু স্পষ্ট বলছে প্রতি কেজি লিচুতে ২ মিগ্রার বেশি আলফা সাইপারমেথ্রিন থাকলে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ কিন্ত্ত যে লিচু পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে এই রাসায়নিকের পরিমাণ ০.৫ থেকে ১.০৪ মিগ্রা পর্যন্ত রয়েছে৷ ফলে মালদহের লিচু সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ নির্ভয়ে খাওয়া চলতে পারে৷'
তবে 'লিচি সিনড্রোমের' আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে লিচুর বাজারে৷ উদ্যান পালন দপ্তরই জানিয়েছে, চলতি মরসুমে মালদহে ১৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু উত্পাদন হয়েছে৷ কিন্ত্ত বিধানসভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ঘোষণায় (কাঁচা লিচুর টক্সিনেই মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের) লিচু খাওয়া এক রকম বন্ধই করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ৷ ফলে চরম বিপাকে লিচু-ব্যবসায়ীরা৷ মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, 'লিচু নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়৷ প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হত৷ বিধানসভায় ঘোষণা করার আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর আরও নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল বলেই মনে হয়৷ তা হলে ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষকে এ রকম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হত না৷' সোমবার এ ব্যাপারে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী৷ তিনি বলেন, 'চন্দ্রিমাদেবী কাঁচা লিচুর টক্সিনের কথা বলেছিলেন৷ পাকা লিচুতে কোনও দোষ নেই৷ নির্ভয়ে পাকা লিচু খাওয়া চলতে পারে৷'
অন্য দিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ মণ্ডল সোমবারই জানান, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষায় আক্রান্ত শিশুদের দেহে চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনকেফেলাইটিস বা ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি৷ অন্যান্য যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে৷ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ যাবত্ লিচি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ, যার মধ্যে মারা গিয়েছে ১৯ জন৷ এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোমবারই নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কী করে, কেন এই ঘটনা ঘটল, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কাছে তার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও বিষয়টি জানিয়েছে কমিশন৷
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জ্বর-মাথা যন্ত্রণা, বমি, খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে একের পর এক শিশু ভর্তি হচ্ছিল মালদহ মেডিক্যালে৷ তাদের মধ্যে বেশকিছু শিশুর মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ চিকিত্সকদের মুখে মুখে রোগের নাম হয় 'লিচি সিনড্রোম'৷ স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দল ছুটে আসেন মালদহে৷ তাঁরা জানান, লিচু থেকেই রোগের উত্পত্তি কিনা তা জানতে লিচু পরীক্ষার প্রয়োজন৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের চিহ্নিত করে দেওয়া এলাকার কিছু বাগান থেকে গত ৯ জুন লিচুর নমুনা সংগ্রহ করে জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের প্রতিনিধি দল৷ সেগুলির রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়৷ সোমবার সেই রিপোর্টই এসে পৌঁছেছে মালদহে৷ উদ্যান পালন দপ্তরের সহ-অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী জানান, লিচুতে ১৪০ রকমের রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার সম্ভাবনা থাকে৷ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাতে ১৩৯ রকমের কীটনাশকের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি৷ আলফা সাইপারমেথ্রিন নামে একটি রাসায়নিক মিলেছে৷ কিন্ত্ত যে মাত্রায় সেটি রয়েছে, তা ক্ষতিকর নয়৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকার উল্লেখ করে রাহুলবাবু বলেন, 'হু স্পষ্ট বলছে প্রতি কেজি লিচুতে ২ মিগ্রার বেশি আলফা সাইপারমেথ্রিন থাকলে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ কিন্ত্ত যে লিচু পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে এই রাসায়নিকের পরিমাণ ০.৫ থেকে ১.০৪ মিগ্রা পর্যন্ত রয়েছে৷ ফলে মালদহের লিচু সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ নির্ভয়ে খাওয়া চলতে পারে৷'
তবে 'লিচি সিনড্রোমের' আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে লিচুর বাজারে৷ উদ্যান পালন দপ্তরই জানিয়েছে, চলতি মরসুমে মালদহে ১৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু উত্পাদন হয়েছে৷ কিন্ত্ত বিধানসভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ঘোষণায় (কাঁচা লিচুর টক্সিনেই মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের) লিচু খাওয়া এক রকম বন্ধই করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ৷ ফলে চরম বিপাকে লিচু-ব্যবসায়ীরা৷ মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, 'লিচু নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়৷ প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হত৷ বিধানসভায় ঘোষণা করার আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর আরও নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল বলেই মনে হয়৷ তা হলে ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষকে এ রকম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হত না৷' সোমবার এ ব্যাপারে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী৷ তিনি বলেন, 'চন্দ্রিমাদেবী কাঁচা লিচুর টক্সিনের কথা বলেছিলেন৷ পাকা লিচুতে কোনও দোষ নেই৷ নির্ভয়ে পাকা লিচু খাওয়া চলতে পারে৷'
অন্য দিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ মণ্ডল সোমবারই জানান, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দলের পরীক্ষায় আক্রান্ত শিশুদের দেহে চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনকেফেলাইটিস বা ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি৷ অন্যান্য যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে৷ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ যাবত্ লিচি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ, যার মধ্যে মারা গিয়েছে ১৯ জন৷ এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোমবারই নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কী করে, কেন এই ঘটনা ঘটল, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কাছে তার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও বিষয়টি জানিয়েছে কমিশন৷
No comments:
Post a Comment