Tuesday, June 3, 2014

পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে

পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে

gopinath

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সকাল ৬-২০ অরবিন্দ চকে পৃথ্বীরাজ রোড ও তুঘলক রোডের সংযোগস্থলে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে। এদিন সকালে দিল্লি থেকে মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যান মুন্ডের গাড়ির চালক ও আপ্তসহায়ক। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মন্ত্রীর। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।

এইমস-এর জয়প্রকাশ নারায়ণ অ্যাপেক্স ট্রমা সেন্টারের চিকিত্‍সক অমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন মুম্ডে। বিমানবন্দর যাওয়ার পথে গাড়ির সেই অংশেই এসে সজোরে ধাক্কা মারে অন্য গাড়িটি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুসারে, সংঘর্ষের জেরে মুন্ডের যকৃত ফুটো হয়ে যায় এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাঁর দেহে এ ছাড়া বড় কোনও চোট না লাগলেও দুর্ঘটনার অভিঘাতে সঙ্গে সঙ্গেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। জানা গিয়েছে, সেই সময় একবার জলপান করতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই সংজ্ঞা হারান তিনি।

হাসপাতালে আনার পর চিকিত্‍সকরা লক্ষ্য করেন, তাঁর নাড়ির গতি নিশ্চল। তা ছাড়া, তাঁর রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হৃদযন্ত্রও সাড়া দেয়নি। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় প্রায় কুড়ি মিনিট চেষ্টার পরও ফল মেলেনি। অবশেষে সকাল ৭-২০তে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

মাত্র গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অভিষেক হয় গোপীনাথ মুন্ডের। সম্পর্কে তিনি প্রয়াত বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের আত্মীয়। তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে বর্তমান। এদিন বেলা ১২-২০ নাগাদ একটি সামরিক ট্রাকে প্রয়াত মন্ত্রীর আত্মীয়দের নিয়ে এইমস-এ পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এবং হর্ষ ওয়ার্ধা। ময়নাতদন্তের পর অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় অশোক রোডে বিজেপির প্রধান দপ্তরে। সেখানে দুপুর ১২-৩০ থেকে ১-৩০ পর্যন্ত রাখার পর প্রয়াত মন্ত্রীর মরদেহ লাটুরের পথে রওনা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে অরবিন্দ চকের ট্র্যাফিক সিগনাল অমান্য করে একটি ইন্ডিকা গাড়ি তুঘলক রোডের দিক থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে পৃথ্বীরাজ রোড থেকে সফদরজং রোডের দিকে যাওয়া মুন্ডের মারুতি এসএক্স ফোরে। সঙ্গে সঙ্গেই সিটের উপর লুটিয়ে পড়েন মন্ত্রী। এই সময় চালকের কাছে জল পান করতে চান তিনি। একই সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে নির্দেশও দেন। সেই মতো ট্রমা সেন্টারে তড়িঘড়ি পৌঁছলেও শেষরক্ষা হয়নি।

ইন্ডিকা গাড়ির চালক গুরবিন্দর সিংকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আদালতে তোলা হলে তাঁকে জামিনে চেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি এলাকার বাসিন্দা বহু বছর ধরেই গাড়ি চালাচ্ছেন। এদিন তিনি সত্যিই ট্র্যাফিক সিগনাল অমান্য করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও অনুসন্ধান করছে পুলিশ।

No comments:

Post a Comment