আক্রমণ থেকে পার্টিকর্মীদের রক্ষা করাই প্রধান কাজ....
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেস যে ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পার্টিকে রক্ষা করা এবং কর্মী-সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখাই এখন প্রধান কাজ বলে চিহ্নিত করলেন সি পি আই (এম) সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। সি পি আই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্র্যাসি’র আগামী সংখ্যায় এক নিবন্ধে তিনি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃবৃন্দকে দ্রুততার সঙ্গে এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঐ নিবন্ধে কারাত লিখেছেন, লোকসভা ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সি পি আই (এম) এবং বামফ্রন্টের উপর নৃশংস হিংসা চলছে। ১২ই মে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় গত পনেরো দিন ধরে সি পি আই (এম) কর্মী এবং বামফ্রন্ট সমর্থকদের উপর ব্যাপক আক্রমণ চলছে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় তিন সি পি আই (এম) কর্মী খুন হয়েছেন। হাজারেরও বেশি বামফ্রন্ট সমর্থকরা তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর হামলায় জখম হয়েছেন। বাড়িঘর, গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আরো কয়েকশো সমর্থক।
তাঁর মতে নির্বাচনের পরে এগুলি কোনো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ বা হিংসার ঘটনা নয়। পরিকল্পনা করে, সুনির্দিষ্টভাবে নিচুতলার কর্মী এবং সমর্থকদের উপর হামলা করা হচ্ছে। যাঁরা নির্বাচনে কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে বামফ্রন্ট প্রার্থীর সমর্থনে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি যাঁরা বামফ্রন্টকে ভোট দিয়েছেন বলে চিহ্নিত করতে পারছে, তাঁদের উপরেও আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। সাংগঠনিকভাবে সি পি আই (এম)-কে ধ্বংস করা এবং বামফ্রন্টকে দমন করা যায় তার জন্য পরিকল্পিতভাবে হিংসা এবং নৃশংসতা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিস এবং প্রশাসনকে তৃণমূলের দলীয় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে বামফ্রন্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রমণকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত লোকসভা ভোটের পর থেকে ২০১১সালের বিধানসভা ভোটের মধ্যে ৩৮৮জন নারী-পুরুষ খুন হয়েছেন তৃণমূলের হামলায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৪জন সি পি আই (এম) কর্মী, সমর্থক খুন হয়েছেন। পার্টি অফিসে হামলা করে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
গোটা রাজ্যে নির্বাচনের সময়ে কমরেডরা যে ভাবে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের তীব্র সন্ত্রাস ও আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়েও আশমীরা বেগমের মতো হাজারো কর্মী, সমর্থকরা সাহসের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর মোকাবিলা করেছেন। এই বীর কমরেডদের উপর শারীরিক আক্রমণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রুটি-রুজির উপরও হামলা করা হচ্ছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত পার্টি কমরেডদের কাজে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় কৃষক এবং খেতমজুরদের মাঠে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক জায়গায় দোকান, ছোট কারখানা লুট করা হচ্ছে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই আক্রমণ শুধুই গণতন্ত্রের উপর ব্যাপক আক্রমণ নয় বরং লাগাতার সুনিয়ন্ত্রিত হিংসা এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে সি পি আই (এম) এবং বামফ্রন্টকে ধ্বংস করার ফ্যাসিস্ত সম্মিলিত প্রচেষ্টা। গ্রামীণ গরিব, খেতমজুর, আদিবাসী এবং মহিলা— যাঁরাই সি পি আই (এম) এবং লালপতাকার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাঁরাই এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
পার্টিকে রক্ষা করা, কর্মী এবং সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখাই এখন প্রধান কাজ। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে দ্রুততার সঙ্গে এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণ মোকাবিলায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিরোধ গড়া জরুরী। এটা শুধুই পশ্চিমবঙ্গে সি পি আই (এম) এবং বামপন্থীদের উপর আক্রমণ নয়, বরং গোটা দেশেই পার্টি এবং বাম আন্দোলনের উপর আক্রমণ। এই ফ্যাসিস্ত আক্রমণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংহতি জানাতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেস যে ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পার্টিকে রক্ষা করা এবং কর্মী-সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখাই এখন প্রধান কাজ বলে চিহ্নিত করলেন সি পি আই (এম) সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। সি পি আই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্র্যাসি’র আগামী সংখ্যায় এক নিবন্ধে তিনি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃবৃন্দকে দ্রুততার সঙ্গে এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঐ নিবন্ধে কারাত লিখেছেন, লোকসভা ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সি পি আই (এম) এবং বামফ্রন্টের উপর নৃশংস হিংসা চলছে। ১২ই মে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় গত পনেরো দিন ধরে সি পি আই (এম) কর্মী এবং বামফ্রন্ট সমর্থকদের উপর ব্যাপক আক্রমণ চলছে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় তিন সি পি আই (এম) কর্মী খুন হয়েছেন। হাজারেরও বেশি বামফ্রন্ট সমর্থকরা তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর হামলায় জখম হয়েছেন। বাড়িঘর, গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আরো কয়েকশো সমর্থক।
তাঁর মতে নির্বাচনের পরে এগুলি কোনো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ বা হিংসার ঘটনা নয়। পরিকল্পনা করে, সুনির্দিষ্টভাবে নিচুতলার কর্মী এবং সমর্থকদের উপর হামলা করা হচ্ছে। যাঁরা নির্বাচনে কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে বামফ্রন্ট প্রার্থীর সমর্থনে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি যাঁরা বামফ্রন্টকে ভোট দিয়েছেন বলে চিহ্নিত করতে পারছে, তাঁদের উপরেও আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। সাংগঠনিকভাবে সি পি আই (এম)-কে ধ্বংস করা এবং বামফ্রন্টকে দমন করা যায় তার জন্য পরিকল্পিতভাবে হিংসা এবং নৃশংসতা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিস এবং প্রশাসনকে তৃণমূলের দলীয় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে বামফ্রন্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রমণকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত লোকসভা ভোটের পর থেকে ২০১১সালের বিধানসভা ভোটের মধ্যে ৩৮৮জন নারী-পুরুষ খুন হয়েছেন তৃণমূলের হামলায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৪জন সি পি আই (এম) কর্মী, সমর্থক খুন হয়েছেন। পার্টি অফিসে হামলা করে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
গোটা রাজ্যে নির্বাচনের সময়ে কমরেডরা যে ভাবে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের তীব্র সন্ত্রাস ও আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়েও আশমীরা বেগমের মতো হাজারো কর্মী, সমর্থকরা সাহসের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর মোকাবিলা করেছেন। এই বীর কমরেডদের উপর শারীরিক আক্রমণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রুটি-রুজির উপরও হামলা করা হচ্ছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত পার্টি কমরেডদের কাজে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় কৃষক এবং খেতমজুরদের মাঠে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক জায়গায় দোকান, ছোট কারখানা লুট করা হচ্ছে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই আক্রমণ শুধুই গণতন্ত্রের উপর ব্যাপক আক্রমণ নয় বরং লাগাতার সুনিয়ন্ত্রিত হিংসা এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে সি পি আই (এম) এবং বামফ্রন্টকে ধ্বংস করার ফ্যাসিস্ত সম্মিলিত প্রচেষ্টা। গ্রামীণ গরিব, খেতমজুর, আদিবাসী এবং মহিলা— যাঁরাই সি পি আই (এম) এবং লালপতাকার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাঁরাই এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
পার্টিকে রক্ষা করা, কর্মী এবং সমর্থকদের সুরক্ষিত রাখাই এখন প্রধান কাজ। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে দ্রুততার সঙ্গে এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণ মোকাবিলায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিরোধ গড়া জরুরী। এটা শুধুই পশ্চিমবঙ্গে সি পি আই (এম) এবং বামপন্থীদের উপর আক্রমণ নয়, বরং গোটা দেশেই পার্টি এবং বাম আন্দোলনের উপর আক্রমণ। এই ফ্যাসিস্ত আক্রমণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংহতি জানাতে হবে।
No comments:
Post a Comment