ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভে বিরক্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ
এই সময়, রায়গঞ্জ: ছাত্র সংগঠনের দাদাগিরির জেরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ইস্তফায় ফের খবরের শিরোনামে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ৷ এ বার ইস্তফার কারণ, ছাত্র পরিষদের লাগাতার বাধায় অনলাইনে ভর্তি ভেস্তে যাওয়া৷ এতে তিতিবিরক্ত রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তমকুমার রায় মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ফ্যাক্সে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ কলেজে স্নাতক স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা চলতে থাকলেও সেন্টার ইনচার্জের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি৷ সেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বাংলার অধ্যাপক মিলনকুমার রায়ের হাতে৷
ক'দিন ধরেই অনলাইনে ছাত্রভর্তিতে কলেজের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছিল ছাত্র পরিষদ৷ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে সেই বিক্ষোভ চরমে ওঠে৷ কলেজটির অফিসের একাংশে তারা তালাও মেরে দেয় বলে অভিযোগ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ অনলাইনে ছাত্রভর্তির সিদ্ধান্তে আপত্তির কথা স্বীকার করলেও তা নিয়ে হাঙ্গামার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ছাত্র পরিষদ নেতাদের৷ কলেজে কোথাও তালা মারার অভিযোগও তাঁরা উড়িয়ে দিয়েছেন৷
অনলাইনে ভর্তি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর আগে দু'দিন বৈঠক ডাকলেও সেখানে তীব্র আপত্তি জানান ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সাহা৷ বাদানুবাদে দু'দিনই ভেস্তে যায় বৈঠক৷ মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ শুরু হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তমকুমার রায় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ তিনি বলেন, 'আমরা অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছিলাম৷ কিন্ত্ত ছাত্র সংসদ বিরোধিতা করছে৷ একদল ছাত্র আমার অফিসে আজ বিক্ষোভ দেখায়৷ এই চাপ আর সহ্য করতে করতে পারছি না৷ তাই উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি৷'
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সাহা বলেন, 'আমরা অনলাইনে ভর্তির বিপক্ষে নই৷ কিন্ত্ত রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অনলাইনে ভর্তির পরিকাঠামো নেই৷ আমরা গোলমাল করিনি৷ এ সব অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইস্তফা দিয়ে থাকলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷' ইতিপূর্বেও এই কলেজে বারবার অধ্যক্ষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে৷ যার জেরে অধ্যক্ষরা ইস্তফাও দিয়েছেন কয়েক বার৷
ক'দিন ধরেই অনলাইনে ছাত্রভর্তিতে কলেজের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছিল ছাত্র পরিষদ৷ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে সেই বিক্ষোভ চরমে ওঠে৷ কলেজটির অফিসের একাংশে তারা তালাও মেরে দেয় বলে অভিযোগ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ অনলাইনে ছাত্রভর্তির সিদ্ধান্তে আপত্তির কথা স্বীকার করলেও তা নিয়ে হাঙ্গামার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ছাত্র পরিষদ নেতাদের৷ কলেজে কোথাও তালা মারার অভিযোগও তাঁরা উড়িয়ে দিয়েছেন৷
অনলাইনে ভর্তি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর আগে দু'দিন বৈঠক ডাকলেও সেখানে তীব্র আপত্তি জানান ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সাহা৷ বাদানুবাদে দু'দিনই ভেস্তে যায় বৈঠক৷ মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ শুরু হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তমকুমার রায় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ তিনি বলেন, 'আমরা অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছিলাম৷ কিন্ত্ত ছাত্র সংসদ বিরোধিতা করছে৷ একদল ছাত্র আমার অফিসে আজ বিক্ষোভ দেখায়৷ এই চাপ আর সহ্য করতে করতে পারছি না৷ তাই উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি৷'
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সাহা বলেন, 'আমরা অনলাইনে ভর্তির বিপক্ষে নই৷ কিন্ত্ত রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অনলাইনে ভর্তির পরিকাঠামো নেই৷ আমরা গোলমাল করিনি৷ এ সব অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইস্তফা দিয়ে থাকলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷' ইতিপূর্বেও এই কলেজে বারবার অধ্যক্ষকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে৷ যার জেরে অধ্যক্ষরা ইস্তফাও দিয়েছেন কয়েক বার৷
No comments:
Post a Comment