মোদি-ওবামা বৈঠক সেপ্টেম্বরে
সব অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে কথা হবে ॥ মিডিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক উপলক্ষে সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটন সফর করবেন। দু’নেতাই দুটি দেশের ক্ষুণ্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে প্রত্যাশা করছেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লীতে মিডিয়ার খবরে একথা বলা হয়। খবর এএফপির টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মোদি আলোচনার জন্য ওবামার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং তাদের বৈঠকের তারিখ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মোদি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হয়ে গত মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ভারতীয় পক্ষ ২৬ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। প্রায় সেই সময়েই মোদি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন দূতাবাস উভয়েই ওই সফর সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মোদির দফতরের একমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, খবরটি অনুমাননির্ভর। তিনি কোন সরকারী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন। হিন্দুস্তান টাইমসে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, একদিনের বৈঠকে সব অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে। কারণ মোদি ভারতের অর্থনৈতিক কল্যাণের স্বার্থে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদির (৬৩) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শিরঃপীড়ার কারণ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সালে মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে ওই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা চলার সময় মোদি দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র ওই পদক্ষেপ নেয়। এ দাঙ্গায় প্রায় ১০০০ লোক নিহত হয়েছিল। মোদি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। নিউইয়র্কে এক ভারতীয় কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হলে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লীর মধ্যকার সম্পর্ক সঙ্কটের মুখে পড়ে। তিনি গত ডিসেম্বরে তার গৃহপরিচারিকাকে ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম পরিশোধ করে ভিসা আইন লঙ্ঘন করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনার ফলে বিশ্বের দুটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা গুরুতর বাধার মুখে পড়ে। কারণ এ ঘটনায় নয়াদিল্লী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। দুটি দেশই অবশ্য চীনের উসানকে সন্দেহের চোখে দেখে থাকে।
মোদির সিদ্ধান্তে ভারতের কৌশলগত নেটওয়ার্কে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মোদি অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে এবং উন্নততর নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে জাপানের দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন বলে জল্পনাকল্পনা চলছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষণ্ণ করার বিনিময়ে সেগুলো ঘটবে বলে সম্ভাবনা দেখা যায় না। কিন্তু অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও মতবিনিময় হতে পারে; মোদি প্রায়ই ভারতের কূটনীতিকে বাণিজ্যমুখী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি চান জিইআইবিএম ও মাইক্রো সফটের মতো মেগা কর্পোরেশনগুলো ভারতে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করুক।
মার্কিন কোম্পানিগুলো ভারত সম্পর্কে উৎসাহী রয়েছে। কিন্তু তারা সম্প্রতি অর্থনৈতিক সংস্কারে অচলাবস্থা, প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি এবং কর, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও বাজারে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে পিছুটান দিয়েছে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কূটনৈতিক চেষ্টা চালায়। কোন কোন মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক ভারতের কাছে সামরিক হার্ডওয়্যার বিক্রি করতে আগ্রহী। একটি বাস্তব জটিল বিষয় হলো ভারতের পরমাণুবিষয়ক দায়দায়িত্ব সম্পর্কিত আইন। এ আইনের ফলে ভারতে পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করা মার্কিন ফার্মগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর এর প্রভাব নিয়েও মোদি উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মোদি আলোচনার জন্য ওবামার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং তাদের বৈঠকের তারিখ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মোদি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হয়ে গত মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ভারতীয় পক্ষ ২৬ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। প্রায় সেই সময়েই মোদি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন দূতাবাস উভয়েই ওই সফর সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মোদির দফতরের একমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, খবরটি অনুমাননির্ভর। তিনি কোন সরকারী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন। হিন্দুস্তান টাইমসে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, একদিনের বৈঠকে সব অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে। কারণ মোদি ভারতের অর্থনৈতিক কল্যাণের স্বার্থে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদির (৬৩) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শিরঃপীড়ার কারণ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সালে মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে ওই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা চলার সময় মোদি দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র ওই পদক্ষেপ নেয়। এ দাঙ্গায় প্রায় ১০০০ লোক নিহত হয়েছিল। মোদি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। নিউইয়র্কে এক ভারতীয় কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হলে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লীর মধ্যকার সম্পর্ক সঙ্কটের মুখে পড়ে। তিনি গত ডিসেম্বরে তার গৃহপরিচারিকাকে ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম পরিশোধ করে ভিসা আইন লঙ্ঘন করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনার ফলে বিশ্বের দুটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা গুরুতর বাধার মুখে পড়ে। কারণ এ ঘটনায় নয়াদিল্লী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। দুটি দেশই অবশ্য চীনের উসানকে সন্দেহের চোখে দেখে থাকে।
মোদির সিদ্ধান্তে ভারতের কৌশলগত নেটওয়ার্কে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মোদি অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে এবং উন্নততর নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে জাপানের দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন বলে জল্পনাকল্পনা চলছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষণ্ণ করার বিনিময়ে সেগুলো ঘটবে বলে সম্ভাবনা দেখা যায় না। কিন্তু অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও মতবিনিময় হতে পারে; মোদি প্রায়ই ভারতের কূটনীতিকে বাণিজ্যমুখী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি চান জিইআইবিএম ও মাইক্রো সফটের মতো মেগা কর্পোরেশনগুলো ভারতে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করুক।
মার্কিন কোম্পানিগুলো ভারত সম্পর্কে উৎসাহী রয়েছে। কিন্তু তারা সম্প্রতি অর্থনৈতিক সংস্কারে অচলাবস্থা, প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি এবং কর, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও বাজারে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে পিছুটান দিয়েছে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কূটনৈতিক চেষ্টা চালায়। কোন কোন মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক ভারতের কাছে সামরিক হার্ডওয়্যার বিক্রি করতে আগ্রহী। একটি বাস্তব জটিল বিষয় হলো ভারতের পরমাণুবিষয়ক দায়দায়িত্ব সম্পর্কিত আইন। এ আইনের ফলে ভারতে পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করা মার্কিন ফার্মগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর এর প্রভাব নিয়েও মোদি উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment