Ali Ashraf | 9:34am Jun 14 |
মুক্তিযুদ্ধ : প্রথম বাংলাদেশ সরকার
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়।
যুদ্ধ মুষ্টিযুদ্ধ নয়। মুষ্টিযুদ্ধ হয় দু জন ব্যক্তির মধ্যে। যুদ্ধ সব সময় হয় দু’টি সরকারের মধ্যে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করা। পাকিস্তান সরকারের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করা। এ দুই লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই যুদ্ধ হয়েছিল।
সরকার গঠন হয় কতিপয় ব্যক্তির সমন্বয়ে। আমাদের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে। এই সরকার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । এই ঘোষণা কার্যকর হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে। তাই আমরা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করি। স্বাধীনতার ঘোষণার অর্থ নতুন রাষ্ট্রের ঘোষণা। রাষ্ট্রের ৪টি উপাদান থাকতে হয়। সরকার, জনগণ, ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব। ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণায় নতুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এই ৪টি উপাদান সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছিল। আমরা বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করেছিলাম। তাই আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদ্যাপন করি।
কারা স্বাধীনতার পক্ষের?
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ গ্রহণকারী যে সব ব্যক্তি বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত করার কাজে যুক্ত ছিলেন তারাই স্বাধীনতার পক্ষের। তাঁদেরকে মুক্তিযোদ্ধাও বলা হয়।
কারা স্বাধীনতার বিরোধী?
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের পক্ষ গ্রহণকারী যে সব ব্যক্তি পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার কাজে যুক্ত ছিল তারাই স্বাধীনতা বিরোধী। তাদের যুদ্ধাপরাধীও বলা যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের অপর একটি লক্ষ্য দেশের সম্পদ পাচার রোধ করা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যটি অর্জিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের এই দেশের সম্পদ পাচার রোধ করার লক্ষ্য আজও অর্জিত হয় নি। তাই মুক্তিযুদ্ধ আজও সম্পূর্ণ অতীত ইতিহাসের বিষয় নয়। সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত: মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সম্পদ পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও চলছে। মুক্তিযুদ্ধের এই সম্পদ পাচার বিরোধী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উপরে বলা প্রশ্ন দু’টির জবাবে বলা যায়: যাঁরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দেশের সম্পদ লুটের বিরোধী তারা স্বাধীনতার পক্ষর এবং যারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এ দেশের সম্পদ লুটের সহযোগিতা করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী।
এখানে শিশু পাঠের মতো করে কথাগুলি বলার কারণ অনেক কথার মধ্যে বিগত ৩৬ বছর এই সাদা সত্যগুলি অকথিত থেকে গেছে। আজকের শিশুদেরকে এই সত্যগুলি সুদূর অতীত থেকে উদ্ধার করে যথাযথ মর্যাদায় স্থাপন করতে হবে। ১৪/৪/০৭
******
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকার
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন আহমদ
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য :
*১. ক্যাপটেন এম. মনসুর আলী [প্রথম অর্থমন্ত্রী]
* ২. খন্দকার মোশতাক আহমেদ [পররাষ্ট্রমন্ত্রী]
*৩. এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান [ প্রথম স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ-পুনর্বাসন মন্ত্রী]
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়।
যুদ্ধ মুষ্টিযুদ্ধ নয়। মুষ্টিযুদ্ধ হয় দু জন ব্যক্তির মধ্যে। যুদ্ধ সব সময় হয় দু’টি সরকারের মধ্যে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করা। পাকিস্তান সরকারের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করা। এ দুই লক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই যুদ্ধ হয়েছিল।
সরকার গঠন হয় কতিপয় ব্যক্তির সমন্বয়ে। আমাদের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে। এই সরকার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । এই ঘোষণা কার্যকর হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে। তাই আমরা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করি। স্বাধীনতার ঘোষণার অর্থ নতুন রাষ্ট্রের ঘোষণা। রাষ্ট্রের ৪টি উপাদান থাকতে হয়। সরকার, জনগণ, ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব। ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণায় নতুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এই ৪টি উপাদান সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছিল। আমরা বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করেছিলাম। তাই আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদ্যাপন করি।
কারা স্বাধীনতার পক্ষের?
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ গ্রহণকারী যে সব ব্যক্তি বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত করার কাজে যুক্ত ছিলেন তারাই স্বাধীনতার পক্ষের। তাঁদেরকে মুক্তিযোদ্ধাও বলা হয়।
কারা স্বাধীনতার বিরোধী?
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের পক্ষ গ্রহণকারী যে সব ব্যক্তি পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার কাজে যুক্ত ছিল তারাই স্বাধীনতা বিরোধী। তাদের যুদ্ধাপরাধীও বলা যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের অপর একটি লক্ষ্য দেশের সম্পদ পাচার রোধ করা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যটি অর্জিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের এই দেশের সম্পদ পাচার রোধ করার লক্ষ্য আজও অর্জিত হয় নি। তাই মুক্তিযুদ্ধ আজও সম্পূর্ণ অতীত ইতিহাসের বিষয় নয়। সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত: মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সম্পদ পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও চলছে। মুক্তিযুদ্ধের এই সম্পদ পাচার বিরোধী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উপরে বলা প্রশ্ন দু’টির জবাবে বলা যায়: যাঁরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দেশের সম্পদ লুটের বিরোধী তারা স্বাধীনতার পক্ষর এবং যারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এ দেশের সম্পদ লুটের সহযোগিতা করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী।
এখানে শিশু পাঠের মতো করে কথাগুলি বলার কারণ অনেক কথার মধ্যে বিগত ৩৬ বছর এই সাদা সত্যগুলি অকথিত থেকে গেছে। আজকের শিশুদেরকে এই সত্যগুলি সুদূর অতীত থেকে উদ্ধার করে যথাযথ মর্যাদায় স্থাপন করতে হবে। ১৪/৪/০৭
******
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকার
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন আহমদ
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য :
*১. ক্যাপটেন এম. মনসুর আলী [প্রথম অর্থমন্ত্রী]
* ২. খন্দকার মোশতাক আহমেদ [পররাষ্ট্রমন্ত্রী]
*৩. এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান [ প্রথম স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ-পুনর্বাসন মন্ত্রী]
No comments:
Post a Comment