Thursday, June 26, 2014

অদ্ভুত দাঁড়কাক ॥ তরুণ আর্জেন্টাইন লেখক এ্যান্ড্রেস নিউম্যান

অদ্ভুত দাঁড়কাক ॥ তরুণ আর্জেন্টাইন লেখক এ্যান্ড্রেস নিউম্যান
মোঃ আরিফুর রহমান
এ্যান্ড্রেস নিউম্যান আর্জেন্টাইন জনপ্রিয় সাহিত্যিক। এই প্রজন্মের সাহিত্যিক। বয়স কেবল সাঁইত্রিশ, এই বয়সেই সাহিত্যজগতে খ্যাতিমান হয়ে গেছেন অনবদ্য সাহিত্যকর্মের জন্য। তাঁর রচিত উপন্যাস, গল্প, ছোট গল্পগুলোতে তিনি মানুষের মনোজৈবনিক প্রেক্ষিতকে বিশ্লেষণ করে পাঠকের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। জীবনের ট্র্যাজিক অবস্থার সঙ্গে হাস্যরসাতœক অবস্থার অপূর্ব মেলবন্ধন দেখিয়েছেন। মানব প্রাণের প্রাত্যাহিক জীবনের প্রতিধ্বনি-প্রতিচ্ছবি তিনি তুলে ধরেছেন পারঙ্গমতার সঙ্গে। কবিতাতেও তাই। কবিতার প্রতি ছন্দে কল্পনা-বাস্তবতার মিশেলে তিনি জীবন দর্শনকে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত সার্থকভাবে।
কবিতা-ছোট গল্প-উপন্যাস লেখার পাশাপাশি অনুবাদ কর্ম, কলাম লেখা, ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ সমানতালে। তাঁর জনপ্রিয়তা আর্জেন্টিনা, স্পেন ছাড়িয়ে এখন পুরো বিশ্বেই। মাত্র বাইশ বছর বয়সে রচনা করা ‘বারিলোচি’ বইটির মাধ্যেমে তাঁর খ্যাতি আর্জেন্টিনা আর স্পেনে ছড়িয়ে পড়লেও বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন বত্রিশ বছর বয়সে রচিত ‘ট্রাভেলার অফ দি সেঞ্চুরী’ বইটির জন্য। খ্যাতির সঙ্গে তার ঝুড়িতে জমা হয়েছে অনেক প্রাপ্তি অনেক পুরস্কার। রবার্টো বোলানোর মতো খ্যাতিমান চিলিয়ান সাহিত্যিক অ্যান্ড্রেস নিউম্যানকে একবিংশ শতাব্দীর সাহিত্যজগতের নতুন জ্যোতিষ্ক হিসেবে অভিহিত করেই ক্ষ্যান্ত হননি, তিনি নিউম্যানকে সাহিত্যজগতের উপহার হিসেবে দেখেছেন। গার্ডিয়ান, ফিনান্সিয়াল টাইমস, নিউইর্য়ক টাইমসের মতো পত্রিকায় তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রশংসা করা হয়েছে। অল্প বয়সেই সাহিত্যজগতে নিজের অবস্থান বেশ ভালভাবেই পাকা করে নিয়েছেন অ্যান্ড্রেস নিউম্যান। তাঁর সাহিত্যকর্মগুলো ইতোমধ্যে সতেরটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তিনি ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে। বাবা-মা দুজনই ছিলেন সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত। সঙ্গীতের আবহের মধ্যেই তাঁর বেড়ে ওঠা। কিন্তু সেই বেড়ে ওঠার সময়টা তাঁর জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য সুখের ছিল না। এর কারণ ছিল সেই সময়কার রাজনৈতিক অস্থির অবস্থা। ঐ অস্থিরতার কারণে নিউম্যানের পুরো পরিবারকে দুঃসহ যন্ত্রণাকাতর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাঁর বয়স যখন চৌদ্দ তখন পুরো পরিবার আর্জেন্টিনার সকল সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে শান্তির আশায় স্পেনে পাড়ি জমান। এটা ছিল অনেকটা স্বেচ্ছা নির্বাসন। তাঁর মা স্পেনে এক বছরের ভায়োলিন বাজানোর কন্ট্রাক্ট পেলে তারা তা লুফে নিয়ে আর্জেন্টিনা ত্যাগ করেন। সেই সময়টা তাদের পুরো পরিবারকে বেশ যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কেননা স্পেনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নিউম্যানের বাবা শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। একা মায়ের আয়ে সংসার চালানো বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। আর তাই নিউম্যানকে সেই কিশোর বয়সেই রুটি-রুজির কাজ শুরু করতে হয়েছিল। আইসক্রিম তৈরি করা, ঘরের পর্দা ঝুলানো ইত্যাদি অড জব করে পরিবারকে সাহায্য করতেন তিনি। ঐ যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিই তার সাহিত্যকর্মকে প্রভাবিত করেছে। নিজের জীবন থেকেই তিনি দেখেছেন নির্মম জীবনরূপ আর সেই রূপটিই তিনি পাঠকের সামনে পরবর্তী সাহিত্যিক জীবনে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ে নিউম্যান বলেন, ‘আমি লিখতে গেলে আমার লেখার মাঝে সেই সংঘাত আর দুঃসময়ের প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত শুনতে পাই।’ আসলে নিউম্যানের নিজের জীবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘটনাবলিই তাঁর সাহিত্যকর্মকে শক্তিশালী করে তুলেছে।
সৌভাগ্যক্রমে তিনি ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাটায় একটি স্কলারশিপ লাভ করেন। সেই স্কলারশিপটি তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সাহায্যে করেছিল। ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভাষাবিজ্ঞানে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার পিএইচডি’র বিষয়বস্তু ছিল পলিটিকস এ্যান্ড শর্ট স্টোরি। তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েই সাহিত্যে পড়ানোর মধ্যে দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। লাতিন আমেরিকান সাহিত্যে তার পড়ানোর বিষয়বস্তু। তিনি ভাষাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে অনেক লেখক আর কবির বই পড়েন। গার্সিয়া লোরসের সাহিত্যকর্ম তার খুব ভাল লাগত। গার্সিয়ার সাহিত্যকর্মই অ্যান্ড্রেস নিউম্যানের সাহিত্যকর্মের অনুপ্রেরণা বিশেষ করে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে।
তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘নাইট মেথডস’। ১৯৯৮ সালে একুশ বছর বয়সে এই কবিতার বই প্রকাশিত হয়। এই বইটির জন্য নিউম্যান অ্যান্টোনিও কারভাজাল ইয়াং পোয়েট্রি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। কবি হিসেবে সেই অল্প বয়সেই সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন নিউম্যান। এরপর একে একে তিনি আরও কতগুলো কবিতার বই রচনা করেন। দ্য পুল প্লেয়ার বইটি ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় ‘দ্য টোবোগান’ নামক কবিতার বইটি। এই বইটি হিপেরিয়ন পয়েট্রি পুরস্কার লাভ করেন। তার ‘ডাউন মিসটিক’ নামক কবিতার বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। ঐ বছরেই তার কবিতা রচনার একদশকের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয় ‘ডিকেট, পয়েট্রি ১৯৯৭-২০০৭’ নামক বইটি। এরপর দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৩ সালে স্প্যানিশ ভাষায় একটি কবিতার বই বের হয়। নিউম্যানের কাছে কবিতা হচ্ছে সুখের রাজ্যে বসবাস করার শামিল। তাঁর কবিতায় সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব পায়।
অ্যান্ডুস নিউম্যান কবি হিসেবে সুনাম অর্জন করলেও তাঁর মূল পরিচয় কিন্তু ঔপনাসিক হিসেবে। তিনি ট্রাভেলার অব দি সেঞ্চুরী বইটির জন্যই বেশি খ্যাতি অর্জন করেন। অবশ্য ঔপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস থেকেই। ১৯৯৯ সালে নিউম্যানের বয়স যখন বাইশ তখন প্রকাশিত হয় তাঁর ‘বারলোচি’ বইটি। এটিই ছিল তার রচিত প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। বারলোচির রাবিশ কালেক্টর দিমেত্রিও রোজার প্রাত্যাহিক রাবিশ সংগ্রহের কাজের মধ্যে দিয়ে নিম্নবিত্ত মানুষের দরিদ্র সত্তাটি ফুটে ওঠে আবার জিগসো খেলার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে শৈল্পিক সত্তা। দিমিত্রি গরিব হলেও তার চাওয়া-পাওয়া কম নয়। নারীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ আর দরিদ্রতা এরই মধ্যে দিয়েই অতিবাহিত হয় অসুখী দিমিত্রির জীবন। দিমিত্রির মধ্যে দিয়ে নিউম্যান আর্জেন্টিনার নি¤œবিত্ত পরিবারের চাওয়া-পাওয়া অর্থাৎ প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছেন। বইটি স্পেনে ও আর্জেন্টিনায় জনপ্রিয়তা অর্জন করে। স্প্যানিশ ভাষায় রচিত এই বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেন রবার্টো বোলানো। এই বইটিকে সাহিত্যজগতের এক অনন্য সংযোজন বলে তিনি অভিহিত করেন। বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বোলানো বলেন, ‘বইটির লেখা আমাকে যেমন আনন্দ দিয়েছে তেমনি সম্মোহন করেও রেখেছে। প্রাঞ্জল লেখনীর মধ্য দিয়েই লেখক পাঠককে সম্মোহিত করে রাখতে পারঙ্গম।’ এই বইটি প্রেস্টিজিয়াস হেরাল্ড প্রাইজের ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়। এছাড়া বইটি এল কালচারাল কর্তৃক বছরের সেরা দশ বইয়ের তালিকায় স্থান পায়।
ট্রাভেল অফ দি সেঞ্চুরী বইটির মধ্যে দিয়েই বিশ্বব্যাপী অ্যান্ড্রেস নিউম্যানের পরিচিতি। বইটি প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। ঐ বছরেই বইটির জন্য নিউম্যান আলফাগুয়ারা পুরস্কার লাভ করেন। সেই সঙ্গে লাভ করেন ন্যাশনাল ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড। বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হলে তিনি এর জন্য বেস্ট ট্রান্সলেটেড বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও বইটি ইনডিপেন্ডেন্ট ফরেন ফিকশন প্রাইজ ও ইন্টারন্যাশনাল ইমপ্যাক ডাবলিন লিটারেরি অ্যাওয়ার্ডের শর্ট লিস্টেট হয়। দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট এবং ফিনান্সিয়াল টাইমস এই বইটিকে বেস্ট বুক হিসেবে নির্বাচিত করে। এই বইটির বিশেষত্ব হলো বইটির কাহিনী একবিংশ শতাব্দীর পাঠককে নিয়ে যায় উনবিংশ শতাব্দীতে। আর সেই সঙ্গে পাঠককে পোস্ট মর্ডান রোমান্টিসিজমের স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ এনে দেয়। বইতে লেখক অতীত ও বর্তমানের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু যেমন অভিবাসন, স্থানান্তর, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদির সংযোগ ঘটিয়েছেন। তুলে ধরেছেন ইতিহাস। ঐতিহাসিক সত্য। সেই ইতিহাসে এনেছেন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যে প্রেক্ষাপট এখন পর্যন্ত আমাদের সমাজে চিরন্তন। বইটিতে কালচারাল ক্রিটিসিজম, দর্শন, সেক্সুয়াল পলিটিক্স, রহস্যে সমাধানে বুদ্ধিবৃত্তিক তদন্ত, ফ্যান্টাসির অর্পূব সমন্বয় দেখা যায়। পোস্ট নেপোলিয়নিক জার্মানির দুই মানব-মানবী ভালবাসার গল্প নিয়েই মূলত আবর্তিত হয়েছে ট্রাভেলার ইন দ্য সেঞ্চুরির কাহিনী। বইটির প্রধান চরিত্র সোফি আর হ্যানস। এদের পারস্পরিক ভালবাসা, মনোজাগতিক চিন্তা-চেতনা, দ্বন্দ্ব ইত্যাদি বিষয় বইটিজুড়ে থাকলেও এতে শিল্প বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, রাজনৈতিক ডামাডোলে মানুষের জীবনে যে প্রভাব সৃষ্টি হয় সেই বিষয়গুলোকেও তুলে আনা হয়েছে। এই বইটিকে আলফাগুয়েরা পুরস্কারের চিলিয়ান জুরী কার্লোস ফ্রানজ জটিল ও উচ্চাকাক্সক্ষী সাহিত্যকর্ম হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বইটি সম্পর্কে মতামত দিতে গিয়ে বলেন, এটি পোস্ট মর্ডান উপন্যাস কিন্তু একে মর্ডান ক্লাসিক উপন্যাস হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ ফলশ্রুতিতে পোস্ট মর্ডান যুগে বসে পাঠক মর্ডান ক্লাসিক্যাল যুগের রোমান্টিসিজমের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম।
এরপর অ্যান্ড্রেস নিউমেনের বই ‘টেকিং টু আওয়ারসেলভস’ ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত তাঁর দ্বিতীয় বই। বইটির কাহিনী তিনজন মানুষের ভাষ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। বাবা, মা আর তাদের সন্তান। এখানে একটি পরিবারের প্রোট্রেট আঁকা হয়েছে। দশ বছর বয়সী লিটো, তার মা এলিনা আর বাবা মারিয়োর ভাষ্যকে তুলে ধরার মধ্যে দিয়েই বইটির কাহিনী এগিয়ে গেছে। বইতে এই তিনটি চরিত্রই তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের পারিবারিক পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করেছেন। জীবনকে তারা একেকজন একেকভাবে দেখেছেন। কিন্তু সেই স্বতন্ত্র দেখার মাঝেও যোগসূত্র ছিল। যদি ট্রাভেলার অব দ্য সেঞ্চুরী বইটি সুরের মূর্ছনা দেয় তাহলে সুরের মেল বন্ধন হিসেবে টকিং টু আওয়ারসেলভস বইটি আরও বেশি অন্তরঙ্গ। এটি যেন এক লিটারেরি অ্যাডভেঞ্চার। যে অ্যাডভেঞ্চারের যাত্রা শুরু হয়েছে ওডিসি থেকে আর বিস্তৃত হয়ে আছে ডন কুইকজোট থেকে ডেভিড লিনচ পর্যন্ত।
অ্যান্ড্রেস নিউম্যান কবিতা, উপন্যাস ছাড়াও অনেক সার্থক ছোট গল্প লিখেছেন। তাঁর ছোট গল্পের বইগুলোর মধ্যে দ্য ওয়ান হু ওয়েটস (২০০০), দ্য লাস্ট মিনিট (২০০১), বার্থ (২০০৬), প্লেয়িং ডেড ( ২০১১) উল্লেখযোগ্য। এই ছোটগল্পগুলোতে তিনি ট্র্যাজেডি আর কমিকের অর্পূব সমন্বয় ঘটিয়েছেন। জীবনের হাস্যরস আর করুণ রসের মধ্য দিয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ সত্যকে তিনি পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন। তাঁর ছোটগল্পগুলোকে মনোজৈবনিক উপাদানে পরিপূর্ণ গল্প বলা যেতে পারে অতি সহজেই। ছোট গল্পের বই ছাড়াও তিনি লেখেন ‘উইন্টার জার্নি’ (২০০৩), ‘দ্য টাইটরোপ ওয়াকার’, ‘এপোরিজম’ (২০০৫), ‘হাউ টু ট্রাভেল উইথাউট সিয়িং লাতিন আমেরিকা ইন ট্রানজিট’ (২০১০) নামক বই। এই বইগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অ্যান্ড্রেস নিউম্যানের বয়স এখন সাঁইত্রিশ। যে বয়সে অনেক বিখ্যাত লেখকই লেখা শুরু করেননি সেই বয়সেই নিউম্যানের খ্যাতি স্পেন, আর্জেন্টিনার গ-ি ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত হয়ে গেছে। তাকে হে ফেস্টিভ্যালে সবচেয়ে আউটস্ট্যান্ডিং লাতিন আমেরিকান ইয়াং লেখক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া তাঁকে ব্রিটিশ লিটারেরি ম্যাগাজিন গ্রান্টায় বাইশজন বেস্ট ইয়াং স্প্যানিশ লেখকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পৃথিবী বিখ্যাত লেখক-সমালোচকরাও। অ্যান্ড্রেস নিউম্যানের প্রশংসা করে স্প্যানিশ সমালোচক ফার্নান্দো ভেলাস বলেন, ‘নিউম্যান এই প্রজন্মের অন্যতম এক লেখক যিনি শুধু ভাল বই লেখেন না, লেখেন মহৎ বইও।’

http://allbanglanewspapers.com/janakantha/

No comments:

Post a Comment