হরিপদ কেরানিদের জন্য সুখবর, নবান্নে ঘরে ঘরে এসি
পার্থসারথি সেনগুপ্ত
হরিপদ কেরানিদের জন্য বেজায় সুখবর!
গলদঘর্ম হয়ে নবান্নে পা রেখে এবার ঠান্ডি মেশিনের শীতল হাওয়ায় শরীর জুড়োবে তাঁদের৷ কারণ, রাজ্য সরকার নবান্নের প্রতিটি ঘরেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করছে৷ প্রতিটি ঘরেই বসানো হচ্ছে নামী বহুজাতিক সংস্থার এসি মেশিন৷ এক কথায়, রীতিমতো কর্পোরেট সংস্থার দপ্তরের আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তরটিকে৷ যা মহাকরণে সাধারণ সরকারি কর্মীদের কাছে আকাশকুসুম কল্পনা ছিল৷ শুধুমাত্র 'বস'-দের ঘরেই মিলত এসির আরাম৷
বস্ত্তত, প্রাথমিক ভাবে নবান্নেও বাতানুকূল ব্যবস্থার বন্দোবস্ত হয়েছিল মহাকরণের মডেলেই৷ ব্যতিক্রম ছিল এই ভবনের দু'টি শীর্ষতল, অর্থাত্ ১৩ ও ১৪ তলা৷ যে দু'টি তলায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের মতো প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা ও তাঁদের দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পদস্থ আমলারা৷ অন্য তলগুলিতেও বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের বড়কর্তাদের ঘরেই রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা৷ আর, বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনও কোনও ঘরে যেমন অর্থ (বাজেটে) এসি বসানো হয়েছে৷ এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিসাবমতো, নবান্নের প্রায় ৩০ শতাংশ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত৷ ভবনের বাকি ৭০ শতাংশে এ বার এই কাজ শুরু হতে চলেছে৷ পুজোর আগেই সেই কাজ শেষ হবে বলেই সরকারি কর্তাদের আশা৷ উল্লেখ্য, পূর্ত দপ্তরের সহযোগিতায় কাজটির দায়িত্বে রয়েছে এইচআরবিসি৷
এই সিদ্ধান্তকে রীতিমতো স্বাগত জানিয়েছে কর্পোরেট মহল৷ যেমন, মানবসম্পদ উপদেষ্টা সংস্থা 'জিনিয়াস'-এর সিএমডি আর পি যাদবের মতে, 'এটা অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত৷ কারণ, নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যদি কোনও কর্মী কাজ করার সুযোগ পান, তবে তাঁর কর্মদক্ষতা সাধারণ ভাবে ২২ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়৷ আসলে, আমাদের তো গরম দেশ বা ট্রপিকাল কান্ট্রি৷ বলতে গেলে, বর্ষার দুটো মাস বাদ দিলে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর আমাদের গরমের তাত সহ্য করতে হয়৷ ফলে, রাজ্য সরকার একটা কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷'
বলা ভালো, প্রশাসনিক দপ্তর মহাকরণ থেকে নবান্নে স্থানান্তরের মতো সিদ্ধান্তে বড় এক অংশের কর্মচারীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড় হয়েছিল৷ নানা প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত ঘিরে৷ বিশেষ করে, কী ভাবে কলকাতা ও শহরতলির নানা প্রান্ত থেকে কর্মচারীরা হাওড়ার মন্দিরতলার নবান্নে যাতায়াত করবেন, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল৷ তবে নবান্নে পা রাখার পর কর্মচারীরা টের পান, আরও বড় চমক তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ যেমন, মহাকরণের মতো এখানে বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে কথায় কথায় মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভের কোনও সুযোগ নেই৷ বা, শাসকদল সমর্থিত বা বিবোধী কর্মী সংগঠনগুলির কারওরই ইউনিয়ন রুম মেলেনি৷
তবে, নাকের বদলে নরুন অন্তত মিলছে কেরানিদের৷ ক.ডকড়ে আড়াই কোটি টাকা খরচ করে সরকার ঠান্ডি মেশিন তো বসিয়ে দিচ্ছে তাঁদের জন্য!
হরিপদ কেরানিদের জন্য বেজায় সুখবর!
গলদঘর্ম হয়ে নবান্নে পা রেখে এবার ঠান্ডি মেশিনের শীতল হাওয়ায় শরীর জুড়োবে তাঁদের৷ কারণ, রাজ্য সরকার নবান্নের প্রতিটি ঘরেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করছে৷ প্রতিটি ঘরেই বসানো হচ্ছে নামী বহুজাতিক সংস্থার এসি মেশিন৷ এক কথায়, রীতিমতো কর্পোরেট সংস্থার দপ্তরের আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তরটিকে৷ যা মহাকরণে সাধারণ সরকারি কর্মীদের কাছে আকাশকুসুম কল্পনা ছিল৷ শুধুমাত্র 'বস'-দের ঘরেই মিলত এসির আরাম৷
বস্ত্তত, প্রাথমিক ভাবে নবান্নেও বাতানুকূল ব্যবস্থার বন্দোবস্ত হয়েছিল মহাকরণের মডেলেই৷ ব্যতিক্রম ছিল এই ভবনের দু'টি শীর্ষতল, অর্থাত্ ১৩ ও ১৪ তলা৷ যে দু'টি তলায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের মতো প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা ও তাঁদের দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পদস্থ আমলারা৷ অন্য তলগুলিতেও বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের বড়কর্তাদের ঘরেই রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা৷ আর, বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনও কোনও ঘরে যেমন অর্থ (বাজেটে) এসি বসানো হয়েছে৷ এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিসাবমতো, নবান্নের প্রায় ৩০ শতাংশ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত৷ ভবনের বাকি ৭০ শতাংশে এ বার এই কাজ শুরু হতে চলেছে৷ পুজোর আগেই সেই কাজ শেষ হবে বলেই সরকারি কর্তাদের আশা৷ উল্লেখ্য, পূর্ত দপ্তরের সহযোগিতায় কাজটির দায়িত্বে রয়েছে এইচআরবিসি৷
এই সিদ্ধান্তকে রীতিমতো স্বাগত জানিয়েছে কর্পোরেট মহল৷ যেমন, মানবসম্পদ উপদেষ্টা সংস্থা 'জিনিয়াস'-এর সিএমডি আর পি যাদবের মতে, 'এটা অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত৷ কারণ, নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যদি কোনও কর্মী কাজ করার সুযোগ পান, তবে তাঁর কর্মদক্ষতা সাধারণ ভাবে ২২ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়৷ আসলে, আমাদের তো গরম দেশ বা ট্রপিকাল কান্ট্রি৷ বলতে গেলে, বর্ষার দুটো মাস বাদ দিলে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর আমাদের গরমের তাত সহ্য করতে হয়৷ ফলে, রাজ্য সরকার একটা কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷'
বলা ভালো, প্রশাসনিক দপ্তর মহাকরণ থেকে নবান্নে স্থানান্তরের মতো সিদ্ধান্তে বড় এক অংশের কর্মচারীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড় হয়েছিল৷ নানা প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত ঘিরে৷ বিশেষ করে, কী ভাবে কলকাতা ও শহরতলির নানা প্রান্ত থেকে কর্মচারীরা হাওড়ার মন্দিরতলার নবান্নে যাতায়াত করবেন, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল৷ তবে নবান্নে পা রাখার পর কর্মচারীরা টের পান, আরও বড় চমক তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ যেমন, মহাকরণের মতো এখানে বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে কথায় কথায় মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভের কোনও সুযোগ নেই৷ বা, শাসকদল সমর্থিত বা বিবোধী কর্মী সংগঠনগুলির কারওরই ইউনিয়ন রুম মেলেনি৷
তবে, নাকের বদলে নরুন অন্তত মিলছে কেরানিদের৷ ক.ডকড়ে আড়াই কোটি টাকা খরচ করে সরকার ঠান্ডি মেশিন তো বসিয়ে দিচ্ছে তাঁদের জন্য!
http://eisamay.indiatimes.com/city/howrah/Nabanna-gets-centrally-air-conditioned/articleshow/35962831.cms
No comments:
Post a Comment