মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল ভুটান
থিম্পু ও নয়াদিল্লি: পরম উষ্ণতা আর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বরণ করে নিল ভুটান৷ রবিবার স্থানীয় সময়ে সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন নমো৷ বিমান থেকে নামার পর রীতিমতো লাল কার্পেট পেতে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়৷ অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা৷ গভীর সৌহার্দ্যের পরিবেশেই নমস্কার প্রতি-নমস্কার সারেন তাঁরা৷ তার পর মোদী রওনা দেন থিম্পুর উদ্দেশ্যে৷
সেখানেও চমক৷ পারো থেকে থিম্পু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার লম্বা রাস্তার বেশির ভাগটা জুড়েই পথের দু'পাশে সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষ৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের মতো করে স্বাগতম জানালেন তাঁরাও৷ গায়ে তাঁদের উজ্জ্বল নানা রঙের স্থানীয় পোশাক৷ কারও হাতে ভুটানের জাতীয় পতাকা, কারও হাতে ভারতের৷ ছোট ছেলেমেয়েদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ মোদীর সফর উপলক্ষ্যে সাজো সাজো রব পড়েছে গোটা ভুটান জুড়েই৷ আবহাওয়া ভালো থাকার প্রার্থনা জানিয়ে থিম্পুতে রবিবার সকাল থেকেই বিশেষ প্রার্থনার বন্দোবস্ত করা হয়৷ একটাই কামনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে যাতে কোনও বিঘ্ন না আসে৷
বলতেই হয়, সেই প্রার্থনা কাজ দিয়েছে৷ থিম্পুতে এসে প্রথমেই ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মোদীর৷ রাজপ্রাসাদে তাঁকে সাড়ম্বর অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্ত্ততি যখন শেষ, তখনই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি৷ কিন্ত্ত মোদী সেখানে পৌঁছনোর ঠিক আগেই তা থেমে যায়৷ প্রাসাদে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও৷ পরিবেশিত হয় ভুটানের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য৷ বেজে ওঠে দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত৷
রাজা ওয়াংচুকের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ধরে কথা বলেন মোদী৷ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টোগবেও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ আলোচনা শেষে ছবি তোলার জন্য মোদী-ওয়াংচুক চিত্রসাংবাদিকদের সামনে হাত মেলান৷৷ পরে আরও একটি ছবির জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ ওয়াংচুক ও পেমাকে ভারতে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী৷ পরে মোদীর হাত দিয়েই ভুটানের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের উদ্বোধন সারা হয়৷ উল্লেখ্য, বিদেশসচিব সুজাতা সিং ও জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালও মোদীর সঙ্গে গিয়েছেন৷
সূত্রের খবর, ওয়াংচুক ও টোগবের সঙ্গে মোদীর এ দিনের বৈঠকে যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলি হল, উন্নয়ন কর্মসূচির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও জোরদার করা৷ মোদী নাকি বারবারই দু'দেশের সম্পর্ককে 'বি টু বি' অর্থাত্ 'ভারত থেকে ভুটান' নামে উল্লেখ করেছেন৷ ভারতে পড়তে আসার জন্য ভুটানি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ স্কলারশিপের অঙ্কও দ্বিগুণ (দুই কোটি টাকা) করার ঘোষণা করেছেন মোদী৷ সে দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরিতে সাহায্য করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী, যেখানে প্রায় কুড়ি লক্ষ বই ও পত্রপত্রিকা পড়ার সুযোগ থাকবে৷
রবিবার ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে মোদী জানান, ভুটানের সঙ্গে ভারতের 'অদ্বিতীয় এবং বিশেষ' সম্পর্ককে আরও 'কার্যকরী' করতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই এই দেশকে বেছে নিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী জুলাই-আগস্ট মাসেই ভুটানের সঙ্গে ২২-তম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করবে চিন৷ এই পরিস্থিতিতে মোদীর ভুটান সফর বিশেষ তাত্পর্য্যপূর্ণ৷ চিন বেশ কিছুদিন ধরেই ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে৷ এর জেরে যথেষ্টই উদ্বেগে রয়েছে ভারত সরকার৷ তাই এ ক্ষেত্রে 'প্রতিদ্বন্দ্বী'কে কৌশলগত ভাবে টেক্কা দিতেই মোদীর এই পদক্ষেপ৷
সেখানেও চমক৷ পারো থেকে থিম্পু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার লম্বা রাস্তার বেশির ভাগটা জুড়েই পথের দু'পাশে সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষ৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের মতো করে স্বাগতম জানালেন তাঁরাও৷ গায়ে তাঁদের উজ্জ্বল নানা রঙের স্থানীয় পোশাক৷ কারও হাতে ভুটানের জাতীয় পতাকা, কারও হাতে ভারতের৷ ছোট ছেলেমেয়েদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ মোদীর সফর উপলক্ষ্যে সাজো সাজো রব পড়েছে গোটা ভুটান জুড়েই৷ আবহাওয়া ভালো থাকার প্রার্থনা জানিয়ে থিম্পুতে রবিবার সকাল থেকেই বিশেষ প্রার্থনার বন্দোবস্ত করা হয়৷ একটাই কামনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে যাতে কোনও বিঘ্ন না আসে৷
বলতেই হয়, সেই প্রার্থনা কাজ দিয়েছে৷ থিম্পুতে এসে প্রথমেই ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মোদীর৷ রাজপ্রাসাদে তাঁকে সাড়ম্বর অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্ত্ততি যখন শেষ, তখনই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি৷ কিন্ত্ত মোদী সেখানে পৌঁছনোর ঠিক আগেই তা থেমে যায়৷ প্রাসাদে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও৷ পরিবেশিত হয় ভুটানের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য৷ বেজে ওঠে দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত৷
রাজা ওয়াংচুকের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক ধরে কথা বলেন মোদী৷ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টোগবেও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ আলোচনা শেষে ছবি তোলার জন্য মোদী-ওয়াংচুক চিত্রসাংবাদিকদের সামনে হাত মেলান৷৷ পরে আরও একটি ছবির জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ ওয়াংচুক ও পেমাকে ভারতে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী৷ পরে মোদীর হাত দিয়েই ভুটানের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের উদ্বোধন সারা হয়৷ উল্লেখ্য, বিদেশসচিব সুজাতা সিং ও জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালও মোদীর সঙ্গে গিয়েছেন৷
সূত্রের খবর, ওয়াংচুক ও টোগবের সঙ্গে মোদীর এ দিনের বৈঠকে যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলি হল, উন্নয়ন কর্মসূচির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও জোরদার করা৷ মোদী নাকি বারবারই দু'দেশের সম্পর্ককে 'বি টু বি' অর্থাত্ 'ভারত থেকে ভুটান' নামে উল্লেখ করেছেন৷ ভারতে পড়তে আসার জন্য ভুটানি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ স্কলারশিপের অঙ্কও দ্বিগুণ (দুই কোটি টাকা) করার ঘোষণা করেছেন মোদী৷ সে দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরিতে সাহায্য করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী, যেখানে প্রায় কুড়ি লক্ষ বই ও পত্রপত্রিকা পড়ার সুযোগ থাকবে৷
রবিবার ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে মোদী জানান, ভুটানের সঙ্গে ভারতের 'অদ্বিতীয় এবং বিশেষ' সম্পর্ককে আরও 'কার্যকরী' করতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই এই দেশকে বেছে নিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী জুলাই-আগস্ট মাসেই ভুটানের সঙ্গে ২২-তম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করবে চিন৷ এই পরিস্থিতিতে মোদীর ভুটান সফর বিশেষ তাত্পর্য্যপূর্ণ৷ চিন বেশ কিছুদিন ধরেই ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে৷ এর জেরে যথেষ্টই উদ্বেগে রয়েছে ভারত সরকার৷ তাই এ ক্ষেত্রে 'প্রতিদ্বন্দ্বী'কে কৌশলগত ভাবে টেক্কা দিতেই মোদীর এই পদক্ষেপ৷
No comments:
Post a Comment