ইরাকের সহায়তায় ইরানী ড্রোনের গোয়েন্দাগিরি
বাগদাদে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে তেহরান
ইরান ইরাকের রাজধানী বাগদাদের এক বিমান ঘাঁটি থেকে গোয়েন্দা ড্রোন পরিচালনা করছে। ইরান ইরাককে বিপুল পরিমাণ সামরিক যন্ত্রপাতি ও অন্য সাজসরঞ্জামও সরবরাহ করছে। আমেরিকান কর্মকর্তারা একথা জানান। খবর নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের।
ইরানের এ গোপন কর্মসূচী ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় একই লক্ষ্যের অংশীদার হওয়ার এক বিরল দৃষ্টান্ত। এটি হলো ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এ্যান্ড সিরিয়ার (আইসিস) অগ্রগতি প্রতিহত করা। এ সুন্নী দলের জঙ্গীরা পশ্চিম ও উত্তর ইরাকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। কিন্তু যদিও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সরকারকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তবুও তারা এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি একে অপরের তৎপরতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
একযোগে পরিচালিত দুটি দেশের ওই প্রয়াসের মধ্যে সম্পর্ক নেই বলে উর্ধতন আমেরিকান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে উল্লেখ করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই রূপ তৎপরতার সম্ভাব্য কোন কোন ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন।
কেরি বলেন, আমরা চাই না এমন কিছু ঘটুক, যা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। এ বিভাজন উত্তেজনার মাত্রা এরই মধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই অঞ্চলের প্রত্যেককেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়েরই ইরাকে ক্ষুদ্র সংখ্যক সামরিক উপদেষ্টা রয়েছে। প্রায় ৩০০ আমেরিকান কমান্ডোকে ইরাকী বাহিনী ও অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে ইরাকে পাঠানো হচ্ছে। আর ইরানের আধা সামরিক কুদস বাহিনীর প্রায় ১০/১২ জন অফিসারকে ইরাকী কমান্ডারদের পরামর্শ দেয়া এবং দক্ষিণ ইরাক থেকে ২ হাজারেরও বেশি শিয়াকে মোতায়েন করার কাছে সহায়তা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমেরিকান কর্মকর্তারা একথা জানান। কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসিম সুলাইমান রণকৌশল নির্ধারণে ইরাকী সামরিক উপদেষ্টাদের সহায়তা করতে অন্তত দুই বার ইরাক সফর করেছেন। ইরানী পরিবহন বিমানগুলো ইরাকী বাহিনীর জন্য সামরিক যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম নিয়ে দিনে দুই বার করে বাগদাদ যাচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে ৭০ টন সামগ্রী বহন করা হচ্ছে। সিরিয়া পশ্চিম ইরাকে আইসিস যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।
ইরানের এ গোপন কর্মসূচী ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় একই লক্ষ্যের অংশীদার হওয়ার এক বিরল দৃষ্টান্ত। এটি হলো ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এ্যান্ড সিরিয়ার (আইসিস) অগ্রগতি প্রতিহত করা। এ সুন্নী দলের জঙ্গীরা পশ্চিম ও উত্তর ইরাকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। কিন্তু যদিও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সরকারকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তবুও তারা এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি একে অপরের তৎপরতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
একযোগে পরিচালিত দুটি দেশের ওই প্রয়াসের মধ্যে সম্পর্ক নেই বলে উর্ধতন আমেরিকান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে উল্লেখ করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই রূপ তৎপরতার সম্ভাব্য কোন কোন ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন।
কেরি বলেন, আমরা চাই না এমন কিছু ঘটুক, যা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। এ বিভাজন উত্তেজনার মাত্রা এরই মধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই অঞ্চলের প্রত্যেককেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়েরই ইরাকে ক্ষুদ্র সংখ্যক সামরিক উপদেষ্টা রয়েছে। প্রায় ৩০০ আমেরিকান কমান্ডোকে ইরাকী বাহিনী ও অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে ইরাকে পাঠানো হচ্ছে। আর ইরানের আধা সামরিক কুদস বাহিনীর প্রায় ১০/১২ জন অফিসারকে ইরাকী কমান্ডারদের পরামর্শ দেয়া এবং দক্ষিণ ইরাক থেকে ২ হাজারেরও বেশি শিয়াকে মোতায়েন করার কাছে সহায়তা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমেরিকান কর্মকর্তারা একথা জানান। কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসিম সুলাইমান রণকৌশল নির্ধারণে ইরাকী সামরিক উপদেষ্টাদের সহায়তা করতে অন্তত দুই বার ইরাক সফর করেছেন। ইরানী পরিবহন বিমানগুলো ইরাকী বাহিনীর জন্য সামরিক যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম নিয়ে দিনে দুই বার করে বাগদাদ যাচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে ৭০ টন সামগ্রী বহন করা হচ্ছে। সিরিয়া পশ্চিম ইরাকে আইসিস যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।
No comments:
Post a Comment