প্রায় এক দশক পর সংসদে আরও এক পরিবর্তনের হাওয়া৷ লোকসভায় কংগ্রেসের মূল ধ্বজাধারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াল গান্ধী পরিবার৷
রাহুল নয়, লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা খাড়গে
রাহুল নয়, লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা খাড়গে
এই সময়, নয়াদিল্লি: প্রায় এক দশক পর সংসদে আরও এক পরিবর্তনের হাওয়া৷ লোকসভায় কংগ্রেসের মূল ধ্বজাধারীর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াল গান্ধী পরিবার৷
নিজে বা রাহুল গান্ধীকে মনোনীত না করে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা কর্নাটকের দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লোকসভার দলীয় নেতা নির্বাচন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী৷ লোকসভা ভোটে দলের কুত্সিততম ফলের পর রাহুল সংসদের নেতা হতে চাননি৷ দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ সত্ত্বেও সনিয়াও এই দায়িত্ব নিতে চাননি৷ বরং কমল নাথের নাম শোনা যাচ্ছিল৷ কিন্ত্ত দলিত নেতা খাড়গেকেই বাছলেন সনিয়া৷ খাড়গে আপাতত লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা হলেন৷ পরে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ পেলে তিনি লোকসভার বিরোধী নেতা হবেন৷
এমনিতে খাড়গে খুব একটা বলিয়ে কইয়ে নেতা নন৷ বিরোধী নেতার প্রধান যোগ্যতা হল, তিনি লোকসভার মধ্যে সরকারের ভুল ধরে দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সঙ্গে টক্কর দিয়ে জনস্বার্থের বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে তুলবেন৷ সেই সঙ্গে জনস্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে সরকারের প্রতি সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেবেন৷ ফলে বিরোধী নেতার সুবক্তা হওয়াটা খুব জরুরি৷ গত লোকসভায় সুষমা স্বরাজ খুবই সাফল্যের সঙ্গে এই ভূমিকা পালন করেছেন৷ বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন সনিয়া গান্ধী ছিলেন বিরোধী নেত্রী৷ কিন্ত্ত সে সময় তাঁর পাশে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি-সহ এমন কিছু নেতা ছিলেন, যাঁরা সুবক্তা ও ক্ষুরধার রাজনৈতিক বুদ্ধির অধিকারী৷ সে জন্যই এ বার অভিজ্ঞ কমল নাথের নাম বেশি শোনা যাচ্ছিল৷
এর পরেও খাড়গে নেতা নির্বাচিত হলেন বেশ কিছু কৌশলগত কারণে৷ তবে কংগ্রেস সূত্রে এটাও বলা হচ্ছে, সংসদের দুই কক্ষেই দলের নেতৃত্বে দক্ষিণীরা না-ও থাকতে পারেন৷ আগে ভাবা হয়েছিল এ কে অ্যান্টনিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা করা হবে৷ কিন্ত্ত দক্ষিণী খাড়গেকে লোকসভার নেতা বাছার পর দক্ষিণ ভারতের আর এক নেতা অ্যান্টনিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হয়তো করা হবে না৷ উত্তর ভারতের কোনও নেতাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷ সেখানে গুলাম নবি আজাদের মতো কাউকে বেছে নেওয়া হতে পারে৷ খুব তাড়াতাড়ি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া৷
তবে খাড়গেকে লোকসভার নেতা করার পর একটা জিনিস স্পষ্ট৷ দিগ্বিজয় সিং, সত্যব্রত চতুর্বেদীর মতো নেতাদের দাবিতে কান দিলেন না রাহুল৷ তাঁরা বলেছিলেন, হারের পর রাহুলকে একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত৷ রাহুলেরই উচিত্ লোকসভায় দলের নেতা হওয়া৷ কিন্ত্ত দলের মধ্যে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়ার পর রাহুল অন্তত সংসদে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না৷ বরং সেখানে পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অনুগত নেতাকে বসানো হল৷ এতে কংগ্রেসের ওপর গান্ধী পরিবারের শাসন বহাল থাকবে, একই সঙ্গে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন ওঠাও বন্ধ কার যাবে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সিং সূরযেওয়ালা বলেন, 'কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেছেন, দলের নেতাদের যা সুপারিশ করার, যা বলার তা দলের মঞ্চে বলতে হবে৷ কী ভাবে দলকে আবার চাঙ্গা করা যায়, সেই দায়িত্ব সনিয়াকে দেওয়া হয়েছে৷ আর সেই কাজে সনিয়া সকলের সুপারিশ চেয়েছেন৷ আর কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভরসা রাখেন ও তাঁকে পছন্দও করেন৷' তাঁর দাবি, রাহুলকে কংগ্রেস সার্কাসের এমডি বলার জন্য রাজস্থানে যে নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তিনি দলবিরোধী কাজ করছিলেন৷
কিন্ত্ত কংগ্রেস সূত্রের খবর, খাড়গেকে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে৷ তিনি নেহরু-গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত কাছের নেতা৷ তিনি কখনই পরিবারের বাইরে ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র হয়ে উঠবেন না৷ দ্বিতীয়ত, তিনি দলিত নেতা৷ ফলে দলিতদের কাছে টানার বার্তাও দেওয়া হল৷ তৃতীয়ত, বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে৷ এই অবস্থায় সনিয়া বা রাহুল লোকসভার নেতা হলে, পরে যদি বিরোধী দলনেতার পদ না পাওয়া যায়, তা হলে বেইজ্জতির একশেষ হবে৷ সেই অস্বস্তিও এড়ানো গেল৷ চতুর্থত, এ বার কর্নাটক থেকে কংগ্রেস সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে৷ কেরল থেকে পেয়েছে আটটি আসন৷ তাই কর্নাটক থেকে লোকসভার নেতা বেছে নেওয়া হল৷ এতে কর্নাটক ও দক্ষিণ ভারতকেও একটা বার্তা দিতে চাইলেন সোনিয়া৷
নিজে বা রাহুল গান্ধীকে মনোনীত না করে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা কর্নাটকের দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লোকসভার দলীয় নেতা নির্বাচন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী৷ লোকসভা ভোটে দলের কুত্সিততম ফলের পর রাহুল সংসদের নেতা হতে চাননি৷ দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ সত্ত্বেও সনিয়াও এই দায়িত্ব নিতে চাননি৷ বরং কমল নাথের নাম শোনা যাচ্ছিল৷ কিন্ত্ত দলিত নেতা খাড়গেকেই বাছলেন সনিয়া৷ খাড়গে আপাতত লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা হলেন৷ পরে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ পেলে তিনি লোকসভার বিরোধী নেতা হবেন৷
এমনিতে খাড়গে খুব একটা বলিয়ে কইয়ে নেতা নন৷ বিরোধী নেতার প্রধান যোগ্যতা হল, তিনি লোকসভার মধ্যে সরকারের ভুল ধরে দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সঙ্গে টক্কর দিয়ে জনস্বার্থের বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে তুলবেন৷ সেই সঙ্গে জনস্বার্থে ও দেশের প্রয়োজনে সরকারের প্রতি সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেবেন৷ ফলে বিরোধী নেতার সুবক্তা হওয়াটা খুব জরুরি৷ গত লোকসভায় সুষমা স্বরাজ খুবই সাফল্যের সঙ্গে এই ভূমিকা পালন করেছেন৷ বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন সনিয়া গান্ধী ছিলেন বিরোধী নেত্রী৷ কিন্ত্ত সে সময় তাঁর পাশে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি-সহ এমন কিছু নেতা ছিলেন, যাঁরা সুবক্তা ও ক্ষুরধার রাজনৈতিক বুদ্ধির অধিকারী৷ সে জন্যই এ বার অভিজ্ঞ কমল নাথের নাম বেশি শোনা যাচ্ছিল৷
এর পরেও খাড়গে নেতা নির্বাচিত হলেন বেশ কিছু কৌশলগত কারণে৷ তবে কংগ্রেস সূত্রে এটাও বলা হচ্ছে, সংসদের দুই কক্ষেই দলের নেতৃত্বে দক্ষিণীরা না-ও থাকতে পারেন৷ আগে ভাবা হয়েছিল এ কে অ্যান্টনিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা করা হবে৷ কিন্ত্ত দক্ষিণী খাড়গেকে লোকসভার নেতা বাছার পর দক্ষিণ ভারতের আর এক নেতা অ্যান্টনিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হয়তো করা হবে না৷ উত্তর ভারতের কোনও নেতাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷ সেখানে গুলাম নবি আজাদের মতো কাউকে বেছে নেওয়া হতে পারে৷ খুব তাড়াতাড়ি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া৷
তবে খাড়গেকে লোকসভার নেতা করার পর একটা জিনিস স্পষ্ট৷ দিগ্বিজয় সিং, সত্যব্রত চতুর্বেদীর মতো নেতাদের দাবিতে কান দিলেন না রাহুল৷ তাঁরা বলেছিলেন, হারের পর রাহুলকে একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত৷ রাহুলেরই উচিত্ লোকসভায় দলের নেতা হওয়া৷ কিন্ত্ত দলের মধ্যে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়ার পর রাহুল অন্তত সংসদে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না৷ বরং সেখানে পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অনুগত নেতাকে বসানো হল৷ এতে কংগ্রেসের ওপর গান্ধী পরিবারের শাসন বহাল থাকবে, একই সঙ্গে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন ওঠাও বন্ধ কার যাবে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সিং সূরযেওয়ালা বলেন, 'কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেছেন, দলের নেতাদের যা সুপারিশ করার, যা বলার তা দলের মঞ্চে বলতে হবে৷ কী ভাবে দলকে আবার চাঙ্গা করা যায়, সেই দায়িত্ব সনিয়াকে দেওয়া হয়েছে৷ আর সেই কাজে সনিয়া সকলের সুপারিশ চেয়েছেন৷ আর কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভরসা রাখেন ও তাঁকে পছন্দও করেন৷' তাঁর দাবি, রাহুলকে কংগ্রেস সার্কাসের এমডি বলার জন্য রাজস্থানে যে নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তিনি দলবিরোধী কাজ করছিলেন৷
কিন্ত্ত কংগ্রেস সূত্রের খবর, খাড়গেকে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে৷ তিনি নেহরু-গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত কাছের নেতা৷ তিনি কখনই পরিবারের বাইরে ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র হয়ে উঠবেন না৷ দ্বিতীয়ত, তিনি দলিত নেতা৷ ফলে দলিতদের কাছে টানার বার্তাও দেওয়া হল৷ তৃতীয়ত, বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে৷ এই অবস্থায় সনিয়া বা রাহুল লোকসভার নেতা হলে, পরে যদি বিরোধী দলনেতার পদ না পাওয়া যায়, তা হলে বেইজ্জতির একশেষ হবে৷ সেই অস্বস্তিও এড়ানো গেল৷ চতুর্থত, এ বার কর্নাটক থেকে কংগ্রেস সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে৷ কেরল থেকে পেয়েছে আটটি আসন৷ তাই কর্নাটক থেকে লোকসভার নেতা বেছে নেওয়া হল৷ এতে কর্নাটক ও দক্ষিণ ভারতকেও একটা বার্তা দিতে চাইলেন সোনিয়া৷
No comments:
Post a Comment