সংবাদপত্র মামলায় সমন সনিয়া-রাহুলকে
এই সময়, নয়াদিল্লিঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতাদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করল দিল্লির পাতিয়ালা হাইস আদালত৷ শুধু তাই নয়, বিচারক গোমতী মোনাচা বলেছেন, 'প্রাথমিকভাবে আমার মনে হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে৷ তাই আদালত তাঁদের আগামী ৭ অগাস্ট উপস্থিত থাকার জন্য নর্দেশ দিয়েছে৷' সোনিয়া ও রাহুল ছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন মেতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ, সাম পিত্রোদা ও সুমন দুবে৷ বিচারকের মন্তব্যে ও নির্দেশে সোনিয়া, রাহুল গান্ধী অস্বস্তিতে পড়তে বাধ্য৷
সোনিয়াদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়াম স্বামী৷ কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মণু সিংভি অবশ্য বলেছেন, 'আমরা এখনও কোনও সমন পাইনি৷ পেলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে৷ এটা সুব্রমণিয়াম স্বামীর পুরনো বাসি হয়ে যাওয়া অভিযোগ৷ সুব্রমণিয়াম স্বামীর পরিচিতিই হল, তিনি ঘোরতর কংগ্রেস-বিরোধী এবং ভিত্তিহীণ অভিযোগ করতে থাকেন৷ আমরা অবশ্যই এর কড়া জবাব দেব৷'
ন্যাশনাল হেরল্ড হল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রতিষ্ঠিত খবরের কাগজ৷ ১৯৩৮ সালে এই সংবাদপত্রর যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ গত ২০০৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়৷ দিল্লির ফ্লিট স্ট্রিট বলে পরিচিত আইটিও-র পাশে বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ন্যাশনাল হেরল্ডের নামে বিশাল ভবন আছে৷ তার নিচের তলায় বর্তমানে পাসপোর্ট অফিস৷ এই সংবাদপত্রটি চালাত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস৷ কিন্ত্ত অভিযোগ হল, ইয়ং ইন্ডিয়া বলে একটি সংগঠনকে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল কেনার জন্য কংগ্রেস ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেয়৷ স্বামীর অভিযোগ, কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে এ ভাবে ঋণ দিতে পারে না৷ সেটা আয়কর আইন ও জনপ্রতিনিধি আইনের বিরোধী৷ তাছাড়া ইয়ং ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ শেয়ার হল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নামে৷ তাছাড়া কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরার নামেও শেয়ার আছে৷ অস্কার, সুমন দুবেরা এই সংগঠনের সদস্য৷ স্বামীর অভিযোগ ছিল, সোনিয়া ও রাহুল ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গ্রাস করতে চাইছেন৷ সে জ্যনই এ ভাবে তাঁরা এগিয়েছেন৷
আদালত সমন পাঠাবার পর রীতিমতো খুশি স্বামী বলেছেন, 'আদালতের উচিত, এ বার সোনিয়া ও রাহুলের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা উচিত৷ তা হলে তাঁরা ৭ অগস্টের আগে বিদেশে পালাতে পারবেন না৷ ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা৷ কংগ্রেস নেতারা জাল নথিপত্র দেখিয়ে তা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন৷'
স্বামী যখন প্রথম জনসমক্ষে এই অভিযোগ করেন, তখন রাহুল গান্ধী মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ সে সময় কংগ্রেস মুখপাত্র পি সি চাকোও বলেন, সাহস থাকলে স্বামী মামলা করুন৷ তা না করে তিনি কেবল অভিযোগ করে পালিয়ে যাবেন এটা হয় না৷ কিন্ত্ত এরপর রাহুল কোনও মামলা করেননি৷ কিন্ত্ত স্বামী করেছেন৷ সেই মামলার সূত্র ধরেই সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠাল আদালত৷
কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন, এ কথা ঠিক যে ন্যাশনাল হেরল্ডকে পুনরুজ্জীবীত করতে ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল৷ এটা কংগ্রেসের কর্তব্য ছিল৷ কারণ, জওহরলাল নেহরুর স্থাপিত এই কাগজ দীর্ঘদিন ধরে দেশগঠনে বড় ভূমিকা পালন করেছে৷ তাই তার পুনরুজ্জবীন দরকার ছিল৷ যাবতীয় আইন মেনেই এই সাহায্য করা হয়েছে৷ কংগ্রেস নেতারা এটাও জানাচ্ছেন, ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের ঠিকানাও হল, হেরাল্ড হাউস৷ আর ইয়ং ইন্ডিয়ায় মোতিলাল ভোরা রয়েছেন৷ অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস-এও মোতিলাল ভোরা হলেন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷ তবে কংগ্রেস যখন এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে, তখন বিষয়টি অনেকটা পরিস্কার হবে৷ তারপর মামলার ফয়সালা তো আদালতে হবে৷
সোনিয়াদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়াম স্বামী৷ কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মণু সিংভি অবশ্য বলেছেন, 'আমরা এখনও কোনও সমন পাইনি৷ পেলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে৷ এটা সুব্রমণিয়াম স্বামীর পুরনো বাসি হয়ে যাওয়া অভিযোগ৷ সুব্রমণিয়াম স্বামীর পরিচিতিই হল, তিনি ঘোরতর কংগ্রেস-বিরোধী এবং ভিত্তিহীণ অভিযোগ করতে থাকেন৷ আমরা অবশ্যই এর কড়া জবাব দেব৷'
ন্যাশনাল হেরল্ড হল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রতিষ্ঠিত খবরের কাগজ৷ ১৯৩৮ সালে এই সংবাদপত্রর যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ গত ২০০৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়৷ দিল্লির ফ্লিট স্ট্রিট বলে পরিচিত আইটিও-র পাশে বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ন্যাশনাল হেরল্ডের নামে বিশাল ভবন আছে৷ তার নিচের তলায় বর্তমানে পাসপোর্ট অফিস৷ এই সংবাদপত্রটি চালাত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস৷ কিন্ত্ত অভিযোগ হল, ইয়ং ইন্ডিয়া বলে একটি সংগঠনকে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল কেনার জন্য কংগ্রেস ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেয়৷ স্বামীর অভিযোগ, কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে এ ভাবে ঋণ দিতে পারে না৷ সেটা আয়কর আইন ও জনপ্রতিনিধি আইনের বিরোধী৷ তাছাড়া ইয়ং ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ শেয়ার হল সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নামে৷ তাছাড়া কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরার নামেও শেয়ার আছে৷ অস্কার, সুমন দুবেরা এই সংগঠনের সদস্য৷ স্বামীর অভিযোগ ছিল, সোনিয়া ও রাহুল ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গ্রাস করতে চাইছেন৷ সে জ্যনই এ ভাবে তাঁরা এগিয়েছেন৷
আদালত সমন পাঠাবার পর রীতিমতো খুশি স্বামী বলেছেন, 'আদালতের উচিত, এ বার সোনিয়া ও রাহুলের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা উচিত৷ তা হলে তাঁরা ৭ অগস্টের আগে বিদেশে পালাতে পারবেন না৷ ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা৷ কংগ্রেস নেতারা জাল নথিপত্র দেখিয়ে তা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন৷'
স্বামী যখন প্রথম জনসমক্ষে এই অভিযোগ করেন, তখন রাহুল গান্ধী মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ সে সময় কংগ্রেস মুখপাত্র পি সি চাকোও বলেন, সাহস থাকলে স্বামী মামলা করুন৷ তা না করে তিনি কেবল অভিযোগ করে পালিয়ে যাবেন এটা হয় না৷ কিন্ত্ত এরপর রাহুল কোনও মামলা করেননি৷ কিন্ত্ত স্বামী করেছেন৷ সেই মামলার সূত্র ধরেই সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠাল আদালত৷
কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন, এ কথা ঠিক যে ন্যাশনাল হেরল্ডকে পুনরুজ্জীবীত করতে ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল৷ এটা কংগ্রেসের কর্তব্য ছিল৷ কারণ, জওহরলাল নেহরুর স্থাপিত এই কাগজ দীর্ঘদিন ধরে দেশগঠনে বড় ভূমিকা পালন করেছে৷ তাই তার পুনরুজ্জবীন দরকার ছিল৷ যাবতীয় আইন মেনেই এই সাহায্য করা হয়েছে৷ কংগ্রেস নেতারা এটাও জানাচ্ছেন, ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের ঠিকানাও হল, হেরাল্ড হাউস৷ আর ইয়ং ইন্ডিয়ায় মোতিলাল ভোরা রয়েছেন৷ অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস-এও মোতিলাল ভোরা হলেন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷ তবে কংগ্রেস যখন এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে, তখন বিষয়টি অনেকটা পরিস্কার হবে৷ তারপর মামলার ফয়সালা তো আদালতে হবে৷
No comments:
Post a Comment