অক্সিজেন ছাড়া ছন্দার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় সহযাত্রীরও
সঞ্জয় চক্রবর্তী
শিলিগুড়ি: পাহাড়ের মৃত্যু উপত্যকায় হারিয়ে গিয়েছেন ছন্দা গায়েন৷ আট হাজার মিটার উচ্চতায় পাহাড়ি এলাকাকে মৃত্যু উপত্যকাই (ডেথ জোন) মনে করেন পর্বতারোহীরা৷ অক্সিজেন ছাড়া সেখানে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব৷ কাঞ্চনজঙ্ঘার পর ইয়ালুং খাং জয় করে নামার পথে ওই আট হাজার মিটার উচ্চতাতেই তুষার-ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন ছন্দা৷ ফলে তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান অপর পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষ৷ ছন্দার সঙ্গে তিনিও কাঞ্চনজঙ্ঘায় উঠেছিলেন৷ সোমবার নেপাল থেকে শিলিগুড়িতে ফিরে রাতের ট্রেনে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে দীপঙ্কর বলেন, 'ডেথ জোনে অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন৷ তবে অতীতে অনেক মিরাকল ঘটেছে৷ ছন্দার জন্য আমরা তেমনই মিরাকলের অপেক্ষায় রয়েছি৷'
প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য সোমবারও ছন্দার খোঁজে তল্লাশি হয়নি৷ আগামী কয়েকদিনও আর সেই কাজ করা সন্দেহ তৈরি হয়েছে৷ নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘার মুখ ক্রমশ ভার হচ্ছে৷ আবহাওয়া এখনও ক্রমশ খারাপ হবে৷ ফলে হেলিকপ্টারে ছন্দার হারিয়ে যাওয়ার এলাকার সন্ধান করা প্রায় অসম্ভব৷ বেস ক্যাম্প খালি করে সবাই নেমে এসেছেন ইতিমধ্যে৷ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাশি শেরপা চলে গিয়েছেন কাঠমাণ্ডুতে৷ দীপঙ্করবাবু শিলিগুড়িতে এলেও কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে তাঁর সঙ্গী টুসি দাস চলে গিয়েছেন কাঠমাণ্ডু৷ সেখান থেকে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা৷ আর ছন্দার সহযোগী রাজীব রয়েছেন কাঠমাণ্ডুতে৷ দীপঙ্কর জানালেন, আবহাওয়া ভাল হলে তাশিকে নিয়ে ফের তল্লাশি হওয়ার কথা৷
যদিও অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে বলে মনে করে পর্বতারোহণে যুক্ত সংস্থাগুলি৷ তারা সকলেই একমত যে উদ্ধারের কাজ আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল৷ এখন প্রতিকূল আবহাওয়ায় আফশোস করছে তারা৷ হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, 'এ ধরনের অভিযানে দুর্ঘটনা হলে উদ্ধারের জন্য প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ ছন্দা ফিরুক, এটাই এখন কামনা করছি৷'
দীপঙ্কর বলেন, 'এ বার অভিযানের শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল ছিল না৷ রোজই বাতাসের বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার৷ কয়েকদিন বরফ পড়ার আগাম খবরও মেলে৷' যদিও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ১৮ মে সকাল দশটার মধ্যেই ১৫ জন অভিযাত্রী কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় উঠে পড়েন৷ শৃঙ্গ জয়ের সেই স্মৃতি মনে পড়ায় দীপঙ্কর বললেন, 'আমি, রাজীব, ছন্দা, সকলে হাত ধরাধরি করে নেমেছিলাম৷ ক্যাম্প-৪ পৌঁছে ছন্দার সঙ্গে বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ কথা বলি৷ তার পরে ছন্দা তাঁবুতে ফিরে যায়৷ ১৯ তারিখ রাতেই ছন্দা ইয়ালুং খাংয়ের পথে রওনা হয়৷' তার পর থেকেই ছন্দা নিখোঁজ৷
শিলিগুড়ি: পাহাড়ের মৃত্যু উপত্যকায় হারিয়ে গিয়েছেন ছন্দা গায়েন৷ আট হাজার মিটার উচ্চতায় পাহাড়ি এলাকাকে মৃত্যু উপত্যকাই (ডেথ জোন) মনে করেন পর্বতারোহীরা৷ অক্সিজেন ছাড়া সেখানে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব৷ কাঞ্চনজঙ্ঘার পর ইয়ালুং খাং জয় করে নামার পথে ওই আট হাজার মিটার উচ্চতাতেই তুষার-ঝড়ের মুখে পড়েছিলেন ছন্দা৷ ফলে তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান অপর পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষ৷ ছন্দার সঙ্গে তিনিও কাঞ্চনজঙ্ঘায় উঠেছিলেন৷ সোমবার নেপাল থেকে শিলিগুড়িতে ফিরে রাতের ট্রেনে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে দীপঙ্কর বলেন, 'ডেথ জোনে অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন৷ তবে অতীতে অনেক মিরাকল ঘটেছে৷ ছন্দার জন্য আমরা তেমনই মিরাকলের অপেক্ষায় রয়েছি৷'
প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য সোমবারও ছন্দার খোঁজে তল্লাশি হয়নি৷ আগামী কয়েকদিনও আর সেই কাজ করা সন্দেহ তৈরি হয়েছে৷ নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘার মুখ ক্রমশ ভার হচ্ছে৷ আবহাওয়া এখনও ক্রমশ খারাপ হবে৷ ফলে হেলিকপ্টারে ছন্দার হারিয়ে যাওয়ার এলাকার সন্ধান করা প্রায় অসম্ভব৷ বেস ক্যাম্প খালি করে সবাই নেমে এসেছেন ইতিমধ্যে৷ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাশি শেরপা চলে গিয়েছেন কাঠমাণ্ডুতে৷ দীপঙ্করবাবু শিলিগুড়িতে এলেও কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে তাঁর সঙ্গী টুসি দাস চলে গিয়েছেন কাঠমাণ্ডু৷ সেখান থেকে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা৷ আর ছন্দার সহযোগী রাজীব রয়েছেন কাঠমাণ্ডুতে৷ দীপঙ্কর জানালেন, আবহাওয়া ভাল হলে তাশিকে নিয়ে ফের তল্লাশি হওয়ার কথা৷
যদিও অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে বলে মনে করে পর্বতারোহণে যুক্ত সংস্থাগুলি৷ তারা সকলেই একমত যে উদ্ধারের কাজ আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল৷ এখন প্রতিকূল আবহাওয়ায় আফশোস করছে তারা৷ হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, 'এ ধরনের অভিযানে দুর্ঘটনা হলে উদ্ধারের জন্য প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ ছন্দা ফিরুক, এটাই এখন কামনা করছি৷'
দীপঙ্কর বলেন, 'এ বার অভিযানের শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল ছিল না৷ রোজই বাতাসের বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার৷ কয়েকদিন বরফ পড়ার আগাম খবরও মেলে৷' যদিও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ১৮ মে সকাল দশটার মধ্যেই ১৫ জন অভিযাত্রী কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় উঠে পড়েন৷ শৃঙ্গ জয়ের সেই স্মৃতি মনে পড়ায় দীপঙ্কর বললেন, 'আমি, রাজীব, ছন্দা, সকলে হাত ধরাধরি করে নেমেছিলাম৷ ক্যাম্প-৪ পৌঁছে ছন্দার সঙ্গে বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ কথা বলি৷ তার পরে ছন্দা তাঁবুতে ফিরে যায়৷ ১৯ তারিখ রাতেই ছন্দা ইয়ালুং খাংয়ের পথে রওনা হয়৷' তার পর থেকেই ছন্দা নিখোঁজ৷
http://eisamay.indiatimes.com/city/howrah/chhanda-gayens-survival-impossible-says-fellow-mountaineer/articleshow/35623256.cms?
No comments:
Post a Comment