স্বামী-স্ত্রীর প্রাইভেসী
আজ যে বিষয়টির অবতারণা করতে চাই তা হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোপনীয়তা বা প্রাইভেসীর সীমা কতটুকু তানিয়ে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পর থেকে কি কোন কিছুই গোপন করতে পারবেন না, নাকি পারবেন?; পারলে তার পরিধিবা সীমা কতটুকু হবে তা নিয়ে স্কলারদের মতামত তুলে ধরবো।
এটা পরিষ্কার যে স্ত্রী তার স্বামীর নিকট থেকে গর্ভের ব্যাপারটি গোপন করতে পারবেন না। পারস্পরিকসুসম্পর্কের জন্য নিজেদের মন খুলে যতটা পরস্পরের কাছাকাছি আসা সম্ভব ততটা আসাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তুপিছনের জীবনের কোন ঘটনা যার সঙ্গে বর্তমানের কোন লাভ-লোকসান জড়িত নয়, যা প্রকাশিত হলে অন্যপক্ষমনে কষ্ট পাবে বা সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে, তা গোপন করাই উত্তম। এছাড়াও বর্তমানের এমনকোন কাজ যা জানানো জরুরী নয় বা যা জানা অন্য পক্ষের অধিকারে পড়ে না তা না জানালেও দোষের কিছুনেই। যেমন- স্বামীর অর্থ সম্পদ স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রী অন্যকে দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা স্ত্রীরজন্য ঠিক নয়। কিন্তু স্ত্রী যদি নিজ উপার্জন থেকে নিজ পিতামাতাকে সাহায্য করেন এবং আশংকা থাকে যে, স্বামীতা জানলে সংসারে অশান্তি তৈরি হবে তবে স্ত্রী এটা গোপন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে স্বামী তারপিতামাতাকে ভরণপোষণ করলে যদি স্ত্রী মনক্ষুন্ন হন তবে স্বামী স্ত্রীকে না জানালেই ভাল হবে।
এ সম্পর্কে ইসলাম অনলাইন ফতোয়া ব্যাংক-এর মত হলো, “স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্বাস ও সততারউপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা উচিত। স্বামী ও স্ত্রীর সবরকম প্রচেষ্টা চালানো উচিত যাতে পারস্পরিক বিশ্বাস ওনির্ভরতা গড়ে ওঠে। ভিত্তিহীন সন্দেহ সংশয় থেকে সংসারকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত, নয়তো তা থেকে পরিবারেভাঙ্গন আসতে পারে। তবে যদি কারও নৈতিক চরিত্র সম্পর্কে সত্যিকারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েই যায় তবে স্বামী ও স্ত্রীউভয়েরই অধিকার থাকে একে অন্যের চলাফেরা, কথাবার্তা, চিঠির আদান-প্রদান (mail or email) প্রভৃতিসম্পর্কে বিস্তারিত জানার।”
একজন স্বামী ইসলাম অনলাইনে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি তার স্ত্রীর ই-মেইল এর পাসওয়ার্ড জানতে চান এবংতিনি মনে করেন এটা জানা তার অধিকার। একইভাবে তার স্ত্রীও তার ই-মেইল পাসওয়ার্ড জানা নিজেরঅধিকার মনে করেন। ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে?
জবাবে ড. মোজাম্মিল সিদ্দকী (প্রেসিডেন্ট, ফিকাহ কাউন্সিল, নর্থ আমেরিকা) বলেছেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকারসম্পর্ক একটি বিশেষ (Unique) সম্পর্ক। অন্য কোন সম্পর্ক এতটা কাছের, এতটা নিকটবর্তী হয় না। স্বামী-স্ত্রীশুধুমাত্র একে অন্যের সঙ্গীই নয় বরং তারা সর্বোত্তম বন্ধু, সর্বোত্তম সাথী, সর্বোত্তম সহযোগী। তারা একে অন্যেরআনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা ভাগাভাগি করে নেয়। তারা সুস্থ-অসুস্থ সর্বাবস্থায় একে অন্যকে সঙ্গদেয়। ঘুমাতে যাবার পূর্বে সর্বশেষ যে মানুষটিকে আমরা দেখি তা হলো আমাদের স্বামী বা স্ত্রী। আবার ঘুম থেকেজেগে সর্বপ্রথম আমরা যাকে দেখি সে হচ্ছে আমাদের স্বামী বা স্ত্রী। আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনকে ভাগাভাগিকরে নেই। এভাবে বছরের পর বছর চলে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জীবনের বেশীর ভাগ সময় এভাবে আমরা তাদেরসঙ্গেই অতিবাহিত করি। এরূপ আর কোন সম্পর্ক কী হতে পারে?
আল কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা একটি রূপকের মাধ্যমে এ সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন-
"তোমরা তাদের পোশাক এবং তারা তোমাদের পোশাক।” (বাকারা : ১৮৭)
পোশাক বা লিবাস মানুষকে আরাম দেয়, বৈরী আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ক রে এবং পোশাকইশরীরের সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী থাকে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও তদ্রুপ।
সংসারের সুখ-শান্তির জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা থাকতে হবে। খোলামেলাভাবেপারস্পরিক আলোচনার চর্চা থাকতে হবে। তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে যাতে করে পারস্পরিক আস্থা ওবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরী হয়। যদি অন্য পক্ষের চরিত্র সম্পর্কে কোন সন্দেহের কারণ ঘটে তবেই শুধুমাত্র একেঅন্যের সার্বিক তথ্য (যেমন কোথায় যাওয়া হয়, কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, চিঠিপত্রের লেনদেন প্রভৃতি) সম্পর্কেজানার অধিকার জন্মে। নতুবা একে অন্যের জীবন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই।”
Best regards,
Kaniz Fatima
1. Positive thinkers find opportunity in every difficulty and negative thinkers find difficulty in every opportunity.
2. There is no secret to SUCCESS. It is the result of hard work, preparation, persistence and learning from failures.
2. There is no secret to SUCCESS. It is the result of hard work, preparation, persistence and learning from failures.
3.Go Over, Go Under, Go Around, or Go Through, but Never Give Up.
No comments:
Post a Comment