Wednesday, April 30, 2014

আতঙ্কের শহরে কান্নার রোল

আতঙ্কের শহরে কান্নার রোল


গুম হওয়া নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের লাশ গতকাল শীতলক্ষ্যা থেকে আনা হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। পিতৃহারা দুই সন্তান তরিকুল (বাঁয়ে) ও জাহিদুল আর তাঁদের মা স্বামীহারা সেলিনা ইসলাম যাচ্ছেন হাসপাতালে। পরম আপনজনের সেই মৃত মুখ কী করে দেখবেন তাঁরা! খুনির সর্বনাশা ছোবল শুধু নজরুলকেই খুন করেনি, হূদয় ঝাঁঝরা করে দিয়েছে তাঁর স্ত্রী-পুত্রদের । ছবি: হাসান রাজাগুম হওয়া নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের লাশ গতকাল শীতলক্ষ্যা থেকে আনা হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। পিতৃহারা দুই সন্তান তরিকুল (বাঁয়ে) ও জাহিদুল আর তাঁদের মা স্বামীহারা সেলিনা ইসলাম যাচ্ছেন হাসপাতালে। পরম আপনজনের সেই মৃত মুখ কী করে দেখবেন তাঁরা! খুনির সর্বনাশা ছোবল শুধু নজরুলকেই খুন করেনি, হূদয় ঝাঁঝরা করে দিয়েছে তাঁর স্ত্রী-পুত্রদের । ছবি: হাসান রাজাএকে একে লাশ ভেসে উঠছে। একে একে তাঁদের পরিচয় মিলছে। পরিচয় বলছে, এঁরা সেই মানুষ, যাঁদের চার দিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল প্রকাশ্য দিবালোকে। এঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। রাষ্ট্র যাঁদের চার দিনেও খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত রোববার একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহরণের পর যে নারায়ণগঞ্জ আতঙ্কে কুঁকড়ে গিয়েছিল, একে একে ছয় লাশ পাওয়ার পর গতকাল বুধবার সেই শহরে স্বজন-সতীর্থদের কান্নার রোল উঠেছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে, পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেছে, পেট্রলপাম্পে আগুন দিয়েছে। তারা খুনিদের বিচার চেয়েছে।
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার গুচ্ছগ্রাম চরের পাশে বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যা-মেঘনা নদীর মোহনাসংলগ্ন (মুন্সিগঞ্জের মোড়) এলাকায় দুর্গন্ধ পায় স্থানীয় ব্যক্তিরা। সেই সূত্রে তারাই প্রথম শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। যেখানে লাশগুলো মিলেছে, তার অপর পাড়টি মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা।
বেলা তিনটায় প্রথমে একটি লাশ পানি থেকে তোলে বন্দর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। দাড়ি আর পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি দেখে লাশটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামের বলে শনাক্ত করেন তাঁর ছোট ভাই আবদুস সালাম। তিনি চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘নূর হোসেন এর আগেও দুবার আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালায়। নূর হোসেনই আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’
নজরুলের হাত-পিঠমোড়া করে এবং পা বাঁধা ছিল। লাশের পেট ছিল চেরা এবং লাশ যাতে
eisamay.indiatimes.com

No comments:

Post a Comment