মমতার জিনে সমস্যা আছে: গৌতমউবাচ
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের তৃতীয় দফা ভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মমতাকে আক্রমণ সিপিএমের। ব্যক্তিগত আক্রমণের পথেই হাঁটল লাল পার্টি। এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম দেব বলেন, 'মমতার ডিএনএ সমস্যা আছে। তাঁর মুখ থেকে সত্যি কথা বেরোয় না।' এর কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতম দেবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'তিনি (গৌতম দেব) কলঙ্কিত, জঘন্য মানুষ। তাঁকে সমাজচ্যুত করা উচিত।'
উল্লেখ্য, মোদীর শ্রীরামপুরের সভার আগে সিপিএম বরাবরই বিজেপি-তৃণমূল গোপন আঁতাঁতের কথা বলে এসেছে। 'সাম্প্রদায়িক' ওই দল দু'টিকে ভোট না-দেওয়ার আপিল জানিয়ে এসেছে লাল পার্টি। মূলত সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক দখলের স্ট্র্যাটেজি হিসেবেই বিজেপি-তৃণমূল গোপন জোটের কথা বলে এসেছে তারা। কিন্তু মোদীর শ্রীরামপুরের সভা এবং তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ায় এবার চিরাচরিত সেই কৌশল পাল্টাতে হচ্ছে সিপিএমকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এ কারণেই নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতম দেবকে মমতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানাতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপি যাতে রাজ্যে খাতাই খুলতে না-পারে, তারও প্রচার চালাতে হচ্ছে ওই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই।
মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম দেব মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির হিসেব চান। বলেন, 'ছবি কত টাকায় বিক্রি হয়েছে তার তালিকা দিন। ছবির ক্রেতাদের তালিকা কোথায়?'
এদিন তিনি আরও বলেন, 'মমতার প্রতিভার বিকাশ ২০০৪ সালে। তাঁর প্রথম ছবি বিক্রি হয়েছে ৪ লক্ষ টাকায়। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় ছবি বিক্রি হয় ১৪ বা ১৭ লক্ষ টাকায়। ২০১১ সালে তাঁর তৃতীয় ছবি বিক্রি হয়। ২০১৩ সালে ৬০ লক্ষ টাকায় চতুর্থ ছবি বিক্রি হয়েছে।' গৌতম দেবের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির হিসেবে গড়মিল রয়েছে। চার বারে ছবি বিক্রি করে ২ কোটি টাকারও কম উঠেছে। বাড়তি টাকা কোথা থেকে এল বলেও প্রশ্ন তোলেন গৌতম দেব।
ক্রেতাদের তালিকা চেয়ে তিনি বলেন, 'শিল্পপতিরা সে সব ছবি কিনেছিলেন। যাঁরা ছবি কিনেছিলেন, তাঁদের দু'-এক জনকে আমিও চিনি।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গৌতম দেব। বলেন, '৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।'
গৌতম দেবের সাংবাদিক বৈঠকের কিছু ক্ষণ পরই তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে গৌতম দেব যে কটাক্ষ করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলেন না। সিপিএম বার বার সাংবাদিক বৈঠক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।' পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন যে, সিপিএম কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গৌতম দেব যে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়েছেন, সে ব্যাপারেও সরব ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক লড়াই করি। তারা পরিবারের ওপর আক্রমণ করেন। এটা আমার শত্রুর ক্ষেত্রেও করব না।'
অন্য দিকে, সুদীপ্ত সেনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। সোমবারই সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠী কখনও কেনেনি। তাঁর এই মন্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানে ছবি বিক্রি নিয়ে কথা হয়। কিন্তু সুদীপ্ত সেনের সেই বক্তব্যের সঙ্গে এদিনের বক্তব্যের কোনও মিল নেই।' পাশাপাশি মদন মিত্রকে ইডি-র জেরা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, মোদীর শ্রীরামপুরের সভার আগে সিপিএম বরাবরই বিজেপি-তৃণমূল গোপন আঁতাঁতের কথা বলে এসেছে। 'সাম্প্রদায়িক' ওই দল দু'টিকে ভোট না-দেওয়ার আপিল জানিয়ে এসেছে লাল পার্টি। মূলত সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক দখলের স্ট্র্যাটেজি হিসেবেই বিজেপি-তৃণমূল গোপন জোটের কথা বলে এসেছে তারা। কিন্তু মোদীর শ্রীরামপুরের সভা এবং তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ায় এবার চিরাচরিত সেই কৌশল পাল্টাতে হচ্ছে সিপিএমকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এ কারণেই নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতম দেবকে মমতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানাতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপি যাতে রাজ্যে খাতাই খুলতে না-পারে, তারও প্রচার চালাতে হচ্ছে ওই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই।
মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম দেব মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির হিসেব চান। বলেন, 'ছবি কত টাকায় বিক্রি হয়েছে তার তালিকা দিন। ছবির ক্রেতাদের তালিকা কোথায়?'
এদিন তিনি আরও বলেন, 'মমতার প্রতিভার বিকাশ ২০০৪ সালে। তাঁর প্রথম ছবি বিক্রি হয়েছে ৪ লক্ষ টাকায়। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় ছবি বিক্রি হয় ১৪ বা ১৭ লক্ষ টাকায়। ২০১১ সালে তাঁর তৃতীয় ছবি বিক্রি হয়। ২০১৩ সালে ৬০ লক্ষ টাকায় চতুর্থ ছবি বিক্রি হয়েছে।' গৌতম দেবের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির হিসেবে গড়মিল রয়েছে। চার বারে ছবি বিক্রি করে ২ কোটি টাকারও কম উঠেছে। বাড়তি টাকা কোথা থেকে এল বলেও প্রশ্ন তোলেন গৌতম দেব।
ক্রেতাদের তালিকা চেয়ে তিনি বলেন, 'শিল্পপতিরা সে সব ছবি কিনেছিলেন। যাঁরা ছবি কিনেছিলেন, তাঁদের দু'-এক জনকে আমিও চিনি।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গৌতম দেব। বলেন, '৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।'
গৌতম দেবের সাংবাদিক বৈঠকের কিছু ক্ষণ পরই তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে গৌতম দেব যে কটাক্ষ করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলেন না। সিপিএম বার বার সাংবাদিক বৈঠক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।' পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন যে, সিপিএম কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গৌতম দেব যে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়েছেন, সে ব্যাপারেও সরব ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক লড়াই করি। তারা পরিবারের ওপর আক্রমণ করেন। এটা আমার শত্রুর ক্ষেত্রেও করব না।'
অন্য দিকে, সুদীপ্ত সেনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। সোমবারই সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠী কখনও কেনেনি। তাঁর এই মন্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানে ছবি বিক্রি নিয়ে কথা হয়। কিন্তু সুদীপ্ত সেনের সেই বক্তব্যের সঙ্গে এদিনের বক্তব্যের কোনও মিল নেই।' পাশাপাশি মদন মিত্রকে ইডি-র জেরা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।
No comments:
Post a Comment