সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি দূর করাই হবে বিজেপির চ্যালেঞ্জ ॥ অমর্ত্য সেন
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে যারা দেশত্যাগের কথা বলছেন তাদের সঙ্গে একমত নন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি দূর করাই হবে বিজেপির বড় চ্যালেঞ্জ।
শান্তিনিকেতনে ভোট দিতে যাওয়ার আগে অধ্যাপক অমর্ত্য সেন মঙ্গলবার ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, আপনি সরকারকে পছন্দ করেন না, আর সে জন্য দেশ ছেড়ে যাবেন-এটা হাস্যকর। তার চেয়ে আপনি সরকারকে বদলে দিন। গত ১৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম তিনি ভোট দেন।
অমর্ত্য সেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি তাঁর পছন্দের প্রার্থী নন। অনেক ভারতীয়ও একই মত পোষণ করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি রাম মন্দির নির্মাণের মতো কিছু হিন্দু ইস্যু তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল আলোচ্যসূচীর বাইরে রেখেছে। কিন্তু যাদের চিন্তা-চেতনায় হিন্দু-মুসলিম বিভাজন মূল বিষয় হিসেবে কাজ করে সেই আরএসএসের কর্মীর পক্ষে কি বাস্তবে এটা অবদমিত রাখা সম্ভব? আর এটাই দেখার বিষয়। বিবদমান বিষয়গুলো দূরে রাখা নির্বাচনের পক্ষে অনুকূল সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, কোয়ালিশন সরকারের প্রধান হিসেবে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা তুলে ধরাই হবে বিজেপির অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
মনমোহন সিং বলেছিলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি ইউপিএ সরকারের একটা বড় সাফল্য। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বন্ধু অমর্ত্য সেনকে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, সরকারের বড় সাফল্য সম্পর্কে মনমোহনের উত্তর ভুল ছিল বলেই আমার মনে হয়। যদি চুক্তিটি একটা অর্জন হয়, তবে সেটা ক্ষুদ্র। তিনি মত ব্যক্ত করে বলেন, সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের বড় সাফল্য হচ্ছে পোলিও নির্মূল এবং এইডস মহামারী মোকাবেলা। প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যদিও এটা হ্রাস পেয়েছে, তারপরও তা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
শান্তিনিকেতনে ভোট দিতে যাওয়ার আগে অধ্যাপক অমর্ত্য সেন মঙ্গলবার ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, আপনি সরকারকে পছন্দ করেন না, আর সে জন্য দেশ ছেড়ে যাবেন-এটা হাস্যকর। তার চেয়ে আপনি সরকারকে বদলে দিন। গত ১৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম তিনি ভোট দেন।
অমর্ত্য সেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি তাঁর পছন্দের প্রার্থী নন। অনেক ভারতীয়ও একই মত পোষণ করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি রাম মন্দির নির্মাণের মতো কিছু হিন্দু ইস্যু তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল আলোচ্যসূচীর বাইরে রেখেছে। কিন্তু যাদের চিন্তা-চেতনায় হিন্দু-মুসলিম বিভাজন মূল বিষয় হিসেবে কাজ করে সেই আরএসএসের কর্মীর পক্ষে কি বাস্তবে এটা অবদমিত রাখা সম্ভব? আর এটাই দেখার বিষয়। বিবদমান বিষয়গুলো দূরে রাখা নির্বাচনের পক্ষে অনুকূল সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, কোয়ালিশন সরকারের প্রধান হিসেবে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা তুলে ধরাই হবে বিজেপির অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
মনমোহন সিং বলেছিলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি ইউপিএ সরকারের একটা বড় সাফল্য। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বন্ধু অমর্ত্য সেনকে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, সরকারের বড় সাফল্য সম্পর্কে মনমোহনের উত্তর ভুল ছিল বলেই আমার মনে হয়। যদি চুক্তিটি একটা অর্জন হয়, তবে সেটা ক্ষুদ্র। তিনি মত ব্যক্ত করে বলেন, সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের বড় সাফল্য হচ্ছে পোলিও নির্মূল এবং এইডস মহামারী মোকাবেলা। প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যদিও এটা হ্রাস পেয়েছে, তারপরও তা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
No comments:
Post a Comment