হিন্দিভাষী ভোট রক্ষায় মরিয়া মমতা
এই সময়: কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের ভোট প্রচারে কংগ্রেস প্রার্থী সোমেন মিত্রকে উপেক্ষা করে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্ত্ত বড়বাজারের জনসভা থেকে হিন্দিভাষীদের মন গলানোর মরিয়া চেষ্টা করে তিনি বোঝালেন, বিজেপির রাহুল সিন্হাই এখানে সোমেন মিত্রের লড়াইটা সহজ করে দিতে পারেন৷ সত্যনারায়ণ পার্কের মঞ্চে নিজের দলের হিন্দিভাষী জনপ্রতিনিধিদের প্যারেড করালেন তিনি৷ বক্তৃতা শুরু করেই ডেকে নিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ বিবেক গুপ্তাকে৷ বললেন, 'বিবেক উঠে এসো৷ কোনও দিন আমি তোমার পদবি জানতে চেয়েছি? জিজ্ঞাসা করেছি, তোমার বাড়ি কোথায়? এ বার বলো, তোমার বাড়ি কোথায়?' বিবেকের কৃতজ্ঞ জবাব, 'দিদি, রাজস্থান৷' তৃণমূলের আর এক নেতা রাজকিশোর গুপ্তার দিকে আঙুল দেখিয়ে মমতা বললেন, 'আপনার বাড়ি কোথায়?' জবাব এল, 'দিদি আমি এখানেই জন্মেছি৷' একে একে দীনেশ বাজাজ, বিজয় উপাধ্যায়দের জনতার সামনে হাজির করে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, 'বাঙালি-অবাঙালি ফারাক করছেন?' এর পর একটি চিঠি তুলে ধরে মমতা বলেন, উনি (মোদী) যে কথা বলে গেছেন, তার প্রতিবাদ করে কলকাতার হিন্দিভাষীরা আমায় এই চিঠি লিখেছেন৷ আমি খুশি৷'
মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসার আগেই দলের হিন্দিভাষী নেতাদের বক্তৃতার নির্যাস ছিল, তৃণমূল যদি ভাষার ভিত্তিতে ভেদাভেদ করত, তা হলে তাঁরা কেউ সংসদ বা বিধানসভায় যেতে পারতেন না৷ মমতা এসেও ঠিক সেই দিকেই ঘুুরিয়ে দিলেন বক্তৃতার অভিমুখ৷ ঘিঞ্জি গলিপথে ছোট্ট মঞ্চ৷ নাকের ডগায় বাড়ির দেওয়ালগুলোয় সোমেন, সুদীপ, মমতা এবং মোদীর কাটআউটে ছয়লাপ৷ মাত্র কিছুদিন আগের 'মিত্র' আজ পরম শত্রু৷ প্রত্যেকটা ছবিই বলে দিচ্ছে, এখানে জম্পেশ লড়াই৷ যার নির্ণায়ক অবশ্যই হিন্দিভাষী ভোটারদের মতিগতি৷ এ বার সেই মতিগতি এতটাই ঘোরালো যে, প্রতিটি জনসভায় বক্তৃতার উপসংহার টেনেও ফের নতুন করে টেনে আনছেন মোদীর প্রসঙ্গ৷ প্রথমে বিশেষণ দিয়েছিলেন,'গ্যাসবেলুনবাবু'৷ সোমবার বললেন, 'নমোবাবু'৷ চিড়বিড়ে গরমে কখনও মেজাজ চড়িয়ে ফেলছেন সপ্তমে৷ পর মুহূর্তেই বলছেন, 'আপনি নিজেকে শের মনে করেন তো? ভুলে যাবেন না, সুন্দরবনে কিন্ত্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে৷ আপনাকে খ্যাঁক করে কামড়ে দেবে!' জনতা হাসির ফোয়ারা ওড়াতেই ফের সিরিয়াস হয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'বোলিয়ে তো বেঙ্গলমে আপকো কভি কোই দিক্কত হুয়া? কোই কভি আপসে পুছা আপ বিহারি কিঁউ হ্যায়?' নিজের রাজ্যে অবাঙালি ভোটারদের সমাদর আছে দাবি করেও এ বারের ভোটপর্বে সংশয় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মমতার৷ তাই অবাঙালি ভোটের আঁতুড়ঘরে জনতার কাছে মিনতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, 'আপনাদের ভোট ভাগ হতে দেবেন না তো?'
তৃতীয় দফার আগে তৃণমূল সমর্থকদের চাঙ্গা রাখতে তৃণমূল নেত্রী দাবি করছেন, দার্জিলিংয়ে হেরে বসে আছে বিজেপি৷ বলেছেন, 'ওরা একটাও জিতবে না৷ দার্জিলিংটাও গেছে৷' তবে অনুপ্রবেশকারী খেদানোর কথা বলে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি মোক্ষম অস্ত্রও তুলে দিয়ে গিয়েছেন৷ নিয়ম করে প্রতিটি জনসভায় মমতা বলে চলেছেন, 'আপনি ইতিহাস জানেন না৷ অতীতেও এখানে বহু বাংলাদেশি শরণার্থী এসেছেন৷ বাংলাদেশ এদেশেরই অংশ ছিল৷' ভোটের বাজারে বাঙালির 'জাত্যভিমানকে' প্রচারের রুটিন করে ফেলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷
ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীকে তৃণমূল নেত্রী যে কোনও দিনই আর বরদাস্ত করবেন না, সেই ইঙ্গিতটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর একটি শপথে, 'সিপিএম-কংগ্রেস আপনাকে ভয় পেতে পারে৷ আমি পাই না৷ আপনি সবাইকে কিনতে পারেন, আমাকে নয়৷'
মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসার আগেই দলের হিন্দিভাষী নেতাদের বক্তৃতার নির্যাস ছিল, তৃণমূল যদি ভাষার ভিত্তিতে ভেদাভেদ করত, তা হলে তাঁরা কেউ সংসদ বা বিধানসভায় যেতে পারতেন না৷ মমতা এসেও ঠিক সেই দিকেই ঘুুরিয়ে দিলেন বক্তৃতার অভিমুখ৷ ঘিঞ্জি গলিপথে ছোট্ট মঞ্চ৷ নাকের ডগায় বাড়ির দেওয়ালগুলোয় সোমেন, সুদীপ, মমতা এবং মোদীর কাটআউটে ছয়লাপ৷ মাত্র কিছুদিন আগের 'মিত্র' আজ পরম শত্রু৷ প্রত্যেকটা ছবিই বলে দিচ্ছে, এখানে জম্পেশ লড়াই৷ যার নির্ণায়ক অবশ্যই হিন্দিভাষী ভোটারদের মতিগতি৷ এ বার সেই মতিগতি এতটাই ঘোরালো যে, প্রতিটি জনসভায় বক্তৃতার উপসংহার টেনেও ফের নতুন করে টেনে আনছেন মোদীর প্রসঙ্গ৷ প্রথমে বিশেষণ দিয়েছিলেন,'গ্যাসবেলুনবাবু'৷ সোমবার বললেন, 'নমোবাবু'৷ চিড়বিড়ে গরমে কখনও মেজাজ চড়িয়ে ফেলছেন সপ্তমে৷ পর মুহূর্তেই বলছেন, 'আপনি নিজেকে শের মনে করেন তো? ভুলে যাবেন না, সুন্দরবনে কিন্ত্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে৷ আপনাকে খ্যাঁক করে কামড়ে দেবে!' জনতা হাসির ফোয়ারা ওড়াতেই ফের সিরিয়াস হয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'বোলিয়ে তো বেঙ্গলমে আপকো কভি কোই দিক্কত হুয়া? কোই কভি আপসে পুছা আপ বিহারি কিঁউ হ্যায়?' নিজের রাজ্যে অবাঙালি ভোটারদের সমাদর আছে দাবি করেও এ বারের ভোটপর্বে সংশয় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মমতার৷ তাই অবাঙালি ভোটের আঁতুড়ঘরে জনতার কাছে মিনতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, 'আপনাদের ভোট ভাগ হতে দেবেন না তো?'
তৃতীয় দফার আগে তৃণমূল সমর্থকদের চাঙ্গা রাখতে তৃণমূল নেত্রী দাবি করছেন, দার্জিলিংয়ে হেরে বসে আছে বিজেপি৷ বলেছেন, 'ওরা একটাও জিতবে না৷ দার্জিলিংটাও গেছে৷' তবে অনুপ্রবেশকারী খেদানোর কথা বলে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি মোক্ষম অস্ত্রও তুলে দিয়ে গিয়েছেন৷ নিয়ম করে প্রতিটি জনসভায় মমতা বলে চলেছেন, 'আপনি ইতিহাস জানেন না৷ অতীতেও এখানে বহু বাংলাদেশি শরণার্থী এসেছেন৷ বাংলাদেশ এদেশেরই অংশ ছিল৷' ভোটের বাজারে বাঙালির 'জাত্যভিমানকে' প্রচারের রুটিন করে ফেলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷
ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীকে তৃণমূল নেত্রী যে কোনও দিনই আর বরদাস্ত করবেন না, সেই ইঙ্গিতটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর একটি শপথে, 'সিপিএম-কংগ্রেস আপনাকে ভয় পেতে পারে৷ আমি পাই না৷ আপনি সবাইকে কিনতে পারেন, আমাকে নয়৷'
No comments:
Post a Comment