আতঙ্কিত মানুষ : দেশে ২৮ দিনে ৪শ’র বেশি খুন
মাহমুদা ডলি
« আগের সংবাদ | পরের সংবাদ» |
গুম-খুন ও অপহরণের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিদিন। এর সঙ্গে চলে আসছে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ। গত দু’দিনে ১২ এবং এক দিনেই ৭ গুম-অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলই নয়, সারাদেশের মানুষ চরম নিরাপত্তা সংকটে রয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়ার্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু চলতি এপ্রিল মাসেই সারাদেশে খুন হয়েছে ৪শ’র বেশি এবং অপহরণের শিকার হয়েছে ৬২ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে আস্থাহীন হয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ক্রমেই অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। অপহরণ, গুম, খুন-জখম, নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও চুরি-ডাকাতি ভয়াবহভাবে বেড়ে চলছে। রাজধানীতে দিন-দুপুরে একের পর এক অপহরণের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বগ-উত্কণ্ঠা ছড়াচ্ছে। এছাড়াও বড় অনেক অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কিছু সদস্যের বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। অবৈধ অর্থ আদায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ, এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে কারও কারও বিরুদ্ধে।
অসহায় মানুষ এখন আর পুলিশের কাছে যেতে চায় না। পুলিশের কাছে দিনের পর দিন ঘুরেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে অনেকেই হতাশ। এসব মানুষের অনেকেই বলেছেন, তাদের এখন আর আস্থা নেই।
নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত হন নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সঙ্গী। নজরুলের ব্যবহৃত গাড়িটি গাজীপুরের শালবন থেকে উদ্ধার হলেও তাদের কোনো খোঁজ নেই। প্রায় একই সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত হয়েছেন অ্যাডভোকেট চন্দন এবং তার ড্রাইভার। তাদের কোনো হদিস গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কেউ প্রতিকার পেয়েছেন, এমন নজির ক্রমেই কমে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য মানুষকে হয়রানি করছে বা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাও বিরল।
বেলার নির্বাহী পরিচালক রিজওয়ানার স্বামী এবি সিদ্দিক অপহৃত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় ফতুল্লা থানায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও পুলিশ-র্যাব বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য কোনো সংস্থা তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। দুর্বৃত্তরাই তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে এবি সিদ্দিক জানিয়েছেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার দেখিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কড়া নির্দেশনার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবি সিদ্দিককে উদ্ধার করতে পারেনি। গত ১৬ এপ্রিল এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। যে গাড়িটি অপহরণের কাজে ব্যবহার হয়েছে, সে গাড়িটিও শনাক্ত হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর এখন মানুষ আস্থা রাখতে পারছেন না। গত ৩১ মার্চ ভাড়ার মাইক্রাবাসে চড়ে দুর্বৃত্তদের কবলে পড়েন ব্যবসায়ী শামসুজ্জমান মেহেদী এবং তার বন্ধু ডাক্তার ইমামুর রশিদ সোহেল। দুর্বৃত্তরা তাদের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ওই মাইক্রোবাসে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সাভারের আশুলিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। এর মধ্যে তাদের টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে যায়। এটিএম কার্ড নিয়ে তা দিয়ে অর্থ তুলে নেয় বুথ থেকে।
মেহেদী জানান, এই ঘটনা নিয়ে তিনি শাহবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানায় দু’দিন ধরে দৌড়ঝাঁপের পর কাফরুল থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করতে রাজি হয়। প্রতিটি থানা থেকে তাকে বলা হয়, ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় নয়। মেহেদী জানান, ওই ডায়েরি পর্যন্তই শেষ। তিনি ব্যাংক থেকে ভিডিও ফুটেজ নিয়েছেন। তাতে দুর্বৃত্তদের স্পট চিত্র রয়েছে। তারপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মেহেদী বলেন, তিনি আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলেই তিনি ধরে নিয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ কুমিল্লা থেকে অপহরণের শিকার হন ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি রকিবুল হাসান শাওন। এই ঘটনায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারের নির্দেশে শাওনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা কাজি আবদুল মতিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মতিন জানান, পুলিশ এখন পর্যন্ত তার ছেলের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নিজ বাসা থেকে ঘুমন্ত ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার কোনো হদিস মেলাতে পারেনি।
মতিন বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ ছেলেকে হারিয়েছি। যারা আমার ছেলেকে উদ্ধার করার কথা তারা নির্লিপ্ত। কীভাবে আস্থা রাখি তাদের ওপর।’ রাজধানীর দক্ষিণ খান থেকে প্রায় চার মাস আগে অপহৃত হয়েছেন মুন্না ও ঝিন্টু নামের দুই ছাত্রদল নেতা। মুন্নার বাবা সামছুদ্দিন জানান, তিনি ঘটনার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে কোনো সহায়তাই করছে না। পুলিশ তার ছেলেকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
রাজধানীর পরীবাগের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, সম্প্রতি তিনি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। কিন্তু মামলা করেননি। তার বক্তব্য মামলা করে কী হবে। সম্প্রতি আরিফ নামের এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে না জানিয়েই এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেন। আরিফ বলেন, ‘এরপরও কীভাবে মানুষ আস্থা রাখবে পুলিশের ওপর?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, একটি জিডি তদন্ত করাতে তিনি পুলিশকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তদন্তকারী কর্মকর্তার কোনো তত্পরতা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরূপ অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যা মানুষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থাহীন করে তুলছে। পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব বিষয় নিয়ে তাদের কাছেও অনেক অভিযোগ আছে।
সাধারণ মানুষের কাছে আস্থাহীন হয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ক্রমেই অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। অপহরণ, গুম, খুন-জখম, নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও চুরি-ডাকাতি ভয়াবহভাবে বেড়ে চলছে। রাজধানীতে দিন-দুপুরে একের পর এক অপহরণের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বগ-উত্কণ্ঠা ছড়াচ্ছে। এছাড়াও বড় অনেক অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কিছু সদস্যের বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। অবৈধ অর্থ আদায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ, এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে কারও কারও বিরুদ্ধে।
অসহায় মানুষ এখন আর পুলিশের কাছে যেতে চায় না। পুলিশের কাছে দিনের পর দিন ঘুরেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে অনেকেই হতাশ। এসব মানুষের অনেকেই বলেছেন, তাদের এখন আর আস্থা নেই।
নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত হন নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সঙ্গী। নজরুলের ব্যবহৃত গাড়িটি গাজীপুরের শালবন থেকে উদ্ধার হলেও তাদের কোনো খোঁজ নেই। প্রায় একই সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত হয়েছেন অ্যাডভোকেট চন্দন এবং তার ড্রাইভার। তাদের কোনো হদিস গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কেউ প্রতিকার পেয়েছেন, এমন নজির ক্রমেই কমে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য মানুষকে হয়রানি করছে বা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাও বিরল।
বেলার নির্বাহী পরিচালক রিজওয়ানার স্বামী এবি সিদ্দিক অপহৃত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় ফতুল্লা থানায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও পুলিশ-র্যাব বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য কোনো সংস্থা তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। দুর্বৃত্তরাই তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে এবি সিদ্দিক জানিয়েছেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার দেখিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কড়া নির্দেশনার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবি সিদ্দিককে উদ্ধার করতে পারেনি। গত ১৬ এপ্রিল এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। যে গাড়িটি অপহরণের কাজে ব্যবহার হয়েছে, সে গাড়িটিও শনাক্ত হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর এখন মানুষ আস্থা রাখতে পারছেন না। গত ৩১ মার্চ ভাড়ার মাইক্রাবাসে চড়ে দুর্বৃত্তদের কবলে পড়েন ব্যবসায়ী শামসুজ্জমান মেহেদী এবং তার বন্ধু ডাক্তার ইমামুর রশিদ সোহেল। দুর্বৃত্তরা তাদের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ওই মাইক্রোবাসে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সাভারের আশুলিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। এর মধ্যে তাদের টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে যায়। এটিএম কার্ড নিয়ে তা দিয়ে অর্থ তুলে নেয় বুথ থেকে।
মেহেদী জানান, এই ঘটনা নিয়ে তিনি শাহবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানায় দু’দিন ধরে দৌড়ঝাঁপের পর কাফরুল থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করতে রাজি হয়। প্রতিটি থানা থেকে তাকে বলা হয়, ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় নয়। মেহেদী জানান, ওই ডায়েরি পর্যন্তই শেষ। তিনি ব্যাংক থেকে ভিডিও ফুটেজ নিয়েছেন। তাতে দুর্বৃত্তদের স্পট চিত্র রয়েছে। তারপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মেহেদী বলেন, তিনি আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলেই তিনি ধরে নিয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ কুমিল্লা থেকে অপহরণের শিকার হন ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি রকিবুল হাসান শাওন। এই ঘটনায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারের নির্দেশে শাওনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা কাজি আবদুল মতিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মতিন জানান, পুলিশ এখন পর্যন্ত তার ছেলের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নিজ বাসা থেকে ঘুমন্ত ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার কোনো হদিস মেলাতে পারেনি।
মতিন বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ ছেলেকে হারিয়েছি। যারা আমার ছেলেকে উদ্ধার করার কথা তারা নির্লিপ্ত। কীভাবে আস্থা রাখি তাদের ওপর।’ রাজধানীর দক্ষিণ খান থেকে প্রায় চার মাস আগে অপহৃত হয়েছেন মুন্না ও ঝিন্টু নামের দুই ছাত্রদল নেতা। মুন্নার বাবা সামছুদ্দিন জানান, তিনি ঘটনার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে কোনো সহায়তাই করছে না। পুলিশ তার ছেলেকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
রাজধানীর পরীবাগের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, সম্প্রতি তিনি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। কিন্তু মামলা করেননি। তার বক্তব্য মামলা করে কী হবে। সম্প্রতি আরিফ নামের এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে না জানিয়েই এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেন। আরিফ বলেন, ‘এরপরও কীভাবে মানুষ আস্থা রাখবে পুলিশের ওপর?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, একটি জিডি তদন্ত করাতে তিনি পুলিশকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তদন্তকারী কর্মকর্তার কোনো তত্পরতা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরূপ অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যা মানুষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থাহীন করে তুলছে। পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব বিষয় নিয়ে তাদের কাছেও অনেক অভিযোগ আছে।
No comments:
Post a Comment