নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলরসহ সাতজনকে অপহরণ
সবাই চুপ, সবাই আতঙ্কে
আট কিলোমিটার লম্বা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে দিনে-রাতে যান চলাচলের কোনো বিরাম নেই। দিনদুপুরে এই ব্যস্ত রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গেল দুটি গাড়িসহ সাতজন মানুষ। পরে দুটি গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় মিললেও লোকগুলোর খোঁজ মেলেনি ২৪ ঘণ্টায়ও। এক গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ পাঁচজন। আরেক গাড়িতে আইনজীবী চন্দনকুমার ও তাঁর গাড়িচালক।
এই রাস্তার পাশেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কারাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যালয়। প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটনাটি ঘটলেও কেউ তা দেখেছে বলেও স্বীকার করছে না। সবাই চুপ, সবার মধ্যে আতঙ্ক।
গত রোববার দুপুরে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সারা দিন এই এলাকায় ঘুরে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পুলিশের দপ্তরেও ঢুঁ মারতে হয়েছে। কিন্তু বিকেলে এসে যা তথ্য দাঁড়াল তা হলো—অপহরণের ঘটনাস্থলটি ঠিক শনাক্ত করা গেল না। লিংক রোড বলা হলেও এর কোন জায়গা থেকে লোকগুলো অপহূত হলো, তা নির্দিষ্ট করা গেল না। কারণ, কেউ কথা বলছে না এ বিষয়ে।
সবচেয়ে নিরাশ হওয়ার মতো তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায় অপহরণের বিষয়টিই তারা নিশ্চিত নয়। এখন নিখোঁজ ধরে নিয়েই তদন্ত চলছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর, তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন ও লিটন নামে পাঁচজন গাড়িসহ ‘নিখোঁজ’ হন। ওই দিন রাতেই নজরুলের গাড়িটি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রায় একই সময়ে একই রাস্তা থেকে গাড়িসহ ‘নিখোঁজ’ হন জেলার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ষাটোর্ধ্ব চন্দনকুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম।
এই ‘নিখোঁজ’দের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-সহকর্মী ও অনুসারীরা গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের অভিযোগ, নজরুলের প্রতিপক্ষ আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন তাঁকে অপহরণ করিয়েছেন। অপহরণকারীরা র্যাব পরিচয়ে সহযোগীসহ তাঁর স্বামীকে অপহরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে নজরুলের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এলাকার চাঁদাবাজি, কাঁচপুর সেতুর নিচে নদী দখল করে নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এই বিরোধ বলে সূত্রগুলো দাবি করছে।
তবে নূর হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগের জবাব দেবেন বলে গতকাল জানিয়েছেন।
আর আইনজীবী চন্দন সরকারের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে পরিবার কোনো কিছুই ধারণা করতে পারছে না।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলছেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন। তদন্ত চলছে। তবে চন্দন সরকারের
এই রাস্তার পাশেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কারাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যালয়। প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটনাটি ঘটলেও কেউ তা দেখেছে বলেও স্বীকার করছে না। সবাই চুপ, সবার মধ্যে আতঙ্ক।
গত রোববার দুপুরে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সারা দিন এই এলাকায় ঘুরে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পুলিশের দপ্তরেও ঢুঁ মারতে হয়েছে। কিন্তু বিকেলে এসে যা তথ্য দাঁড়াল তা হলো—অপহরণের ঘটনাস্থলটি ঠিক শনাক্ত করা গেল না। লিংক রোড বলা হলেও এর কোন জায়গা থেকে লোকগুলো অপহূত হলো, তা নির্দিষ্ট করা গেল না। কারণ, কেউ কথা বলছে না এ বিষয়ে।
সবচেয়ে নিরাশ হওয়ার মতো তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায় অপহরণের বিষয়টিই তারা নিশ্চিত নয়। এখন নিখোঁজ ধরে নিয়েই তদন্ত চলছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর, তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন ও লিটন নামে পাঁচজন গাড়িসহ ‘নিখোঁজ’ হন। ওই দিন রাতেই নজরুলের গাড়িটি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রায় একই সময়ে একই রাস্তা থেকে গাড়িসহ ‘নিখোঁজ’ হন জেলার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ষাটোর্ধ্ব চন্দনকুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম।
এই ‘নিখোঁজ’দের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-সহকর্মী ও অনুসারীরা গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের অভিযোগ, নজরুলের প্রতিপক্ষ আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন তাঁকে অপহরণ করিয়েছেন। অপহরণকারীরা র্যাব পরিচয়ে সহযোগীসহ তাঁর স্বামীকে অপহরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে নজরুলের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এলাকার চাঁদাবাজি, কাঁচপুর সেতুর নিচে নদী দখল করে নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এই বিরোধ বলে সূত্রগুলো দাবি করছে।
তবে নূর হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগের জবাব দেবেন বলে গতকাল জানিয়েছেন।
আর আইনজীবী চন্দন সরকারের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে পরিবার কোনো কিছুই ধারণা করতে পারছে না।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলছেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন। তদন্ত চলছে। তবে চন্দন সরকারের
No comments:
Post a Comment