বদল গরমের ধরনে, মানতে নাকাল শরীর
এই সময়: শুকনো গরম থেকে ভেজা গরম৷ মানাতে নাকাল শরীর৷ ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে৷
ঠা ঠা পোড়া রোদ৷ ঝলসে যাওয়া চোখমুখ৷ পারা ৪১ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই৷ কিন্ত্ত, গায়ে ঘামের লেশমাত্র নেই৷ নাক-মুখ ঢেকে, জল আর টক দই খেয়ে মরুশহরের মতো শুষ্ক গরমকে কোনও মতে সহ্য করছিল শহুরে বাঙালি৷ দুম করে বেড়ে গেল আপেক্ষিক আর্দ্রতা৷ আর সেই বাড়া এমন যে তাপমাত্রার পারা নিম্নমুখী হলেও, কমার নাম নেই আর্দ্রতার৷ অগত্যা, ঘেমে-নেয়ে কাহিল বাঙালি৷
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন৷ শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর রেকর্ড বলছে, আবহাওয়ার এই তারতম্য মানিয়ে নিতে বেগ পাচ্ছে শরীর৷ বাড়ছে, ডি হাইড্রেশন, মাসল ক্র্যাম্প, মাথা ঘুরে যাওয়া, সর্দিগর্মি৷ সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতাও৷
যেমন, মঙ্গলবার অফিসে ঢোকার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৈকত হালদার৷ বছর ছাব্বিশের সৈকত তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের কর্মী৷ তড়িঘড়ি কাছের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে শরীরের 'ফ্লুইড লস' হয়েছে সৈকতের৷ কিছুক্ষণ স্যালাইন চালানোর পর সুস্থ বোধ করতে থাকে সে৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার যখন তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই অথচ আপেক্ষিক আদ্রতা ছি ১৭ শতাংশ, তখন সুস্থই ছিলেন সৈকত৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তেই সমস্যা?
বিশিষ্ট চিকিত্সক সুব্রত মৈত্র জানাচ্ছেন, 'এখন যে গরম চলছে তা এখানকার চিরাচরিত গরম৷ কিন্ত্ত, সমস্যা হচ্ছে, ড্রাই গরমের মতোই এই ঘামে ভেজা গরমকে কমব্যাট করতে চাইছেন মানুষ৷ তাতেই সমস্যা হচ্ছে৷' কেন? তাঁর কথায়, নাক-মুখ ঢেকে রাখার প্রবণতা যেটা শুষ্ক গরমে কাজ দিত, সেই একই ভাবে আর্দ্রতাকে কাবু করতে চাওয়াটাই ভুল হচ্ছে৷ যার ফলে, বেশি ঘেমে নেয়ে মাথা ঘুরে যাওয়া বা ডি-হাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে রোগীদের মধ্যে৷ সুব্রতবাবু জানান, 'বাইরে থেকে ঘেমে নেয়ে এসে সরাসরি এসিতে ঢোকার জন্য বাড়ছে সর্দি-গর্মি-জ্বরের প্রবণতাও৷ আজই আমি এমন দু'জন রোগীকে ভর্তি করলাম আমার হাসপাতালে৷'
ছবিটা কম-বেশি এক সরকারি হাসপাতালগুলোরও৷ গরমে অসুস্থ হয়ে, গত ক'দিনে কমবেশি শ'খানেক রোগী চিকিত্সা করাতে ভিড় করেছেন শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির জরুরি বিভাগে৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান একে মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত যত না রোগী পেয়েছি, তার চেয়েও বেশি পাচ্ছি, গরমে কাহিল হওয়া রোগী৷ আগে দু'বার পাতলা পায়খানা হওয়া কোনও রোগীকে স্যালাইন চালাতে না-হলেও, এখন দেখছি, তাঁরা এতটাই কাহিল হয়ে আসছেন যে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন চালাতে হচ্ছে৷' এসএসকেএম হাসপাতালের এক কর্তা জানান, 'এ ক'দিনে অনেক রোগী বহির্বিভাগে দেখাতে এসে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন৷' পরিস্থিতি এমনই যে, গরমে অসুস্থ হওয়া রোগীদের তত্পরতার সঙ্গে চিকিত্সা করার জন্য জরুরি বিভাগের চিকিত্সকদের নির্দেশ দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তৃপক্ষরা৷
ঠা ঠা পোড়া রোদ৷ ঝলসে যাওয়া চোখমুখ৷ পারা ৪১ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই৷ কিন্ত্ত, গায়ে ঘামের লেশমাত্র নেই৷ নাক-মুখ ঢেকে, জল আর টক দই খেয়ে মরুশহরের মতো শুষ্ক গরমকে কোনও মতে সহ্য করছিল শহুরে বাঙালি৷ দুম করে বেড়ে গেল আপেক্ষিক আর্দ্রতা৷ আর সেই বাড়া এমন যে তাপমাত্রার পারা নিম্নমুখী হলেও, কমার নাম নেই আর্দ্রতার৷ অগত্যা, ঘেমে-নেয়ে কাহিল বাঙালি৷
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন৷ শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর রেকর্ড বলছে, আবহাওয়ার এই তারতম্য মানিয়ে নিতে বেগ পাচ্ছে শরীর৷ বাড়ছে, ডি হাইড্রেশন, মাসল ক্র্যাম্প, মাথা ঘুরে যাওয়া, সর্দিগর্মি৷ সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতাও৷
যেমন, মঙ্গলবার অফিসে ঢোকার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৈকত হালদার৷ বছর ছাব্বিশের সৈকত তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের কর্মী৷ তড়িঘড়ি কাছের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে শরীরের 'ফ্লুইড লস' হয়েছে সৈকতের৷ কিছুক্ষণ স্যালাইন চালানোর পর সুস্থ বোধ করতে থাকে সে৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার যখন তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই অথচ আপেক্ষিক আদ্রতা ছি ১৭ শতাংশ, তখন সুস্থই ছিলেন সৈকত৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তেই সমস্যা?
বিশিষ্ট চিকিত্সক সুব্রত মৈত্র জানাচ্ছেন, 'এখন যে গরম চলছে তা এখানকার চিরাচরিত গরম৷ কিন্ত্ত, সমস্যা হচ্ছে, ড্রাই গরমের মতোই এই ঘামে ভেজা গরমকে কমব্যাট করতে চাইছেন মানুষ৷ তাতেই সমস্যা হচ্ছে৷' কেন? তাঁর কথায়, নাক-মুখ ঢেকে রাখার প্রবণতা যেটা শুষ্ক গরমে কাজ দিত, সেই একই ভাবে আর্দ্রতাকে কাবু করতে চাওয়াটাই ভুল হচ্ছে৷ যার ফলে, বেশি ঘেমে নেয়ে মাথা ঘুরে যাওয়া বা ডি-হাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে রোগীদের মধ্যে৷ সুব্রতবাবু জানান, 'বাইরে থেকে ঘেমে নেয়ে এসে সরাসরি এসিতে ঢোকার জন্য বাড়ছে সর্দি-গর্মি-জ্বরের প্রবণতাও৷ আজই আমি এমন দু'জন রোগীকে ভর্তি করলাম আমার হাসপাতালে৷'
ছবিটা কম-বেশি এক সরকারি হাসপাতালগুলোরও৷ গরমে অসুস্থ হয়ে, গত ক'দিনে কমবেশি শ'খানেক রোগী চিকিত্সা করাতে ভিড় করেছেন শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির জরুরি বিভাগে৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান একে মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত যত না রোগী পেয়েছি, তার চেয়েও বেশি পাচ্ছি, গরমে কাহিল হওয়া রোগী৷ আগে দু'বার পাতলা পায়খানা হওয়া কোনও রোগীকে স্যালাইন চালাতে না-হলেও, এখন দেখছি, তাঁরা এতটাই কাহিল হয়ে আসছেন যে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন চালাতে হচ্ছে৷' এসএসকেএম হাসপাতালের এক কর্তা জানান, 'এ ক'দিনে অনেক রোগী বহির্বিভাগে দেখাতে এসে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন৷' পরিস্থিতি এমনই যে, গরমে অসুস্থ হওয়া রোগীদের তত্পরতার সঙ্গে চিকিত্সা করার জন্য জরুরি বিভাগের চিকিত্সকদের নির্দেশ দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তৃপক্ষরা৷
No comments:
Post a Comment