Wednesday, April 30, 2014

ওয়েব প্রযুক্তি কাজে এল না ভোটের নজরদারিতে

ওয়েব প্রযুক্তি কাজে এল না ভোটের নজরদারিতে

evm
সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সাফল্য এলেও প্রযুক্তির ত্রুটিতে রাজ্যে তৃতীয় পর্যায়ের লোকসভা ভোটে ওয়েবে স্পর্শকাতর বুথের নজরদারি ব্যবস্থা বিশেষ কাজেই এল না৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে এ জন্য লিঙ্ক-ফেলিওরকেই দায়ী করা হয়েছে৷

বুধবার ভোট হয়েছে চার জেলার ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে৷ বুথের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৩৩০৷ এর মধ্যে ৮ হাজার ৩১৪টি বুথই স্পর্শকাতর বা অতি-স্পর্শকাতর৷ আর এই সব বুথে নজরদারি চালাতে হরেক রকম আয়োজন ছিল নির্বাচন কমিশনের৷ গুচ্ছ ব্যবস্থার অন্যতম অত্যাধুনিক ওয়েব-সম্প্রচার৷ শেষে একটা কিন্ত্ত রয়েই গেল৷

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শুধু সরকারি বিএসএনএল পরিষেবা নয়, এমটিএস, ভোডাফোন, রিলায়েন্স, এয়ারটেল, এয়ারসেল-সহ বেসরকারি থ্রি-জি পরিষেবার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল৷ মোট ৩২৮টি বুথে ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওয়েব-সম্প্রচারের৷ কিন্ত্ত সার্ভারে গোলমাল থাকায় সকাল থেকেই বেশির ভাগ বুথই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ কখনওই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে পঞ্চাশ শতাংশ বুথেও এই ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে নজরদারি চালানো যায়নি৷ ফলে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি শাসকদলের বিরুদ্ধে এজেন্টকে বসতে না দেওয়া, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের হাজারও অভিযোগ তুললেও টের পায়নি কমিশন৷ কারণ, কমিশনের কম্পিউটার মনিটারে যে বুথের ছবি পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখলে মনে হবে, ভোট চলছে নিরুপদ্রবেই৷

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের খানাকুলে একটি বুথের ছবিতে শুধু ভেসে ওঠে এক প্রার্থীর এজেন্টের মুখ৷ অগত্যা টিভিই ভরসা৷ টিভিতেই দেখা যায়, আরামবাগের মৈগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এক বয়স্ক ব্যক্তিকে নিয়ে ভোট দেওয়াতে সটান ঢুকে পড়ছেন কাপড়-ঘেরা অংশে৷ মঙ্গলকোটেও একটি মাদ্রাসায় একই ঘটনা দেখে কমিশনের পক্ষ থেকে তত্‍ক্ষণাত্‍ ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ প্রযুক্তি নয়, নজরদারিতে নিযুক্ত ২ হাজার ৮৮৯ জন মাইক্রো-অবজারভারই ছিলেন এ দিন কমিশনের বিপত্তারণ৷
http://eisamay.indiatimes.com/state/web-technology-proved-to-be-a-failure-in-bengal-polls-3rd-phase/articleshow/34438833.cms?

No comments:

Post a Comment