ভোট আর গরমের গুঁতোয় অদৃশ্য বাস, ভোগান্তি চরমে
এই সময়: মৌলালির মোড়ে প্রায় আধ ঘণ্টা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করেও হাওড়া যাওয়ার বাস পেলেন না ভদ্রলোক৷ অগত্যা কয়েক গুন বেশি খরচের ট্যাক্সিতেই চড়তে হল তাঁকে৷
শ্যামবাজারের বাসিন্দা পরিতোষ হালদার হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার জন্য দু'ঘণ্টা আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বুধবার সকালে৷ কিন্ত্ত রাস্তায় বাস চলাচলের হাল দেখে মাথায় হাত পড়ল তাঁর৷ এমনকী ট্যাক্সিরও দেখা নেই৷ যে দু'-একটি ট্যাক্সির দেখা মিলল, সেগুলি আবার হাওড়া যেতে নারাজ৷ যুক্তি, ভোটের মধ্যে হাওড়া যাওয়া যাবে না৷ ট্রেন ফস্কে যাওয়ার আশঙ্কায় এক আত্মীয়ের গাড়িতেই হাওড়া রওনা দেন তিনি৷
গত দু'দিনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকেরই৷ এক দিকে হাওড়ায় ভোটের উত্তাপ, অন্য দিকে চাঁদিফাটা গরম৷ তার জেরে গত দু'দিন হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতাতেও বাস চলাচল কমেছে অস্বাভাবিক ভাবে৷ দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের পথে বাস না থাকায় বিপাকে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা৷ ধর্মতলায় কে সি দাসের সামনে বাসের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী সুকান্ত চক্রবর্তী৷ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, 'শুধু ভোটের ঘাড়ে দোষ চাপালে হবে না৷ গত এক বছর ধরেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা ক্রমে কমছে৷ এখন তীব্র গরমে দুপুরের দিকে আরওই বাস কম৷ কিন্ত্ত যাঁদের নিরুপায় হয়ে এই গরমেও বাড়ি থেকে বের হতে হয়, তাঁদের নাস্তানাবুদ দশা নিয়ে কি সরকার কিছুই ভাববে না?'
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়েরও স্বীকারোক্তি, 'গত রবিবার থেকেই রাস্তায় বাস-মিনিবাসের সংখ্যা কমেছে৷ হাওড়ার পাশাপাশি, দুই মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনার জেলা প্রশাসনও নির্বাচনের কাজে প্রচুর বাস তুলে নিয়েছে৷ আর তার ফলেই রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷'
বুধবার হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের জন্য তিন দিন আগেই বহু বাস তুলে নেয় হাওড়া জেলা প্রশাসন৷ তাতে হাওড়া শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে৷ ধাক্কা খেয়েছে শহর কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থাও৷ নিত্যযাত্রীদের অনেকেই গত কয়েক দিন ধরে নদীপথেই যাতায়াত করছেন৷
ভোটের মুখে রাজ্যে গণ-পরিবহণ ব্যবস্থা ধাক্কা খাওয়া অবশ্য নতুন ঘটনা নয়৷ পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, 'গত লোকসভা ভোটের মতো এ বারও নির্বাচনের কাজের জন্য বাস তুলে নিয়েছে প্রশাসন৷ তবে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে মূলত গরমের কারণেই৷'
শ্যামবাজারের বাসিন্দা পরিতোষ হালদার হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার জন্য দু'ঘণ্টা আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বুধবার সকালে৷ কিন্ত্ত রাস্তায় বাস চলাচলের হাল দেখে মাথায় হাত পড়ল তাঁর৷ এমনকী ট্যাক্সিরও দেখা নেই৷ যে দু'-একটি ট্যাক্সির দেখা মিলল, সেগুলি আবার হাওড়া যেতে নারাজ৷ যুক্তি, ভোটের মধ্যে হাওড়া যাওয়া যাবে না৷ ট্রেন ফস্কে যাওয়ার আশঙ্কায় এক আত্মীয়ের গাড়িতেই হাওড়া রওনা দেন তিনি৷
গত দু'দিনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকেরই৷ এক দিকে হাওড়ায় ভোটের উত্তাপ, অন্য দিকে চাঁদিফাটা গরম৷ তার জেরে গত দু'দিন হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতাতেও বাস চলাচল কমেছে অস্বাভাবিক ভাবে৷ দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের পথে বাস না থাকায় বিপাকে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা৷ ধর্মতলায় কে সি দাসের সামনে বাসের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী সুকান্ত চক্রবর্তী৷ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, 'শুধু ভোটের ঘাড়ে দোষ চাপালে হবে না৷ গত এক বছর ধরেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা ক্রমে কমছে৷ এখন তীব্র গরমে দুপুরের দিকে আরওই বাস কম৷ কিন্ত্ত যাঁদের নিরুপায় হয়ে এই গরমেও বাড়ি থেকে বের হতে হয়, তাঁদের নাস্তানাবুদ দশা নিয়ে কি সরকার কিছুই ভাববে না?'
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়েরও স্বীকারোক্তি, 'গত রবিবার থেকেই রাস্তায় বাস-মিনিবাসের সংখ্যা কমেছে৷ হাওড়ার পাশাপাশি, দুই মেদিনীপুর এবং দুই চব্বিশ পরগনার জেলা প্রশাসনও নির্বাচনের কাজে প্রচুর বাস তুলে নিয়েছে৷ আর তার ফলেই রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷'
বুধবার হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের জন্য তিন দিন আগেই বহু বাস তুলে নেয় হাওড়া জেলা প্রশাসন৷ তাতে হাওড়া শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে৷ ধাক্কা খেয়েছে শহর কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থাও৷ নিত্যযাত্রীদের অনেকেই গত কয়েক দিন ধরে নদীপথেই যাতায়াত করছেন৷
ভোটের মুখে রাজ্যে গণ-পরিবহণ ব্যবস্থা ধাক্কা খাওয়া অবশ্য নতুন ঘটনা নয়৷ পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, 'গত লোকসভা ভোটের মতো এ বারও নির্বাচনের কাজের জন্য বাস তুলে নিয়েছে প্রশাসন৷ তবে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে মূলত গরমের কারণেই৷'
No comments:
Post a Comment