মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর, পেট্রলপাম্পে আগুন, ১৮ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
অবরোধ, ভাঙচুর, আগুন
আওয়ামী লীগ-সমর্থক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের খবরে গতকাল বুধবার ক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। তাঁর বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল দুপুর থেকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ পূর্বাঞ্চলের সব বিকল্প পথ এবং আঞ্চলিক ও সংযোগ সড়ক। এতে চট্টগ্রাম বন্দর, মহানগরসহ পূর্বাঞ্চলের ১৮ জেলার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গতকালের সহিংসতায় মানুষের দুর্ভোগ ছিল বর্ণনাতীত। বিশেষ করে যাত্রী ও পথচারীরা দুঃসহ গরমে, রোদ ও ধুলাবালুর মধ্যে প্রচণ্ড কষ্ট পায়। দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যানজটে অসহনীয় পরিস্থিতি চললেও তা স্বাভাবিক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার সময় মহাসড়কে পুলিশ থাকলেও তারা কোনো অভিযান চালায়নি। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি কোথাও।
তিন দিনের ছুটি শুরু হওয়ায় গতকাল থেকে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ঘরমুখী হয়েছিল। যানবাহনে যাত্রীদের চাপ ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। সায়েদাবাদে স্টারলাইনের ব্যবস্থাপক মো. নাসির প্রথম আলোকে জানান, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় সবাইকে টিকিট দেওয়া যায়নি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে গতকাল তাদের ২৩টি বাসের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। অন্য পরিবহনগুলোর অবস্থাও একই রকম।
পরিবহনের মালিক ও কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সহিংসতায় দুই শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকটি ছোট টং দোকান উঠিয়ে এনে রাস্তার ওপর আগুন দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিনের মালিকানাধীন শ্যামস ফিলিং স্টেশনে। সেলিনা ইসলাম স্বামী নজরুলের অপহরণের ঘটনায় ইয়াসিন ও নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইয়াসিনের পেট্রলপাম্পের মনিটরগুলোতে আগুন লাগানো হলেও রিজার্ভ ট্যাংক সুরক্ষিত ছিল। এ জন্য ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। পেট্রলপাম্পে আগুন লাগানোর পর বিক্ষোভকারীরা তাঁর গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়েছেন।
অপহূত নজরুলের লাশ বুধবার বিকেলে পাওয়ার পর তাঁর ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা মৌচাক ও সাইনবোর্ড এলাকার মহাসড়কে তাণ্ডব শুরু করেন। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে তাঁরা নিয়মিত অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু লাশ উদ্ধারের খবরে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তাঁরা সহিংস হয়ে ওঠেন। এ সময় সড়কের ওপর কংক্রিটের পাইপ ও বড় গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে। কেউবা অসুস্থ হয়। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের কষ্ট ও কান্না দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়। বিকেল থেকেই পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। রাস্তার আশপাশের দোকানগুলোতে পানির বোতল ফুরিয়ে যায়। ১৫ টাকা দামের আধা লিটার পানি বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। চরম অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনেকেই যাত্রা স্থগিত করেছেন, কেউবা জরুরি হওয়ায় বাস কাউন্টার বা পরিবহনের মধ্যে অপেক্ষা করছেন।
সায়েদাবাদে গ্রিনলাইনের একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসে
গতকালের সহিংসতায় মানুষের দুর্ভোগ ছিল বর্ণনাতীত। বিশেষ করে যাত্রী ও পথচারীরা দুঃসহ গরমে, রোদ ও ধুলাবালুর মধ্যে প্রচণ্ড কষ্ট পায়। দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যানজটে অসহনীয় পরিস্থিতি চললেও তা স্বাভাবিক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার সময় মহাসড়কে পুলিশ থাকলেও তারা কোনো অভিযান চালায়নি। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি কোথাও।
তিন দিনের ছুটি শুরু হওয়ায় গতকাল থেকে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ঘরমুখী হয়েছিল। যানবাহনে যাত্রীদের চাপ ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। সায়েদাবাদে স্টারলাইনের ব্যবস্থাপক মো. নাসির প্রথম আলোকে জানান, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় সবাইকে টিকিট দেওয়া যায়নি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে গতকাল তাদের ২৩টি বাসের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। অন্য পরিবহনগুলোর অবস্থাও একই রকম।
পরিবহনের মালিক ও কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সহিংসতায় দুই শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকটি ছোট টং দোকান উঠিয়ে এনে রাস্তার ওপর আগুন দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিনের মালিকানাধীন শ্যামস ফিলিং স্টেশনে। সেলিনা ইসলাম স্বামী নজরুলের অপহরণের ঘটনায় ইয়াসিন ও নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইয়াসিনের পেট্রলপাম্পের মনিটরগুলোতে আগুন লাগানো হলেও রিজার্ভ ট্যাংক সুরক্ষিত ছিল। এ জন্য ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। পেট্রলপাম্পে আগুন লাগানোর পর বিক্ষোভকারীরা তাঁর গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়েছেন।
অপহূত নজরুলের লাশ বুধবার বিকেলে পাওয়ার পর তাঁর ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা মৌচাক ও সাইনবোর্ড এলাকার মহাসড়কে তাণ্ডব শুরু করেন। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে তাঁরা নিয়মিত অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু লাশ উদ্ধারের খবরে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তাঁরা সহিংস হয়ে ওঠেন। এ সময় সড়কের ওপর কংক্রিটের পাইপ ও বড় গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে। কেউবা অসুস্থ হয়। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের কষ্ট ও কান্না দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়। বিকেল থেকেই পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। রাস্তার আশপাশের দোকানগুলোতে পানির বোতল ফুরিয়ে যায়। ১৫ টাকা দামের আধা লিটার পানি বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। চরম অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনেকেই যাত্রা স্থগিত করেছেন, কেউবা জরুরি হওয়ায় বাস কাউন্টার বা পরিবহনের মধ্যে অপেক্ষা করছেন।
সায়েদাবাদে গ্রিনলাইনের একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসে
No comments:
Post a Comment