Tuesday, April 29, 2014

রাহুলকে ‘নমুনা’ বলে বাগ্‌যুদ্ধে নয়া মাত্রা নমোর

রাহুলকে ‘নমুনা’ বলে বাগ্‌যুদ্ধে নয়া মাত্রা নমোর

namo
খেরালু ও শ্রীনগর: অস্ত্র একই আছে, শুধু বদলে যাচ্ছে ভাষা৷ নিত্য দিন নতুন নতুন বিশেষণের ব্যবহারে সনিয়া-পুত্রের উপর আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী৷ রবিবারই রাহুল গান্ধীকে 'কমেডিয়ান' বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি৷ সোমবার গুজরাটের খেরালুতে এক নির্বাচনী সভায় রাহুলকে 'কংগ্রেসের আজব নমুনা' আখ্যা দিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ রাহুলকে পরোক্ষে মিথ্যেবাদী বলে মোদীর কটাক্ষ, 'যদি ক্লান্তি কাটাতে চান, রাহুলের বক্তব্য শুনুন৷ তাঁর হিসেব বলে, গুজরাটের প্রায় ২৭ হাজার কোটি চাকরির পদ ফাঁকা৷ গুজরাটের জনসংখ্যাই তো ছ'কোটি, এটা কী ভাবে সম্ভব আপনারাই বলুন? কংগ্রেস কী ধরনের নমুনা যে ধরে এনেছে!'

একইসঙ্গে গুজরাট সম্পর্কে রাহুলের স্বল্প জ্ঞানকেও কটাক্ষ করেন মোদী৷ বলেন, 'রাহুল ক'দিন আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, গুজরাটে নাকি লোকায়ুক্ত নেই৷ কিন্ত্ত তাঁর এটা জানা উচিত, গুজরাটে অনেক দিন থেকেই লোকায়ুক্ত রয়েছে, আর তার প্রথম রিপোর্ট বিধানসভায় পেশও করা হয়েছে৷ রাহুলভাই, আপনার জ্ঞান যদি এত অল্প হয়, দেশের কী হবে?'

কংগ্রেস বিভিন্ন ছুতোয় তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্ক উস্কে দিতে চাইছে, এই অভিযোগ এনে মোদী বলেন, 'আমি আদৌ কখনও চা বেচেছি কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর করতে আমার দেশের বাড়ি ভাডনগরে অন্তত ১০০ জনকে পাঠিয়েছে কংগ্রেস৷ তারা খুব ভালো ভাবেই জানে, দেশে মোদী-সুনামি আসতে চলেছে৷ কিন্ত্ত প্রধানমন্ত্রী নাকি তা দেখতে পান না৷ এতে অবশ্য আশ্চর্য হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ কেননা মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও তাঁর নজর এড়িয়ে গিয়েছে৷'

এ দিনই পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার এক জনসভায় দুর্নীতি প্রশ্নে বিজেপির দ্বৈত অবস্থান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানান কংগ্রেসের সহ-সভাপতি৷ রাহুলের কথায়, 'এনডিএ-র শাসনে জনা দু'য়েক শিল্পপতিই শুধু লাভবান হয়েছেন৷ বর্গমিটার প্রতি মাত্র ১ টাকা দরে প্রায় ৪৫ হাজার জমি আদানি গ্রুপকে দিয়েছেন মোদী৷ তাঁরই কল্যাণে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন আদানি৷'

কাশ্মীর ও সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক ও তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও এ দিন বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ গতকালই ফারুক আবদুল্লা মন্তব্য করেছিলেন, মোদীকে যাঁরা ভোট দেবেন, তাঁদের সমুদ্রে ডুবে মরা উচিত৷ একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, দেশ যদি সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়, তবে কাশ্মীর আর ভারতের অংশ থাকবে না৷ সোমবার মোদীর পাল্টা অভিযোগ, ফারুকের বাবা শেখ আবদুল্লা, তিনি নিজে ও তাঁর ছেলেই কাশ্মীরের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িতা এনেছেন৷ তাঁদের জন্যই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলার কোনও মুখই নেই তাঁদের৷

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা৷ তাঁর কথায়, 'মোদী সাহেব, ভোট চাওয়ার জন্য আপনার কাশ্মীরে আসার সাহসই নেই৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান, কিন্ত্ত কাশ্মীরে ভোট চাইতে আসবেন না৷ যেভাবে এখানকার মানুষদের আপনি অপমান করেছেন, আমার মনে হয় না, এখানকার মানুষের মনে আপনার জন্য কোনও জায়গা রয়েছে৷'

No comments:

Post a Comment