Wednesday, April 30, 2014

অশোভন ভাষা ব্যবহার না করার আহ্বান লোকসভা নির্বাচনে রাজনীতিকদের প্রতি মিডিয়া

অশোভন ভাষা ব্যবহার না করার আহ্বান
লোকসভা নির্বাচনে রাজনীতিকদের প্রতি মিডিয়া
ভারতের সংবাদ মাধ্যম বর্তমান সাধারণ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে অশোভন ভাষা ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে রাজনীতিকদের প্রতি। খবর বিবিসি অনলাইনের।
ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে ৭ এপ্রিল। নবম দিনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ মে এবং নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ মে। নির্বাচন যতই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে, রাজনীতিকরা তাদের বিরোধীদের সমালোচনায় তত বেশি উত্তেজনাকর ও অশোভন ভাষা ব্যবহার করছেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, লোকসভা নির্বাচন (নিম্ন পরিষদ) এখন শেষ পর্যায়ে এবং নির্বাচনী প্রচারের নামে বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবিরাম ব্যবহার করা হচ্ছে অশ্লীল, বিদ্রপাত্মক ও নিন্দাসূচক শব্দ ও ভাষা। বক্তৃতা-বিবৃতি হচ্ছে তিক্ত ও কর্কশ, আক্রমণ করা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে। কিন্তু কেউ ভ্রক্ষেপ করছে না বলেই মনে হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া মনে করে, প্রচার অভিযানে নিম্নমানের ও নোংরা ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে। পুরুষ ও মহিলাদের এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাগামহীনভাবে চলছে তিরস্কার ও অপ্রীতিকর বাক্য বিনিময়। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতাদের মধ্যে যেসব শব্দ ও বাক্য বিনিময় হচ্ছে তার প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট করে পত্রিকাটি।
মোদি বলেছেন, টিএমসি নেত্রী মমতা ব্যানার্জী তার দরিদ্র সমর্থিত ভাবমূর্তি পরিপন্থী চিত্র বিক্রি করে কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। টিএমসি নেত্রী পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি নেতাকে ‘গুজরাটের কসাই’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ লোকটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। মোদি ২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা থামাতে কিছুই করেননি। ঐ দাঙ্গায় নিহত হয়েছে ১ হাজারের বেশি লোক।
মোদি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সব সময়। পত্রিকাটি লিখেছে, মোদি গত সপ্তাহে তার এক জনসমাবেশে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘নিম্নমানের ভাঁড়’ বলে অভিহিত করেন। এর আগে কংগ্রেস প্রার্থী মোদিকে ফালি ফালি করে কেটে ফেলার হুমকি দেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, যারা তার দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সমর্থন করেন না তারা পাকিস্তানে চলে গেলেই পারেন। এশিয়ান এজ বলেছে, এ ধরনের বিরোধিতা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার পথকে সুপ্রশস্ত করে এবং এটা দেশের জন্য এক অপ্রশমিত দুর্যোগ।

No comments:

Post a Comment