প্রিয়াঙ্কাই এখন মোদিবিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের প্রেরণা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেস ক্যাডারদের মনে অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছেন। ক্যাডাররা এর আগে হিন্দুবাদী দল বিজেপির উত্থান রোধের লড়াইয়ে রাহুল গান্ধীর ওপর নির্ভর করছিল। নির্বাচনে বিজেপি ও এর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রতি সমর্থন স্পষ্ট হয়ে ওঠায় এ সময়ে প্রিয়াঙ্কা নেমে এলেন প্রচার অভিযানে। তিনি তার ভাই ও মায়ের আসনগুলোতে প্রচার সীমিত রাখলেও তার উপস্থিতি ভোটযুদ্ধের গতিধারা বদলে দেয়। এটা এমন মাত্রাতেই ঘটে যে, রাহুল নন প্রিয়াঙ্কাই ইলেক্ট্রনিক প্রচার মাধ্যমে প্রাধান্য বিস্তার করেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
এসব কিছুরই সূচনা হয় যখন বারানসী আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় রায় জানান যে, প্রিয়াঙ্কা তাঁকে মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে রাজি করেছিলেন এবং তাঁকে যখনই প্রয়োজন হয় তখনই পদনির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও প্রিয়াঙ্কা বারানসীতে প্রচার চালাননি, তবুও তিনি বিজেপির মনে ভয়ের সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট করেছেন। একদল মিডিয়াপারসন যে তাঁকে অনুসরণ করছেন, সেই সম্পর্কে সচেতন থেকে তিনি রায় বেরেলি ও আমেথি থেকে সমগ্র দেশের জন্য কথা বলছেন। প্রথমে প্রিয়াঙ্কা এক মহিলার ওপর নজরদারি সম্পর্কিত এক কেলেঙ্কারির ঘটনা খুঁচিয়ে তোলেন। এ ঘটনায় মোদি জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। তীক্ষè রাজনীতিকের মতো প্রিয়াঙ্কা এক মহিলার ওপর নজরদারি করার দায়ে মোদির সমালোচনা করেন এবং এ ঘটনাকে মহিলাদের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে দেখান। তিনি বলেন, আপনারা নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন, আপনাদের উচিত আমাদের ফোনে আড়িপাতা বন্ধ করা। একজন নেতা রয়েছেন যিনি মহিলাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে থাকেন। তাঁর সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। তিনি রায়বেরেলির উনচাহার ব্লকের চাদরাই গ্রামের একদল বাসিন্দার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিল মহিলা। এরপর তিনি মোদির উন্নয়নের গুজরাট মডেলকে সমালোচনার লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেন। প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন যে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বন্ধুবান্ধবকে নামমাত্র মূল্যে জমি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণ অতুলনীয় বোধশক্তির অধিকারী এবং মোদির উন্নয়নের গুজরাট মডেল সম্পর্কে তাদের জানা আছে যেখানে আপনি (মোদি) হাজার হাজার একর জমি আপনার বন্ধুবান্ধবকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপি এ অভিযোগ জোরালো ভাষায় অস্বীকার করে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এমন কিছুর সূচনা করছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন এক গুঞ্জন হয়ে থাকে। যা হোক, এটি মোদির চরিত্রে আঘাত করার মতো সবচেয়ে দুর্বল স্থান বলে প্রমাণিত হয়। এর মোকাবেলা করতে বিজেপি প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবাট ভদ্রের জমি সম্পর্কিত বিতর্কিত চুক্তিগুলো নিয়ে এক ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করে। বিজেপি দাবি করে যে, ভদ্র হরিয়ানা ও রাজস্থানে কংগ্রেসের শাসনের ফলে লাভবান হয়েছিলেন। সেখানে তিনি সন্দেহজনক উপায়ে জমি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। এবার তিনি দাবি করেন যে, তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইঁদুরের মতো ছুটোছুটি করছে বলে মনে হয়। তিনি বলেন, আমি জানতাম যে, তারা তাদের মিথ্যা কথামালার পুনরাবৃত্তি করবে। এতে নতুন কিছু নেই, কিন্তু তারা যা চায় তাদের তাই বলতে দিন। আমি কারও পরোয়া করি না এবং তাদের নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক ও লজ্জাকর রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। এ প্রথমবার তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে তাঁর নীরবতা ভাঙলেন। ভদ্রের পক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, তারা আমার পরিবারকে অপমান করছে, আমার স্বামীকে অপমান করছে। আমি দুঃখ বোধ করছি। আমি ইন্দিরাজির কাছ থেকে শিখেছি। তারা যত বেশি অপমান করছে, আমার পাল্টা আঘাত আনার সামর্থ্য তত বাড়ছে... সত্য প্রকাশ পাবে। শেষ দশ দিনের জন্য এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা বনাম মোদি। বাগ্বিত-া দিন দিন তীব্রতা লাভ করতে যাচ্ছে। এখনকার কথা বলতে গেলে, প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসকেই মোদি মোকাবেলায় সেই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, যা ইতোপূর্বে দলটির ছিল না।
এসব কিছুরই সূচনা হয় যখন বারানসী আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় রায় জানান যে, প্রিয়াঙ্কা তাঁকে মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে রাজি করেছিলেন এবং তাঁকে যখনই প্রয়োজন হয় তখনই পদনির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও প্রিয়াঙ্কা বারানসীতে প্রচার চালাননি, তবুও তিনি বিজেপির মনে ভয়ের সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট করেছেন। একদল মিডিয়াপারসন যে তাঁকে অনুসরণ করছেন, সেই সম্পর্কে সচেতন থেকে তিনি রায় বেরেলি ও আমেথি থেকে সমগ্র দেশের জন্য কথা বলছেন। প্রথমে প্রিয়াঙ্কা এক মহিলার ওপর নজরদারি সম্পর্কিত এক কেলেঙ্কারির ঘটনা খুঁচিয়ে তোলেন। এ ঘটনায় মোদি জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। তীক্ষè রাজনীতিকের মতো প্রিয়াঙ্কা এক মহিলার ওপর নজরদারি করার দায়ে মোদির সমালোচনা করেন এবং এ ঘটনাকে মহিলাদের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে দেখান। তিনি বলেন, আপনারা নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন, আপনাদের উচিত আমাদের ফোনে আড়িপাতা বন্ধ করা। একজন নেতা রয়েছেন যিনি মহিলাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে থাকেন। তাঁর সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। তিনি রায়বেরেলির উনচাহার ব্লকের চাদরাই গ্রামের একদল বাসিন্দার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিল মহিলা। এরপর তিনি মোদির উন্নয়নের গুজরাট মডেলকে সমালোচনার লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেন। প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন যে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বন্ধুবান্ধবকে নামমাত্র মূল্যে জমি বিলিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণ অতুলনীয় বোধশক্তির অধিকারী এবং মোদির উন্নয়নের গুজরাট মডেল সম্পর্কে তাদের জানা আছে যেখানে আপনি (মোদি) হাজার হাজার একর জমি আপনার বন্ধুবান্ধবকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপি এ অভিযোগ জোরালো ভাষায় অস্বীকার করে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এমন কিছুর সূচনা করছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন এক গুঞ্জন হয়ে থাকে। যা হোক, এটি মোদির চরিত্রে আঘাত করার মতো সবচেয়ে দুর্বল স্থান বলে প্রমাণিত হয়। এর মোকাবেলা করতে বিজেপি প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবাট ভদ্রের জমি সম্পর্কিত বিতর্কিত চুক্তিগুলো নিয়ে এক ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করে। বিজেপি দাবি করে যে, ভদ্র হরিয়ানা ও রাজস্থানে কংগ্রেসের শাসনের ফলে লাভবান হয়েছিলেন। সেখানে তিনি সন্দেহজনক উপায়ে জমি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। এবার তিনি দাবি করেন যে, তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইঁদুরের মতো ছুটোছুটি করছে বলে মনে হয়। তিনি বলেন, আমি জানতাম যে, তারা তাদের মিথ্যা কথামালার পুনরাবৃত্তি করবে। এতে নতুন কিছু নেই, কিন্তু তারা যা চায় তাদের তাই বলতে দিন। আমি কারও পরোয়া করি না এবং তাদের নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক ও লজ্জাকর রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। এ প্রথমবার তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে তাঁর নীরবতা ভাঙলেন। ভদ্রের পক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, তারা আমার পরিবারকে অপমান করছে, আমার স্বামীকে অপমান করছে। আমি দুঃখ বোধ করছি। আমি ইন্দিরাজির কাছ থেকে শিখেছি। তারা যত বেশি অপমান করছে, আমার পাল্টা আঘাত আনার সামর্থ্য তত বাড়ছে... সত্য প্রকাশ পাবে। শেষ দশ দিনের জন্য এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা বনাম মোদি। বাগ্বিত-া দিন দিন তীব্রতা লাভ করতে যাচ্ছে। এখনকার কথা বলতে গেলে, প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসকেই মোদি মোকাবেলায় সেই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, যা ইতোপূর্বে দলটির ছিল না।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment