শিবিরের নৃশংস হামলা, তান্ডব ॥ রাবিতে ছাত্রলীগের দু’ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম
০ একজনের পায়ের পাতা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন, অন্য জনের হাত-পায়ের রগ কর্তন
০ রাজশাহী মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর
০ দু’জনের হাতই কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত কুপিয়ে কুপিয়ে জখম
০ রাজশাহী মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর
০ দু’জনের হাতই কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত কুপিয়ে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী/রাবি সংবাদদাতা ॥ সংঘবদ্ধ শিবির ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলায় মতিহারের সবুজ চত্বরে আবারও ছাত্রলীগের রক্ত ঝরাল। এবার ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে নৃশংস হামলা চালিয়ে বোমা ফাটিয়ে একজনের পা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন ও অপরজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা রুস্তমকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ২৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের মাঝামাঝি স্থানে পরিকল্পিতভাবে এ তান্ডব চালানো হয়েছে। এ নিয়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে রাবি প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকেই পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করেছে। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে আবারও আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবার শিবিরের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালেহ মোহাম্মদ টগর এবং ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহেল মাসুদ। এর মধ্যে মাসুদের পা গোড়ালি থেকে আলাদা কবে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টগর ও মাসুদ মাদার বখশ্ হল থেকে রিক্সাযোগে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। পথে শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ওঁৎপেতে থাকা শিবির ক্যাডার। এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে শিবিরকর্মীরা মাসুদকে ধরে পাশের একটি দোকানের পেছনে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মাসুদের ডান পায়ের পাতা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। একই সময়ে টগরকে রাস্তার অন্যপাশে ফেলে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে দুজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে নির্বিঘেœ চম্পট দেয় শিবির ক্যাডাররা।
আশপাশের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় টগর ও মাসুদকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে পরে ঢাকায় নেয়া হয় তাদের। তাদের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘শিবির ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তিনি অতিদ্রুত জড়িত শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান জানান, হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করছে। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
পরিকল্পিত হামলা
সুপরিকল্পিতভাবে শিবির ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ২৬ এপ্রিল রাবির মাদার বখশ হল শিবিরের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মাসুদ ও টগর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর তাদের দু’জনকে শিবিরের পক্ষ থেকে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। এমনকি রাবি শিবিরের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমন তার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকেও এ ব্যাপারে হুমকি দিয়েছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন জানান, টগর ও মাসুদ সব সময়ই শিবিরবিরোধী কর্মকান্ডে সামনে থেকেছে। কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি তাদের দুজনের নাম উল্লেখ করে হুমকি দেয়। এ সময় তিনি বলেন, শিবিরই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাবি শাখা শিবিরের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কেউ জড়িত নয়।
আহতদের ঢাকায় স্থানান্তর
শিবিরের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবারই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান ডা. বিকে দাম জানান, মাসুদের ডান পা গোড়ালি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বাঁ পায়ের গোড়ালি থেকে বাকি অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তার ডান হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এছাড়া তার দুই হাতেরই রগ কেটে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে টগরের দুই হাত ও দুই পায়ের রগও কেটে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, মাসুদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক। টগরের অবস্থা মাসুদের চেয়ে কিছুটা ভাল হলেও আশঙ্কামুক্ত নয়। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
দুই নেতার ওপর শিবিরের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন। এ সময় তারা হামলাকারী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। এ সময় একই দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী কর্মসূচী সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
জড়িত সন্দেহে আটক ১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও হাত-পা কেটে দেয়ার ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
ছাত্রলীগ নেতা রুস্তমকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ২৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের মাঝামাঝি স্থানে পরিকল্পিতভাবে এ তান্ডব চালানো হয়েছে। এ নিয়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে রাবি প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকেই পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করেছে। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে আবারও আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবার শিবিরের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালেহ মোহাম্মদ টগর এবং ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহেল মাসুদ। এর মধ্যে মাসুদের পা গোড়ালি থেকে আলাদা কবে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টগর ও মাসুদ মাদার বখশ্ হল থেকে রিক্সাযোগে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। পথে শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ওঁৎপেতে থাকা শিবির ক্যাডার। এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে শিবিরকর্মীরা মাসুদকে ধরে পাশের একটি দোকানের পেছনে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মাসুদের ডান পায়ের পাতা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। একই সময়ে টগরকে রাস্তার অন্যপাশে ফেলে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে দুজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে নির্বিঘেœ চম্পট দেয় শিবির ক্যাডাররা।
আশপাশের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় টগর ও মাসুদকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে পরে ঢাকায় নেয়া হয় তাদের। তাদের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘শিবির ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তিনি অতিদ্রুত জড়িত শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান জানান, হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করছে। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
পরিকল্পিত হামলা
সুপরিকল্পিতভাবে শিবির ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ২৬ এপ্রিল রাবির মাদার বখশ হল শিবিরের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মাসুদ ও টগর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর তাদের দু’জনকে শিবিরের পক্ষ থেকে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। এমনকি রাবি শিবিরের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমন তার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকেও এ ব্যাপারে হুমকি দিয়েছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন জানান, টগর ও মাসুদ সব সময়ই শিবিরবিরোধী কর্মকান্ডে সামনে থেকেছে। কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি তাদের দুজনের নাম উল্লেখ করে হুমকি দেয়। এ সময় তিনি বলেন, শিবিরই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাবি শাখা শিবিরের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কেউ জড়িত নয়।
আহতদের ঢাকায় স্থানান্তর
শিবিরের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবারই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান ডা. বিকে দাম জানান, মাসুদের ডান পা গোড়ালি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বাঁ পায়ের গোড়ালি থেকে বাকি অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তার ডান হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এছাড়া তার দুই হাতেরই রগ কেটে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে টগরের দুই হাত ও দুই পায়ের রগও কেটে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, মাসুদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক। টগরের অবস্থা মাসুদের চেয়ে কিছুটা ভাল হলেও আশঙ্কামুক্ত নয়। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
দুই নেতার ওপর শিবিরের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন। এ সময় তারা হামলাকারী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। এ সময় একই দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী কর্মসূচী সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
জড়িত সন্দেহে আটক ১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও হাত-পা কেটে দেয়ার ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment