কমিশনের কাছে ইয়েচুরি পুনরায় ভোট না হলে দুষ্কৃতীরা উৎসাহ পাবে
নিজস্ব প্রতিনিধি : নয়াদিল্লি, ৩০শে এপ্রিল — পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস ও হিংসার বাতাবরণে চলেছে অবাধে ভোট লুট। দেশের নির্বাচনে আজকের দিনটি বিকৃত গণতন্ত্র দিবস বলেই চিহ্নিত থাকবে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে ভোটে অবাধ রিগিং নিয়ে একথা জানিয়েছেন সি পি আই (এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজ্যের ভোটে বুথ দখল নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। ইয়েচুরি বলেন, তৃতীয় দফার নির্বাচনে চলেছে অবাধ বুথ দখল। তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের এজেন্টদের। বহু এলাকায় মানুষ তাদের রায় দিতে পারেননি। তৃণমূলের বাহিনী বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা ভোট করেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত থাকলেও বুথ দখল আটকাতে কোনো কাজে লাগানো হয়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল প্রতি বুথে থাকবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নজরদারি ক্যামেরা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ১৭ হাজার ৩৩০টি বুথের মধ্যে মাত্র ৩২৪টি ক্যামেরার ব্যবস্থা ছিল। ফলে নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোট বুথের মাত্র ২ শতাংশ বুথে ক্যামেরা ছিল। নজরদারিই ঠিক মতো হয়নি।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে বিনোদ জুৎসি দাবি করেন, ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট হয়েছে। ৮১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, তবে তা ৮৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যেসব অভিযোগ এসেছে আগামীকাল ১১টায় তা কমিশন তার পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা করবে। পুনর্নির্বাচনের কোনো সিদ্ধান্ত হলে তখনই হবে।
রাজ্যে এখনও ২৩টি আসনে ভোট বাকি রয়েছে। এদিন ইয়েচুরি কমিশনকে বাকি আসনগুলিতে অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে রাজ্যে যেসব বুথে ভোট লুট হয়েছে সেখানে পুনরায় ভোট করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কীভাবে ভোট লুট হয়েছে তার খবর নিতে রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করে লাভ নেই বলে তিনি জানিয়ে দেন। বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত বিভিন্ন চ্যানেল, সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে তা জোগাড় করা। তাহলে ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই অনিয়ম দূর করে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা করার মধ্যে বুঝিয়ে দিতে হবে এই অরাজকতা বরদাস্ত করবে না কমিশন। যদি তা না করা হয় তবে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনে আরো হিংসা সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া যে দুর্বৃত্তরা এই কাণ্ডে জড়িত তারাও ব্যবস্থা না নিলে বার্তা পাবে যে তারা যা ইচ্ছা তা করে পার পেয়ে যেতে পারে। যা অবাধ ভোট সংগঠিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে।
এদিকে মোট আটটি আসনের ৮ শতাধিক বুথে বুথ দখল করে চলেছে অবাধ ভোট লুট। আরামবাগ কেন্দ্রে তো পুরোই ভোটপ্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে যাঁরা ভোট করানোর দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা কেউ কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। ইয়েচুরি বলেন, যারা ঐ দায়িত্ব পালন করেননি তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এক প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, তৃণমূল দেখেছে, পঞ্চায়েত পৌরসভায় রিগিং ছাড়া তাদের জেতার কোনো রাস্তা নেই। সেকারণে এবারে লোকসভাতে তারা ঐ একই পদ্ধতিতে ভোট লুট করেছে।
নির্বাচনে যেভাবে মানুষকে তার রায় দেওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে তা অতীতে ১৯৭২ সালের কথা অনেককে মনে করিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, ১৯৭২-এ কী হয়েছিল, তা সকলে জানেন। বামফ্রন্টের সময়ে গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় ভোট হতো। সি পি আই (এম) যদি এই পদ্ধতিতে ভোট করতো তবে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস কখনো ক্ষমতায় আসতো না। তৃণমূল কংগ্রেস একই অভিযোগ করতো বলে প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, ইতিহাসটা দেখুন। ২০০৪ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হয়েছে বলে কমিশনের প্রশংসা করেছিল তৃণমূল।
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মোদীর রাজ্যের ভাষণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশী বলে যে মন্তব্য করেছেন মোদী তা আর এস এস-র নিজস্ব তত্ত্ব। এটা সঙ্ঘ প্রচার করে। সেটাই মোদী বলেছেন। ঐ তত্ত্বের জন্য বাঙালীরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হয়রানির শিকার হন। দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট সর্বত্রই তাদের বাংলাভাষীদের বাংলাদেশীর নামে হয়রান করা হয়। মোদীর তৃণমূলের বিরোধিতা নিয়ে ইয়েচুরি বলেন, পুরোটা ম্যাচ ফিক্সিং। নির্বাচন পরবর্তী দরকষাকষির অঙ্গ। এতে ম্যাচ ফিক্সিং ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এতে তৃণমূল কংগ্রেস মোদীর বিরোধিতা করে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজের দখলে আনতে চাইছে আর সংখ্যাগুরু ভোট এভাবে বাড়াতে চাইছে বি জে পি। নয়তো ঐ ভোট বামপন্থীদের পক্ষে যাবে। এটা বুঝে দু’দলের গড়াপেটা খেলা চলছে।
এদিকে নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে ফলাফল বেরোনোর পরই সব বলা যাবে বলে জানান ইয়েচুরি। তিনি বলেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, তা কখনো আগাম বলা যায় না। সবটাই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর স্থির হয়। যেমন ইউ পি এ-র প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এন ভি এ-র অটলবিহারী বাজপেয়ী, সংযুক্ত মোর্চার এইচ ভি দেবেগৌড়া। সকলেই স্থির হয়েছিল ফলাফল প্রকাশের পর। এনিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব ফল বেরোলেই দেওয়া যাবে।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/breaking_news_details.php?newsid=1768#sthash.GqXLsUTO.dpufএদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে বিনোদ জুৎসি দাবি করেন, ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট হয়েছে। ৮১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, তবে তা ৮৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যেসব অভিযোগ এসেছে আগামীকাল ১১টায় তা কমিশন তার পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা করবে। পুনর্নির্বাচনের কোনো সিদ্ধান্ত হলে তখনই হবে।
রাজ্যে এখনও ২৩টি আসনে ভোট বাকি রয়েছে। এদিন ইয়েচুরি কমিশনকে বাকি আসনগুলিতে অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে রাজ্যে যেসব বুথে ভোট লুট হয়েছে সেখানে পুনরায় ভোট করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কীভাবে ভোট লুট হয়েছে তার খবর নিতে রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করে লাভ নেই বলে তিনি জানিয়ে দেন। বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত বিভিন্ন চ্যানেল, সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে তা জোগাড় করা। তাহলে ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই অনিয়ম দূর করে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা করার মধ্যে বুঝিয়ে দিতে হবে এই অরাজকতা বরদাস্ত করবে না কমিশন। যদি তা না করা হয় তবে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনে আরো হিংসা সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া যে দুর্বৃত্তরা এই কাণ্ডে জড়িত তারাও ব্যবস্থা না নিলে বার্তা পাবে যে তারা যা ইচ্ছা তা করে পার পেয়ে যেতে পারে। যা অবাধ ভোট সংগঠিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে।
এদিকে মোট আটটি আসনের ৮ শতাধিক বুথে বুথ দখল করে চলেছে অবাধ ভোট লুট। আরামবাগ কেন্দ্রে তো পুরোই ভোটপ্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে যাঁরা ভোট করানোর দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা কেউ কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। ইয়েচুরি বলেন, যারা ঐ দায়িত্ব পালন করেননি তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এক প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, তৃণমূল দেখেছে, পঞ্চায়েত পৌরসভায় রিগিং ছাড়া তাদের জেতার কোনো রাস্তা নেই। সেকারণে এবারে লোকসভাতে তারা ঐ একই পদ্ধতিতে ভোট লুট করেছে।
নির্বাচনে যেভাবে মানুষকে তার রায় দেওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে তা অতীতে ১৯৭২ সালের কথা অনেককে মনে করিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, ১৯৭২-এ কী হয়েছিল, তা সকলে জানেন। বামফ্রন্টের সময়ে গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় ভোট হতো। সি পি আই (এম) যদি এই পদ্ধতিতে ভোট করতো তবে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস কখনো ক্ষমতায় আসতো না। তৃণমূল কংগ্রেস একই অভিযোগ করতো বলে প্রশ্নে ইয়েচুরি বলেন, ইতিহাসটা দেখুন। ২০০৪ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হয়েছে বলে কমিশনের প্রশংসা করেছিল তৃণমূল।
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মোদীর রাজ্যের ভাষণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশী বলে যে মন্তব্য করেছেন মোদী তা আর এস এস-র নিজস্ব তত্ত্ব। এটা সঙ্ঘ প্রচার করে। সেটাই মোদী বলেছেন। ঐ তত্ত্বের জন্য বাঙালীরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হয়রানির শিকার হন। দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট সর্বত্রই তাদের বাংলাভাষীদের বাংলাদেশীর নামে হয়রান করা হয়। মোদীর তৃণমূলের বিরোধিতা নিয়ে ইয়েচুরি বলেন, পুরোটা ম্যাচ ফিক্সিং। নির্বাচন পরবর্তী দরকষাকষির অঙ্গ। এতে ম্যাচ ফিক্সিং ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এতে তৃণমূল কংগ্রেস মোদীর বিরোধিতা করে সংখ্যালঘু ভোটকে নিজের দখলে আনতে চাইছে আর সংখ্যাগুরু ভোট এভাবে বাড়াতে চাইছে বি জে পি। নয়তো ঐ ভোট বামপন্থীদের পক্ষে যাবে। এটা বুঝে দু’দলের গড়াপেটা খেলা চলছে।
এদিকে নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে ফলাফল বেরোনোর পরই সব বলা যাবে বলে জানান ইয়েচুরি। তিনি বলেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, তা কখনো আগাম বলা যায় না। সবটাই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর স্থির হয়। যেমন ইউ পি এ-র প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এন ভি এ-র অটলবিহারী বাজপেয়ী, সংযুক্ত মোর্চার এইচ ভি দেবেগৌড়া। সকলেই স্থির হয়েছিল ফলাফল প্রকাশের পর। এনিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব ফল বেরোলেই দেওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment