Monday, April 28, 2014

সামাল দিতে নামলেন মোদি ও আদানি

সামাল দিতে নামলেন মোদি ও আদানি
Aajkaal: the leading bengali daily newspaper from Kolkata
Google plus shareFacebook shareTwitter shareLinkedIn share
দিল্লি, ২৭ এপ্রিল (পি টি আই)– রাজনৈতিক দলগুলি তাঁকে বক্সিংয়ের পাঞ্চিং ব্যাগের মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করছে৷‌ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার মুখ খুললেন আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি৷‌ জানালেন, গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার অনেক আগে, ১৯৯৩ থেকেই তাঁরা পতিত জমি কিনে তা বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে কাজে লাগিয়েছেন৷‌ বললেন, মোদির কাছ থেকে বিশেষ কোনও সুবিধাই নেননি তিনি৷‌ সম্প্রতি রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, আদানি গোষ্ঠীকে মোদি মাত্র ১ টাকা বর্গমিটার দরে জমি বিক্রি করেছেন, যে ১ টাকায় এখন একটা টফি ছাড়া আর কিছু মেলে না৷‌ টাটার ন্যানো প্রকল্পেও যৎসামান্য সুদে বিপুল টাকা ও সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল৷‌ কেজরিওয়ালও অভিযোগ করেন, গৌতম আদানি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে চক্রে জড়িত মোদি৷‌ এরপর শনিবার আমেদাবাদে এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী সরাসরি মোদি-আদানি আঁতাত নিয়ে তোপ দাগেন৷‌ বলেন, ‘পার্টনারশিপ’ চলছে মোদি আর আদানির মধ্যে৷‌ মোদির প্রচারের বিপুল খরচ যোগাচ্ছেন আদানি৷‌ কারণ এর আগে গুজরাট সরকার আদানিকে প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকার সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে৷‌ বিদ্যুৎ কেনা বাবদ ২৬,০০০ কোটি টাকা এবং জলের দরে জমি দিয়ে ১০,০০০ কোটি৷‌ ৩,০০০ কোটির আদানি কোম্পানি এখন ৪০,০০০ কোটির৷‌ ভবিষ্যতে আদানিকে আরও পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে৷‌ তাঁর দুর্গে দাঁড়িয়ে রাহুল এভাবে কামান দাগায় সঙ্গে সঙ্গেই মুখ খুলতে বাধ্য হন মোদি৷‌ বলেন, রাহুল মিথ্যা, অসমর্থিত অভিযোগ তুলছেন৷‌ সীমার বাইরে চলে যাচ্ছেন৷‌ রবিবার ফের তিনি বলেন, গুজরাটে বিশেষ কোনও শিল্পগোষ্ঠীকে আলাদা করে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি৷‌ যেটুকু ছাড় দেওয়া হয়েছে তা রাজ্যের শিল্পনীতি মেনেই৷‌ আমি কোনও শিল্পপতিকে আলাদা করে সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী নই৷‌ তবে মনে করি, শিল্পের জন্য উপযুক্ত নীতি তৈরি করতে হবে৷‌ ৬০ বছর ধরে দেশে লাল ফিতের ফাঁস তৈরি করে দুর্নীতি আর কালো টাকা তৈরির কল বানিয়েছে কংগ্রেস৷‌ আমি তাই লাল ফিতের ফাঁস কেটে ফেলতে চাই৷‌ কংগ্রেসের আক্রমণের পর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি গৌতম আদানিও৷‌ এদিন সাংবাদিকদের বলেন, কচ্ছে আমরা যে ১৫,৯৪৬ একরের ল্যান্ডব্যাঙ্ক গড়েছি তার জমি কেনা শুরু করেছিলাম ১৯৯৩ সালে৷‌ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জমি মোদির আমলে নেওয়া হয়েছে৷‌ এর পুরোটাই পতিত জমি, কৃষির উপযুক্ত নয়৷‌ ১ একরও কৃষকের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি৷‌ ১৯৯৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী চিমনভাই প্যাটেল আমাদের কাছ থেকে বর্গমিটার-পিছু ১০ পয়সা করে দর নিয়েছিলেন৷‌ ১৯৯৫ সালে বি জে পি সরকারের কেশুভাই প্যাটেল বর্গমিটারে ১ টাকা দরে, ১৯৯৬-৯৭ সালে শঙ্করসিন বাগেলা ১ টাকা ৫০ পয়সা দরে জমি দেন আমাদের৷‌ মোদি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে ৫০০০ একর জমি আমরা নিয়েছি গড়ে ১৫ টাকা বর্গমিটারে৷‌ এই পতিত জমিতে ভারতের বৃহত্তম বন্দর গড়েছি আমরা৷‌ তৈরি করেছি বেসরকারি ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র৷‌ রাস্তা গড়েছি, বিদ্যুৎ এনেছি৷‌ এখন এই উন্নত জমির দামের সঙ্গে লোকে ২০ বছর আগে আমরা যে দামে জমি কিনেছিলাম তার তুলনা করছে৷‌ মোদি সরকারের কাছে আমরা বিশেষ সুবিধা নিয়েছি বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তা ঠিক নয়৷‌ মোদি সরকারও আমাদের জন্য কোনও নিয়ম ভাঙেনি৷‌

No comments:

Post a Comment