১৪০ আসনের আশা কংগ্রেসের
অঞ্জন রায় চৌধুরী, নয়াদিল্লি
ভারতে লোকসভার ষষ্ট দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। এতে ৫৪৩ আসনের লোকসভার মোট ৩৪৯ আসনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের শুরুতে গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্ব যে ধরনের হতাশার মধ্যে ছিলেন এখন তাদের মধ্যে সেই হতাশা নেই। বিভিন্ন জরিপই এই হতাশা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু নেতৃবৃন্দ ক্রমেই আশাবাদী হয়ে উঠছেন। নেতারা আশা করছেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপ মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং দলটি নির্বাচনে ১৪০টির বেশি আসন পাবেন। আর এত আসন পেলে অন্যান্য দলের সঙ্গে লড়াইটা জমে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে দলটি ২০৬ টি আসনে জয় পেয়েছিল।
নির্বাচনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্ব ধারণা করেছিলেন, তারা হয়তো ১০০ টি আসনও পাবেন না। কংগ্রেস নেতারা দৈনিক ইত্তেফাকের কাছে স্বীকার করেছেন, এবারের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। তারা মনে করেন, ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে বিজেপি ১৮২ আসন পেয়েছিল। এবার হয়তো সেটাও পাবে না। মোদী ঢেউয়ে ১৯০ কিংবা ২০০ আসনে বিজেপির জয়লাভের যে কথা শোনা যাচ্ছে সেটাও মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। কংগ্রেস আভ্যন্তরীনভাবে হিসাব-নিকাশ করে দেখেছে, দক্ষিণ ভারতে কমপক্ষে ৪৩ টি আসন, উত্তর ভারতের ১২ টি রাজ্যে ৫০টি, পশ্চিম ভারতে ২০টি এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ২৫টি আসন পাওয়া যাবে।
লোকসভার আর ১৯৪টি আসনে নির্বাচন বাকি আছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটির নেতৃত্ব এখন বাকি আসনগুলোতে নেতা-কর্মীদের জোরেশোরে প্রচারণায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও নির্বাচনী প্রচার আগের চেয়ে জোরদার করেছেন। কংগ্রেস যদিও বিশ্বাস করে, গত দশ বছরের শাসন এবং মোদীর প্রচারের কারনে শহরে মধ্যবিত্তদের মধ্যে কংগ্রেসবিরোধী একটা মনোভাব আছে। তবে দুটি কারনে তারা মোদীর পক্ষে কাজ করছেন না। কংগ্রেসের একজন সিনিয়র নেতা ইত্তেফাককে জানান, বিজেপি'র নির্বাচনী প্রচারনা হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। নিম্ন বর্ণের অধিকাংশ এবং ঐতিহ্যগতভাবে বিজেপিবিরোধী হিন্দুরা এখন পর্যন্ত মোদীকে গ্রহণ করতে পারেনি। আর এই ধারণার সঙ্গত কারণও আছে বলে মনে করেন ওই নেতা। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশে মোদী নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক গুরুত্ব দিলেও হিন্দু ধর্মের যাদব বর্ণের লোকেরা এখনো মুলায়েম সিং যাদব ও লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে আছে। আর এই রাজ্যে দলিত সমপ্রদায়ের নাগরিকরা এখনো মায়াবতীকেই গুরুত্ব দেয়। অন্যান্য এলাকায় দলিত সমপ্রদায় কংগ্রেসকেই সমর্থন করে। আর বিহারে কুর্মি বর্ণের হিন্দুরা সমর্থন করে নিতিশ কুমারকেই। ফলে উত্তরপ্রদেশে ৩৫ আসন এবং বিহারে ১৮টির বেশি আসন পাবেনা বিজেপি। কংগ্রেসের কাছে যে বার্তা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতে ১২টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। কংগ্রেস এটাও মনে করছে, মোদীর কারনে মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা বিজেপির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে এবং ভারতে মোদীবিরোধী ধারা আরো শক্তিশালী হচ্ছে।
নির্বাচনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্ব ধারণা করেছিলেন, তারা হয়তো ১০০ টি আসনও পাবেন না। কংগ্রেস নেতারা দৈনিক ইত্তেফাকের কাছে স্বীকার করেছেন, এবারের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। তারা মনে করেন, ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে বিজেপি ১৮২ আসন পেয়েছিল। এবার হয়তো সেটাও পাবে না। মোদী ঢেউয়ে ১৯০ কিংবা ২০০ আসনে বিজেপির জয়লাভের যে কথা শোনা যাচ্ছে সেটাও মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। কংগ্রেস আভ্যন্তরীনভাবে হিসাব-নিকাশ করে দেখেছে, দক্ষিণ ভারতে কমপক্ষে ৪৩ টি আসন, উত্তর ভারতের ১২ টি রাজ্যে ৫০টি, পশ্চিম ভারতে ২০টি এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ২৫টি আসন পাওয়া যাবে।
লোকসভার আর ১৯৪টি আসনে নির্বাচন বাকি আছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটির নেতৃত্ব এখন বাকি আসনগুলোতে নেতা-কর্মীদের জোরেশোরে প্রচারণায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও নির্বাচনী প্রচার আগের চেয়ে জোরদার করেছেন। কংগ্রেস যদিও বিশ্বাস করে, গত দশ বছরের শাসন এবং মোদীর প্রচারের কারনে শহরে মধ্যবিত্তদের মধ্যে কংগ্রেসবিরোধী একটা মনোভাব আছে। তবে দুটি কারনে তারা মোদীর পক্ষে কাজ করছেন না। কংগ্রেসের একজন সিনিয়র নেতা ইত্তেফাককে জানান, বিজেপি'র নির্বাচনী প্রচারনা হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। নিম্ন বর্ণের অধিকাংশ এবং ঐতিহ্যগতভাবে বিজেপিবিরোধী হিন্দুরা এখন পর্যন্ত মোদীকে গ্রহণ করতে পারেনি। আর এই ধারণার সঙ্গত কারণও আছে বলে মনে করেন ওই নেতা। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশে মোদী নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক গুরুত্ব দিলেও হিন্দু ধর্মের যাদব বর্ণের লোকেরা এখনো মুলায়েম সিং যাদব ও লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে আছে। আর এই রাজ্যে দলিত সমপ্রদায়ের নাগরিকরা এখনো মায়াবতীকেই গুরুত্ব দেয়। অন্যান্য এলাকায় দলিত সমপ্রদায় কংগ্রেসকেই সমর্থন করে। আর বিহারে কুর্মি বর্ণের হিন্দুরা সমর্থন করে নিতিশ কুমারকেই। ফলে উত্তরপ্রদেশে ৩৫ আসন এবং বিহারে ১৮টির বেশি আসন পাবেনা বিজেপি। কংগ্রেসের কাছে যে বার্তা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতে ১২টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। কংগ্রেস এটাও মনে করছে, মোদীর কারনে মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা বিজেপির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে এবং ভারতে মোদীবিরোধী ধারা আরো শক্তিশালী হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment