মমতাকে মোদীর আক্রমণের ভাষায় বিড়ম্বনায় বাম শিবির
এই সময়: বামেদের পথে হেঁটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী৷ আর সেই আক্রমণকেই প্রচারে হাতিয়ার করে এ বার বামেদের অস্বস্তিতে ফেলল তৃণমূল৷
বিজেপি-মমতা 'গোপন আঁতাঁত' নিয়ে বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা এত দিন বার বার সওয়াল করলেও রবিবার শ্রীরামপুরে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিন্ত্ত বামেদের ঢংয়েই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন৷ রাজ্য সরকারের কার্যকলাপ ও সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে কড়া ভাষায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন মোদী৷ এ ব্যাপারে ঠিক একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারে এত দিন সর্বত্র তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেছে বামেরাও৷ বাম-বিজেপির সুরে এই 'তালমিলে'ই এখন প্রচারে বাড়তি অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে শাসকদল৷ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বক্তব্যকে অস্ত্র করে সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল৷ বলেছে, মোদীর কথাতেই স্পষ্ট, বিজেপি আর বামেরা কেমন হরিহর-আত্মা৷
নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'বাম-শাসিত ৩৫ বছরে বাংলার যত ক্ষতি হয়েছে, মমতার ৩৫ মাসের শাসনে ক্ষতি হয়েছে তার ঢের বেশি৷' যে তৃণমূল নেত্রীকে ব্রিগেডে 'সুশাসক' বলে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, সেই মমতাকেই রবিবার বামেদের স্টাইলে ক্ষমতালোভী বলতেও দু'বার ভাবেননি তিনি৷ আর তাঁর এই মন্তব্যকেই 'সিপিএম মুখপাত্রের' ভাষা বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়৷ সোমবার তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাম ও বিজেপি হাত ধরাধরি করেই নির্বাচনে লড়ছে৷ অতীতেও তারা এ কাজ করেছে৷ মোদী বামেদের মাউথপিস হয়ে কথা বলছেন৷' এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭৭-এ জনতা পার্টি সরকারকে জনসঙ্ঘ ও বামেদের যুক্ত সমর্থনের কথা তুলেছেন৷ ১৯৮৯-য়ে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংয়ের সরকারকে বিজেপি ও বামেদের বাইরে থেকে মিলিত সমর্থনের প্রসঙ্গও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুকুল৷
তৃণমূল নেত্রীকে মোদীর আক্রমণের এই ঢং বামেদের বিপাকে ফেলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাদের যুক্তি, এর পর বিজেপি-মমতা গাঁটছড়া নিয়ে প্রচার করতে দ্বিধায় পড়বেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা৷ তবে অস্বস্তি এড়াতে বাম নেতৃত্ব পুরনো তত্ত্বই আওড়াচ্ছেন৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, 'মমতা ও মোদীর এই ঝগড়া গটআপ৷ এই ঝগড়া কতটা মঞ্চের, কতটাই বা মনের--তা ভোটের পরই বোঝা যাবে!' দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবেরও বক্তব্য, 'বামেরা অতীতে কখনও বিজেপির হাত ধরেনি বা বিজেপি সরকারকে সমর্থন করেনি৷ কিন্ত্ত মমতা ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন না, তা কিন্ত্ত বলতে পারছেন না৷' সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার বা আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্যের মতো বাম নেতারাও অস্বস্তি এড়াতে বলছেন, 'এখন পিছনের দরজা খোলা আছে৷ দুই দল গোপনে আলোচনা করছে৷ ভোটের পর পরিস্থিতি তেমন হলে বিজেপি সরকারেও যোগ দিতে পারে তৃণমূল৷ যেমন হয়েছিল অতীতেও৷'
বিজেপি-মমতা 'গোপন আঁতাঁত' নিয়ে বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা এত দিন বার বার সওয়াল করলেও রবিবার শ্রীরামপুরে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিন্ত্ত বামেদের ঢংয়েই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন৷ রাজ্য সরকারের কার্যকলাপ ও সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে কড়া ভাষায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন মোদী৷ এ ব্যাপারে ঠিক একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারে এত দিন সর্বত্র তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেছে বামেরাও৷ বাম-বিজেপির সুরে এই 'তালমিলে'ই এখন প্রচারে বাড়তি অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে শাসকদল৷ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বক্তব্যকে অস্ত্র করে সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল৷ বলেছে, মোদীর কথাতেই স্পষ্ট, বিজেপি আর বামেরা কেমন হরিহর-আত্মা৷
নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'বাম-শাসিত ৩৫ বছরে বাংলার যত ক্ষতি হয়েছে, মমতার ৩৫ মাসের শাসনে ক্ষতি হয়েছে তার ঢের বেশি৷' যে তৃণমূল নেত্রীকে ব্রিগেডে 'সুশাসক' বলে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, সেই মমতাকেই রবিবার বামেদের স্টাইলে ক্ষমতালোভী বলতেও দু'বার ভাবেননি তিনি৷ আর তাঁর এই মন্তব্যকেই 'সিপিএম মুখপাত্রের' ভাষা বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়৷ সোমবার তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাম ও বিজেপি হাত ধরাধরি করেই নির্বাচনে লড়ছে৷ অতীতেও তারা এ কাজ করেছে৷ মোদী বামেদের মাউথপিস হয়ে কথা বলছেন৷' এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭৭-এ জনতা পার্টি সরকারকে জনসঙ্ঘ ও বামেদের যুক্ত সমর্থনের কথা তুলেছেন৷ ১৯৮৯-য়ে বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংয়ের সরকারকে বিজেপি ও বামেদের বাইরে থেকে মিলিত সমর্থনের প্রসঙ্গও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুকুল৷
তৃণমূল নেত্রীকে মোদীর আক্রমণের এই ঢং বামেদের বিপাকে ফেলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাদের যুক্তি, এর পর বিজেপি-মমতা গাঁটছড়া নিয়ে প্রচার করতে দ্বিধায় পড়বেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা৷ তবে অস্বস্তি এড়াতে বাম নেতৃত্ব পুরনো তত্ত্বই আওড়াচ্ছেন৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, 'মমতা ও মোদীর এই ঝগড়া গটআপ৷ এই ঝগড়া কতটা মঞ্চের, কতটাই বা মনের--তা ভোটের পরই বোঝা যাবে!' দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবেরও বক্তব্য, 'বামেরা অতীতে কখনও বিজেপির হাত ধরেনি বা বিজেপি সরকারকে সমর্থন করেনি৷ কিন্ত্ত মমতা ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন না, তা কিন্ত্ত বলতে পারছেন না৷' সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার বা আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্যের মতো বাম নেতারাও অস্বস্তি এড়াতে বলছেন, 'এখন পিছনের দরজা খোলা আছে৷ দুই দল গোপনে আলোচনা করছে৷ ভোটের পর পরিস্থিতি তেমন হলে বিজেপি সরকারেও যোগ দিতে পারে তৃণমূল৷ যেমন হয়েছিল অতীতেও৷'
No comments:
Post a Comment