স্বামী হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সাক্ষী জাহানারা
যুদ্ধাপরাধী বিচার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সপ্তম সাক্ষী জাহানারা বেগমের জেরা শেষ হয়েছে। এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রবিবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাক্ষী জাহানারা বেগমকে জেরা করেন। আজ তিনি সপ্তম সাক্ষীকে জেরা করেন। এ সময় আব্দুস সুবহানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সাত্তার, মোঃ শাহিন ও প্রসিকিউশনপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও প্রসিকিউটর রিজিয়া পরভীন চমন।
জেরা চলাকালে সাক্ষী অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাক্ষীকে জেরা করে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামী হত্যার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চাপে বলেছেন।’ জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘আমার স্বামীকে আমার সামনেই হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের রক্তে আমার শাড়ি লাল হয়ে গিয়েছিল। আমি কারও চাপে স্বামী হত্যার বর্ণনা করিনি।’ এ সময় তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন। উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৭ মার্চ চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করেন। এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটক আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ৯টি অভিযোগেরভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
জেরা চলাকালে সাক্ষী অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাক্ষীকে জেরা করে বলেন, ‘আপনি আপনার স্বামী হত্যার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চাপে বলেছেন।’ জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘আমার স্বামীকে আমার সামনেই হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের রক্তে আমার শাড়ি লাল হয়ে গিয়েছিল। আমি কারও চাপে স্বামী হত্যার বর্ণনা করিনি।’ এ সময় তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন। উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৭ মার্চ চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করেন। এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটক আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ৯টি অভিযোগেরভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment