বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি
মোরসালিন মিজান
একটা দারুণ সময়ের অপেক্ষা। আর মাত্র ক’দিন পর শুরু হচ্ছে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আর জমকালো আসরটি আগামী ১২ জুন ব্রাজিলে শুরু হবে। বলা বাহুল্য, সুদূরের দেশ ব্রাজিল। তবে যখন ফুটবল, যখন বিশ্বকাপ তখন সেটি গোটা দুনিয়ার এবং বাংলাদেশেরও। এখন গ্রামে-গঞ্জে পর্যন্ত চলছে আলোচনা। বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর ঢাকা যথারীতি এগিয়ে। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসজুড়ে ফুটবলের আলোচনা। তুমুল তর্ক বিতর্ক। প্রিয় দলের পক্ষে কত শত যুক্তি! সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার শত আয়োজন! এভাবেই চলছে। অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কারখানার শ্রমিকও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বকাপ দেখার।
তবে বিশ্বকাপ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয় প্রিয় দলের পতাকায়। ইতোমধ্যে রাজধানীর বাসা বাড়ির ছাদে ওঠে গেছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। লাল নীল সাদা সবুজ হলুদÑ কত কত রং! এসব রঙে যেন ঢাকা পড়ছে আকাশ! বাতাসে পত পত করে ওড়তে থাকা পতাকা মনেও কেমন যেন দোলা দেয়। শিহরণ জাগায়। ছাদের পাশাপাশি অলিতে-গলিতে রাস্তায় বেরুলেও পতাকা চোখে পড়ে। লম্বা বাঁশের পুরোটাজুড়ে পতাকা বেঁধে শহর প্রদক্ষিণ করছেন হকার। কোন্্ দেশের পতাকা চাই আপনার? আছে। তবে সবার ওপরে বাংলাদেশ সত্য। তাই বাংলাদেশ দিয়ে শুরু। এর নিচে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ইতালি, জার্মানি হল্যান্ডসহ সম্ভাবনাময় দেশগুলো। বিশ্বকাপে নবীন কিন্তু চমক দেখাতে পারেÑ এমন দেশও আছে। পতাকাগুলো নানা সাইজের। নানা দামের। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে পতাকা বিক্রি করছিলেন মোঃ সিদ্দিক নামের এক হকার। তা, বিক্রি টিক্রি কেমন? কিনছে লোকজন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো সিজন। পতাকা কিনব না মানে? সবাই কিনছে। কোন দেশের পতাকা বেশি যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বহু বছরের ধারাবাহিকতা এবারও অক্ষুণœ রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকা। অন্যান্য দেশের পতাকা বিক্রি হলেও, সংখ্যায় কম বলে জানান তিনি।
তবে সবচেয়ে বেশি পতাকা এখন গুলিস্তান এলাকায়। ফুটপাথের দোকানগুলো বিশ্বকাপের রঙে মোড়ানো। লম্বা লম্বা বাঁশ ফুটপাথ থেকে মূল রাস্তার ওপর কিছুটা নুইয়ে পড়েছে। বাঁশের পুরোটাজুড়ে পতাকা। এমন বাঁশ একটি দুটি নয়। প্রচুর। কয়েক কদম পর পর। দূর থেকে এলাকাটিকে দারুণ বর্ণিল মনে হয়। এখানে বিক্রিও সর্বোচ্চ। কাদির নামের এক হকার জানালেন, সারাদিনই চলে খুচরা বেচা বিক্রি। আশপাশের পাইকারী মার্কেটে যারা বিভিন্ন মালামাল কিনতে আসেন তারা আসা-যাওয়ার পথে পতাকা নিয়ে যান। বিক্রি না শুধু, পতাকা তৈরির কাজও হচ্ছে গুলিস্তানে। তেমন একটি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আগের দিনের মতো ব্যস্ততা। দর্জিরা বিরতিহীনভাবে সেলাই করে চলেছেন পতাকা। আকরাম নামের এক দর্জি জানালেন, প্রতিদিন শত শত পতাকা তৈরি করছেন তারা। এগুলো মূলত ঢাকার বাইরের যাচ্ছে।
পতাকা ছাড়াও বিক্রি হচ্ছে জার্সি। গুলিস্তানে অল্প দামেও চমৎকার সব জার্সি পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশের পতাকার রং, তারকা খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার করেও তৈরি করা হয়েছে টি শার্ট। আজিজ মার্কেটের ‘বিটুইন’ নামের একটি দোকানে ঢুকে কিছুটা অবাক হতে হলো। এখানে আর্জেন্টিনার একটি জার্সির দাম ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। এত বেশি কেন দাম? প্রশ্ন করে জানা গেল, এগুলো এসেছে থাইল্যান্ড থেকে। একেবারে অরিজিনাল জার্সি বলা চলে। এই ‘অরিজিন্যাল জার্সি’ও বেশ যাচ্ছে।
এভাবে সময় যত ঘনাচ্ছে ততোই উৎসবের চেহারা পাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। নানা রঙে রূপে প্রকাশিত হচ্ছে ফুটবল উন্মাদনা।
তবে বিশ্বকাপ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয় প্রিয় দলের পতাকায়। ইতোমধ্যে রাজধানীর বাসা বাড়ির ছাদে ওঠে গেছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। লাল নীল সাদা সবুজ হলুদÑ কত কত রং! এসব রঙে যেন ঢাকা পড়ছে আকাশ! বাতাসে পত পত করে ওড়তে থাকা পতাকা মনেও কেমন যেন দোলা দেয়। শিহরণ জাগায়। ছাদের পাশাপাশি অলিতে-গলিতে রাস্তায় বেরুলেও পতাকা চোখে পড়ে। লম্বা বাঁশের পুরোটাজুড়ে পতাকা বেঁধে শহর প্রদক্ষিণ করছেন হকার। কোন্্ দেশের পতাকা চাই আপনার? আছে। তবে সবার ওপরে বাংলাদেশ সত্য। তাই বাংলাদেশ দিয়ে শুরু। এর নিচে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ইতালি, জার্মানি হল্যান্ডসহ সম্ভাবনাময় দেশগুলো। বিশ্বকাপে নবীন কিন্তু চমক দেখাতে পারেÑ এমন দেশও আছে। পতাকাগুলো নানা সাইজের। নানা দামের। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে পতাকা বিক্রি করছিলেন মোঃ সিদ্দিক নামের এক হকার। তা, বিক্রি টিক্রি কেমন? কিনছে লোকজন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তো সিজন। পতাকা কিনব না মানে? সবাই কিনছে। কোন দেশের পতাকা বেশি যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বহু বছরের ধারাবাহিকতা এবারও অক্ষুণœ রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকা। অন্যান্য দেশের পতাকা বিক্রি হলেও, সংখ্যায় কম বলে জানান তিনি।
তবে সবচেয়ে বেশি পতাকা এখন গুলিস্তান এলাকায়। ফুটপাথের দোকানগুলো বিশ্বকাপের রঙে মোড়ানো। লম্বা লম্বা বাঁশ ফুটপাথ থেকে মূল রাস্তার ওপর কিছুটা নুইয়ে পড়েছে। বাঁশের পুরোটাজুড়ে পতাকা। এমন বাঁশ একটি দুটি নয়। প্রচুর। কয়েক কদম পর পর। দূর থেকে এলাকাটিকে দারুণ বর্ণিল মনে হয়। এখানে বিক্রিও সর্বোচ্চ। কাদির নামের এক হকার জানালেন, সারাদিনই চলে খুচরা বেচা বিক্রি। আশপাশের পাইকারী মার্কেটে যারা বিভিন্ন মালামাল কিনতে আসেন তারা আসা-যাওয়ার পথে পতাকা নিয়ে যান। বিক্রি না শুধু, পতাকা তৈরির কাজও হচ্ছে গুলিস্তানে। তেমন একটি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আগের দিনের মতো ব্যস্ততা। দর্জিরা বিরতিহীনভাবে সেলাই করে চলেছেন পতাকা। আকরাম নামের এক দর্জি জানালেন, প্রতিদিন শত শত পতাকা তৈরি করছেন তারা। এগুলো মূলত ঢাকার বাইরের যাচ্ছে।
পতাকা ছাড়াও বিক্রি হচ্ছে জার্সি। গুলিস্তানে অল্প দামেও চমৎকার সব জার্সি পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশের পতাকার রং, তারকা খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার করেও তৈরি করা হয়েছে টি শার্ট। আজিজ মার্কেটের ‘বিটুইন’ নামের একটি দোকানে ঢুকে কিছুটা অবাক হতে হলো। এখানে আর্জেন্টিনার একটি জার্সির দাম ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। এত বেশি কেন দাম? প্রশ্ন করে জানা গেল, এগুলো এসেছে থাইল্যান্ড থেকে। একেবারে অরিজিনাল জার্সি বলা চলে। এই ‘অরিজিন্যাল জার্সি’ও বেশ যাচ্ছে।
এভাবে সময় যত ঘনাচ্ছে ততোই উৎসবের চেহারা পাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। নানা রঙে রূপে প্রকাশিত হচ্ছে ফুটবল উন্মাদনা।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html
No comments:
Post a Comment