Saturday, May 31, 2014

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সেরা পাঁচ

বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সেরা পাঁচ
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে বিদায় বলেছেন অনেক আগেই। মাঠের খেলাকে না বলেছেন রোনাল্ডো-কাকা-রবিনহোও। যে কারণে এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সেরা ভরসার নাম নেইমার। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ছাড়াও এবার পাঁচজন খেলোয়াড় রয়েছেন- যাঁরা প্রস্তুত নিজের দেশকে সেরাটা ঢেলে দিতে। তাঁদের নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
নেইমার ॥ বয়সে তরুণ। চলতি বছরেই একুশ পেরিয়ে ২২-এ পা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সমগ্র ব্রাজিলিয়ানদের স্বপ্নই তাঁর কাধে। কারণ, এবারের বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের সেরা ভরসার নামটাই যে নেইমার। ব্রাজিলের অভিজ্ঞ কোচ লুইস ফিলিপ সোলারির দলে বড় বড় নাম থাকলেও বড় তারকার নাম নেইমার। আগামী ১২ জুন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই পর্দা উঠবে ২০১৪ বিশ্বকাপের। আর এই আসরে সবারই অতিরিক্ত দৃষ্টি থাকবে নেইমারেরর দিকে। নেইমার কেমন? সান্তোসে থাকাকালেই তার প্রমাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও অনেকের প্রশ্ন ছিল- সেরা ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অবশ্যই ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলতে হবে। আর গত মৌসুমে সেই পর্বটাও সেরে নিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। খেলেছেন বিশ্বের সেরা ক্লাবে, মেসি-ইনিয়েস্তার মতো সেরা সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে। তাই এবার ব্রাজিলে সেরা ঝলকটাই যে দেখাবেন তা বোধগম্যই। কিছুটা সাক্ষ্য ফিফা কনফেডারেশন্স কাপেও রেখেছেন নেইমার। ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ম্যাচেও ছিল তাঁর করা অসাধারণ একটি গোল।
অস্কার ॥ ব্রাজিলের আরেক তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারের নাম অস্কার। ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের মিডফিল্ডারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি পরে সব ধরনের টুর্নামেন্টেই অবদান রয়েছে অস্কারের। ২০১১ সালে অনুর্ধ ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে তাঁর পা থেকেই এসেছিল তিনটি গোল। তাঁর অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখা গেছে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকেও। যদিও সেবার মেক্সিকোর কাছে ফাইনালে হেরে রানারআপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দুই বছর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল চেলসিতে যোগ দেন অস্কার। আর এই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে যোগ দিয়েই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। প্রিমিয়ার লীগের সেরা ক্লাবটির সঙ্গে ৬৭ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ১২ বার। আর ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সিতে ২৯ ম্যাচ খেলে ৯ বার বল জড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের জালে।
থিয়াগো সিলভা ॥ ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেরা তারকার তালিকায় নেই থিয়াগো সিলভার নাম। কিন্তু অভিজ্ঞতার বিচারে সবার চেয়ে একটু এগিয়েই থাকবেন তিনি। ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর এই রক্ষণসৈনিককে ভাবা হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের অধিনায়কের ভূমিকায়। তরুণ বয়স থেকেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১০ বিশ্বকাপে খেলা খুব কম খেলোয়াড়ই জায়গা পেয়েছেন এবার লুইস ফিলিপ সোলারির দলে। থিয়াগো সিলভা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এমনকি ব্রাজিলের হয়ে ২০০৮ অলিম্পিকেও খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া লন্ডন অলিম্পিকে মেক্সিকোর কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়া ব্রাজিল দলের অধিনায়ক হিসেবেও ভূমিকা পালন করেছেন থিয়াগো সিলভা। এবার তাঁর সঙ্গে ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে শক্তি যোগাবেন ডেভিড লুইস ও দান্তে।
পাওলিনহো ॥ রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে ব্রাজিল বিশ্বকাপে যে ক’জন তারকার আলো ছড়াতে দেখা যাবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাওলিনহো। লুইস ফিলিপ সোলারির সেরা একাদশেই জায়গাটা তাঁর মোটামুটি পাকাপোক্তই। শুধু মিডফিল্ডার হিসেবেই নয় বরং তাঁর আক্রমণ যখন শুরু হয় তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গত বছর ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে তাঁর পা থেকে এসেছে দুটি গোল। সেমিফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষেও অসাধারণ এক গোল করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বকাপ প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে স্বদেশী তারকা নেইমার এবং স্পেনের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পর তৃতীয় সেরা ফুটবলারের ভোট পেয়েছেন।
ফ্রেড ॥ ফ্রেডের ঝলক গত বছর ফিফা কনফেডারেশন্স কাপেই দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। যেখানে অসাধারণ নৈপুণ্য উপহার দিয়েছেন এই ফ্রেড। ৩০ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার টুর্নামেন্টের ফাইনালে একাই করেছিলেন দুই গোল। আর তাঁর জোড়া গোলেই ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোজয়ী স্পেনকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপেই খেলেছেন ফ্রেড। কিন্তু সেবার আলো ছড়াতে ব্যর্থ হয় তাঁর দল। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি তিনি। তবে এবার ব্রাজিলের জার্সি পরে ব্রাজিলকে শিরোপা উপহার দিতে প্রস্তুত ফ্রেডও।
http://www.allbanglanewspapers.com/janakantha.html

No comments:

Post a Comment