পুতিনের উদ্যোগে ॥ নয়া আঞ্চলিক জোট
০ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ
০ যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউকে মোকাবেলা করা লক্ষ্য
০ যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউকে মোকাবেলা করা লক্ষ্য
রু শ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটার প্রেক্ষাপটে গঠন করা হচ্ছে ইউরেশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়ন নামে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট। এদিকে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসছেন বলে জানা গেছে। খবর এএফপি ও ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের।
পুতিন বৃহস্পতিবার সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র কাজখস্তানের রাজধানী আস্তানায় কাজাখ ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল একটি ইউরেশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে কাজ শুরু করা। এ ধরনের একটি জোট গঠন নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন চিন্তাভাবনা করেছেন। এ রকম একটি পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক জোট যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় ভারসাম্য আনবে বলে রুশ নেতা মনে করেন। এ অঞ্চলে রুশ প্রভাবিত বিদ্রোহীরা সম্প্রতি যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করেছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ নয় এখানকার আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ উদীয়মান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি চীনকে নিয়েও উদ্বিগ্ন। আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে নতুন জোটটি আত্মপ্রকাশ করবে। জোটভুক্ত তিনটি দেশের নাগরিকরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবেন। তিন প্রেসিডেন্টই বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, তাদের এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি, শিল্প ও পরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে তারা যাতে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক নীতি প্রণয়ন করতে পারেন। কাজাখ প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবায়েভ বলেছেন, ‘আজ থেকে সূচনা হলো একবিংশ শতাব্দীর ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার। ২০ বছরের প্রচেষ্টার ফসল আজকের এই সমঝোতা। এটি আমাদের জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।’ সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য নাজারবায়েভ কৃতিত্বের দাবিদার বলে পুতিন মন্তব্য করেন। জোট গঠনের জন্য সমঝোতা হলেও এতে তিনটি দেশে একক মুদ্রা চালুর বিষয়ে কোন কথা হয়নি বলে কাজাখ উপপ্রধানমন্ত্রী বাকিতজান সাজিনতায়েভ জানিয়েছেন। এদিকে চলতি সপ্তাহে পোল্যান্ড সফরকালে ওবামা ইউক্রেনে সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী পশ্চিমাপন্থী পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে দেশটির কমিউনিজম উত্তর প্রথম নির্বাচনের ২৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ওবামা। সেখানে তার সঙ্গে পোরোশেঙ্কোর সাক্ষাত হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস ওবামার সঙ্গে নবনির্বাচিত ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি চলমান সঙ্কট নিরসনের জন্য কিয়েভ সরকার ও আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসারও আহ্বান জানান।
শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় পুতিন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে কিয়েভ কর্তৃপক্ষের উচিত জরুরীভিত্তিতে সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ করা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। ওলাঁদের সঙ্গে ফোনালাপের পর ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা জানানো হয়েছে। গত মার্চ মাসে ইউক্রেন থেকে গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোন পশ্চিমা নেতার সঙ্গে পুতিনের টেলিফোনে কথা হলো। ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পুতিন এবং ওলাঁদ আগামী ৫ জুন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করবেন।
তার এক দিন পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০তম ডি-ডে বার্ষিকী উপলক্ষে এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পুতিন। সেখানে ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা যোগ দেবেন।
পুতিন বৃহস্পতিবার সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র কাজখস্তানের রাজধানী আস্তানায় কাজাখ ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল একটি ইউরেশিয়ান ইকনোমিক ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে কাজ শুরু করা। এ ধরনের একটি জোট গঠন নিয়ে পুতিন দীর্ঘদিন চিন্তাভাবনা করেছেন। এ রকম একটি পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক জোট যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় ভারসাম্য আনবে বলে রুশ নেতা মনে করেন। এ অঞ্চলে রুশ প্রভাবিত বিদ্রোহীরা সম্প্রতি যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করেছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ নয় এখানকার আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ উদীয়মান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি চীনকে নিয়েও উদ্বিগ্ন। আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে নতুন জোটটি আত্মপ্রকাশ করবে। জোটভুক্ত তিনটি দেশের নাগরিকরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবেন। তিন প্রেসিডেন্টই বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, তাদের এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি, শিল্প ও পরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে তারা যাতে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক নীতি প্রণয়ন করতে পারেন। কাজাখ প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবায়েভ বলেছেন, ‘আজ থেকে সূচনা হলো একবিংশ শতাব্দীর ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার। ২০ বছরের প্রচেষ্টার ফসল আজকের এই সমঝোতা। এটি আমাদের জনগণের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।’ সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য নাজারবায়েভ কৃতিত্বের দাবিদার বলে পুতিন মন্তব্য করেন। জোট গঠনের জন্য সমঝোতা হলেও এতে তিনটি দেশে একক মুদ্রা চালুর বিষয়ে কোন কথা হয়নি বলে কাজাখ উপপ্রধানমন্ত্রী বাকিতজান সাজিনতায়েভ জানিয়েছেন। এদিকে চলতি সপ্তাহে পোল্যান্ড সফরকালে ওবামা ইউক্রেনে সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী পশ্চিমাপন্থী পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে দেশটির কমিউনিজম উত্তর প্রথম নির্বাচনের ২৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ওবামা। সেখানে তার সঙ্গে পোরোশেঙ্কোর সাক্ষাত হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস ওবামার সঙ্গে নবনির্বাচিত ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি চলমান সঙ্কট নিরসনের জন্য কিয়েভ সরকার ও আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসারও আহ্বান জানান।
শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় পুতিন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে কিয়েভ কর্তৃপক্ষের উচিত জরুরীভিত্তিতে সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ করা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। ওলাঁদের সঙ্গে ফোনালাপের পর ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা জানানো হয়েছে। গত মার্চ মাসে ইউক্রেন থেকে গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোন পশ্চিমা নেতার সঙ্গে পুতিনের টেলিফোনে কথা হলো। ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পুতিন এবং ওলাঁদ আগামী ৫ জুন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করবেন।
তার এক দিন পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭০তম ডি-ডে বার্ষিকী উপলক্ষে এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পুতিন। সেখানে ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা যোগ দেবেন।
No comments:
Post a Comment