Friday, May 30, 2014

আগের প্রকল্পের নাম না বদলানোর নির্দেশ পুরোনো ধাঁচের কর্মপন্থা দেখতে চান না মোদি

আগের প্রকল্পের নাম না বদলানোর নির্দেশ

পুরোনো ধাঁচের কর্মপন্থা দেখতে চান না মোদি


নরেন্দ্র মোদিনরেন্দ্র মোদিদায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের কর্মপন্থা ঠিক করে নিতে একটুও সময় নষ্ট করছেন না ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সুপ্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদির সরকারের ১০ দফা অগ্রাধিকার তালিকা আগেই পাওয়া গেছে৷ এবার জানা গেল, আগের সরকারের চালু করা প্রকল্পগুলোর নাম পরিবর্তন করা যাবে না বলে মোদি তাঁর মন্ত্রীদের সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন৷ কারণ, তিনি ‘পুরোনো ধাঁচের কর্মপন্থা’ দেখতে চান না৷ খবর এনডিটিভির৷
এ ছাড়া টেলিভিশনে সরাসরি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার বিষয়টিও জনগণের সঙ্গে ভাববিনিময়ের প্রথাগত পন্থা হিসেবে বিবেচনা করেন মোদি৷ তাই তিনি এভাবে ভাষণ দেবেন, নাকি বিকল্প কোনো উপায় বেঁছে নেবেন, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছেন৷
সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমগুলোর একনিষ্ঠ ভক্ত মোদি প্রতিদিনই তাঁর চিন্তাভাবনাগুলো টুইটারে লিখে সবাইকে জানিয়ে দিয়ে থাকেন৷ তিনি তাঁর শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোও সবাইকে জানিয়ে দিতে পার্লামেন্টকেই বেছে নিতে পারেন৷ আগামী ৪ জুন বসছে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন৷
প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকেই তাঁর সরকারের ১০ দফা অগ্রাধিকার তালিকা প্রকাশ করেন৷ পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে কী কী কাজ শেষ করা সম্ভব, তার তালিকা করতে৷ যথা সময়ে কাজ শেষ এবং চলমান প্রকল্পগুলোর নাম পরিবর্তন করা নিয়ে অযথা সময়ক্ষেপণ না করে কাজের মান বাড়াতে বলেছেন৷ মোদ্দা কথা, তিনি সদ্য বিদায় নেওয়া কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান না৷
অতীতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলোতেও দেখা গেছে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের আগের সরকারের প্রকল্পগুলোর নাম পরিবর্তন নিয়েই লম্বা সময় ব্যয় করা হয়েছে৷
সরকারি বাসভবনে মোদি: বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, শপথ নেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ অবশ্য আগের প্রধানমন্ত্রীরা নয়াদিল্লির রেসকোর্স সড়কে ৭ নম্বর বাংলোতে বাস করলেও মোদি উঠেছেন একই সড়কের ৫ নম্বর বাংলোতেই৷ গতকালের আগ পর্যন্ত তিনি অস্থায়ীভাবে পাশের গুজরাট ভবনে ছিলেন৷

Prothom Alo

No comments:

Post a Comment