Friday, May 30, 2014

সোনিয়া-রাহুলই নেতা ॥ গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনারই অবকাশ নেই ॥ সিনিয়র কংগ্রেস নেতৃবন্দের মতৈক্য ভারতে সদ্য ক্ষমতা হারানো দল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে তাদের নেতা হিসেবে বজায় রাখতে একমত হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতারা একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন- সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনারই কোন সুযোগ নেই। ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ভুল করা হয়েছিল এবং দলকে কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ক করতে দলের নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। খবর ইকোনমিক টাইমসের। দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মোটামুটি দুই ধরনের মত রয়েছে। এক গ্রুপ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য সরকারী নীতি সম্পর্কিত অচলাবস্থাকেই দোষারোপ করছেন। তাঁরা বলছেন, এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায় এবং মধ্যবিত্ত ও যুব সমাজের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। অন্য গ্রুপ বলছেন, কল্যাণমুখী কর্মসূচীতে ফিরে যাওয়ার কারণেই পতন ঘটেছে। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এটি জানা যায়। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীকে সব প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এর ফলে তিনি দলের পরাজয়ের কারণগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্লেষণ এবং সামনে চলার পরিকল্পনা নির্দেশ করতে এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল গঠন করতে পারেন। শীর্ষ নেতারা ওই পরাজয়ের জন্য গান্ধী পরিবারকে দোষারোপ করার যে কোন চেষ্টাই নিবৃত্ত করতে এর আগেই ঐক্যবদ্ধ হন। একে এ্যান্টনি কয়েক দিন আগেই সাংবাদিকদের বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এগিয়ে যাবে এবং আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। ওই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দলের ভেতর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তিনিই দেশজুড়ে দলের পক্ষে প্রচার চালান এবং সর্বাধিক পরিশ্রম করেন। পরাজয়ের বিষয়টি যৌথ দায়িত্বশীলতার বিষয়। তিনি বলেন, সোনিয়াই কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ রেখে লোকসভার পর পর দুটি নির্বাচনে জয়ী হতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাহুল এবং কংগ্রেসের উর্ধতন নেতাদের মধ্যে কোন দূরত্ব নেই। যখন নেতারা দলের নির্বাচনী পরাজয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন, তখন পরাজয়ের কারণ কী, সেই সম্পর্কে দুটি সরকারবিরোধী মত নিয়ে বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউপিএ কোয়ালিশনের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদকালের কয়েক মন্ত্রী মনে করেন, মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ ও মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তগ্রহণে শ্লথগতি এবং প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের উন্নতি না ঘটিয়ে ক্রমবর্ধিতভাবে কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণের ফলে মধ্যবিত্ত, উচ্চাকাক্সক্ষী যুব সমাজ ও শহুরে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি এ অবস্থাকেই ভালভাবে কাজে লাগান। এক সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী বলেন, ইউপিএ নতুন ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না- এ ধারণাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এক সিনিয়র নেতা বলেন, কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা কর্মসূচীর আওতায় অর্থ পরিশোধ বাকি পড়ে থাকে। খাদ্যের অধিকার স্কিম কখনও চালু হতে পারেনি। এর ফলে দরিদ্রদের মধ্যে যারা আমাদের সব সময়কার সমর্থক তারা মুদ্রাস্ফীতি ও ডিজেলের ঘন ঘন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে হতাশ হয়ে পড়ে। কংগ্রেসের মধ্য বামপন্থী গ্রুপ মনে করছে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দলের পক্ষে ডানপন্থী হওয়ার কোন উপায় নেই। এক নেতা বলেন, এবার আরএসএস বিজেপিকে বিজয়ের পথে নিয়ে যায়। সংখ্যালঘুরাই সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার পাবে এবং সরকার হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেÑ ইউপিএর এ দুটি বিবৃতি আরএসএসকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের মুখে ঠেলে দেয়। কাজেই বিজেপির বিজয় মধ্য-ডান পথে যাওয়ার কোন সুযোগই কংগ্রেসের জন্য রেখে যায়নি। কোন কোন নেতা বলেন, বিজেপি তাদের বিজয়কে ধনীপন্থী ও শিল্পবান্ধব এবং সর্বোপরি হিন্দুত্ববাদী গুজরাট মডেলের বিজয় হিসেবে দেখবে। কাজেই দলীয় নেতারা মনে করেন, কংগ্রেসকে এখন জাতপাত ও ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্তের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার মতো অবস্থান নিতে হতে পারে।

সোনিয়া-রাহুলই নেতা ॥ গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনারই অবকাশ নেই ॥ সিনিয়র কংগ্রেস নেতৃবন্দের মতৈক্য
ভারতে সদ্য ক্ষমতা হারানো দল কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে তাদের নেতা হিসেবে বজায় রাখতে একমত হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতারা একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন- সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনারই কোন সুযোগ নেই। ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ভুল করা হয়েছিল এবং দলকে কিভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ক করতে দলের নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মোটামুটি দুই ধরনের মত রয়েছে। এক গ্রুপ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য সরকারী নীতি সম্পর্কিত অচলাবস্থাকেই দোষারোপ করছেন। তাঁরা বলছেন, এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায় এবং মধ্যবিত্ত ও যুব সমাজের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। অন্য গ্রুপ বলছেন, কল্যাণমুখী কর্মসূচীতে ফিরে যাওয়ার কারণেই পতন ঘটেছে। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এটি জানা যায়।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীকে সব প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এর ফলে তিনি দলের পরাজয়ের কারণগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্লেষণ এবং সামনে চলার পরিকল্পনা নির্দেশ করতে এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল গঠন করতে পারেন। শীর্ষ নেতারা ওই পরাজয়ের জন্য গান্ধী পরিবারকে দোষারোপ করার যে কোন চেষ্টাই নিবৃত্ত করতে এর আগেই ঐক্যবদ্ধ হন। একে এ্যান্টনি কয়েক দিন আগেই সাংবাদিকদের বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এগিয়ে যাবে এবং আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। ওই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দলের ভেতর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তিনিই দেশজুড়ে দলের পক্ষে প্রচার চালান এবং সর্বাধিক পরিশ্রম করেন। পরাজয়ের বিষয়টি যৌথ দায়িত্বশীলতার বিষয়। তিনি বলেন, সোনিয়াই কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ রেখে লোকসভার পর পর দুটি নির্বাচনে জয়ী হতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। রাহুল এবং কংগ্রেসের উর্ধতন নেতাদের মধ্যে কোন দূরত্ব নেই। যখন নেতারা দলের নির্বাচনী পরাজয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন, তখন পরাজয়ের কারণ কী, সেই সম্পর্কে দুটি সরকারবিরোধী মত নিয়ে বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউপিএ কোয়ালিশনের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদকালের কয়েক মন্ত্রী মনে করেন, মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ ও মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তগ্রহণে শ্লথগতি এবং প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের উন্নতি না ঘটিয়ে ক্রমবর্ধিতভাবে কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণের ফলে মধ্যবিত্ত, উচ্চাকাক্সক্ষী যুব সমাজ ও শহুরে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি এ অবস্থাকেই ভালভাবে কাজে লাগান। এক সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী বলেন, ইউপিএ নতুন ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না- এ ধারণাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
এক সিনিয়র নেতা বলেন, কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা কর্মসূচীর আওতায় অর্থ পরিশোধ বাকি পড়ে থাকে। খাদ্যের অধিকার স্কিম কখনও চালু হতে পারেনি। এর ফলে দরিদ্রদের মধ্যে যারা আমাদের সব সময়কার সমর্থক তারা মুদ্রাস্ফীতি ও ডিজেলের ঘন ঘন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে হতাশ হয়ে পড়ে। কংগ্রেসের মধ্য বামপন্থী গ্রুপ মনে করছে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দলের পক্ষে ডানপন্থী হওয়ার কোন উপায় নেই। এক নেতা বলেন, এবার আরএসএস বিজেপিকে বিজয়ের পথে নিয়ে যায়। সংখ্যালঘুরাই সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার পাবে এবং সরকার হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেÑ ইউপিএর এ দুটি বিবৃতি আরএসএসকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের মুখে ঠেলে দেয়। কাজেই বিজেপির বিজয় মধ্য-ডান পথে যাওয়ার কোন সুযোগই কংগ্রেসের জন্য রেখে যায়নি। কোন কোন নেতা বলেন, বিজেপি তাদের বিজয়কে ধনীপন্থী ও শিল্পবান্ধব এবং সর্বোপরি হিন্দুত্ববাদী গুজরাট মডেলের বিজয় হিসেবে দেখবে। কাজেই দলীয় নেতারা মনে করেন, কংগ্রেসকে এখন জাতপাত ও ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্তের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার মতো অবস্থান নিতে হতে পারে।

No comments:

Post a Comment